|
|
|
|
আয় বাড়াতে এ বার নজরে পার্কিং-ফি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আয় বাড়ানোর অন্যতম রাস্তা হিসেবে পার্কিং ফি-কে বেছে নিল পুরসভা।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পার্কিং-ফি বাড়িয়ে তাঁরা চলতি অর্থ বছরে ৬৮ লক্ষ টাকা বেশি আয় করবেন। পার্কিং-ফি বাবদ এ বার ৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে বলা হয়েছে, গত আর্থিক বছর এই বাবদ আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। পার্কিং বিভাগের কর্তারা জানান, এর আগে ২০০৭ সালে পার্কিং-ফি বাড়িয়েছিল পুরসভা।
নতুন প্রস্তাবে যৎসামান্য হলেও আয় বাড়বে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
পার্কিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, আগে বিনা টেন্ডারেই সমবায় সমিতিকে শহরে পার্কিং-ফি আদায়ের বরাত দেওয়া হত। এ বার টেন্ডার ডেকে যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন, তাঁদেরই বরাত দেওয়া হয়েছে। যে সব ঠিকাদার এখন পার্কিং-ফি আদায় করছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের সকলেরই বরাতের মেয়াদ শেষ হবে। সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হবে।
বর্তমানে শহরে পুরসভা অনুমোদিত পার্কিংয়ের জায়গা রয়েছে মোট ৭৮৮৫টি। রাতে গাড়ি রাখার অনুমোদিত জায়গার সংখ্যা ১৩৭৮। নির্দিষ্ট কিছু সংস্থার জন্য সংরক্ষিত ‘পার্কিং লট’ রয়েছে আরও ৩০৭টি। শহরে ‘পার্কিং লট’ বাড়ানোর জন্য পুলিশের কাছে নতুন করে আবেদন
করেছে পুরসভা।
পার্কিং-ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে আধিকারিকেরা বলেন, “বৃদ্ধির পরিমাণ খুবই সামান্য। মূলত খুচরো পয়সার সমস্যা মেটাতে পার্কিং-ফির পরিমাণ সুবিধাজনক টাকার অঙ্কে আনা হয়েছে। এতে গাড়ির মালিক ও ঠিকাদার উভয় পক্ষেরই সুবিধা হবে।” এই প্রসঙ্গে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুবই সামান্য পরিমাণে পার্কিং-ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শুধু আয়বৃদ্ধিই নয়, শহরে পার্কিং সমস্যার সমাধানও আমাদের লক্ষ্য।”
|
বৃদ্ধি যে হারে |
ঘণ্টা পিছু |
বর্তমান |
প্রস্তাবিত |
দু’চাকার গাড়ি |
২.২৫-৩ |
৫ |
চার চাকার গাড়ি |
৭ |
১০ |
বাস ও লরি |
১৪ |
২০ |
মাসিক |
দু’চাকার গাড়ি
(দিনের বেলা) |
৫০০ |
৬০০ |
দু’চাকার গাড়ি
(রাতে) |
১২৫ |
১৫০ |
চার চাকার গাড়ি |
১০০০ |
১২০০ |
বাস ও লরি |
১৪০০ |
১৫০০ |
* (সব অঙ্ক টাকায়) |
|
|
|
|
|
|