|
|
|
|
প্রয়োজনীয় রক্ষী নেই খড়্গপুর হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
মহকুমা হাসপাতাল। ডেবরা, দাঁতন এলাকা থেকেও রোগীরা আসেন। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। এই সুযোগেই হাসপাতালের গুদামে কয়েক বার চুরিও হয়েছে। নার্সদের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। তাও কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে এখন সর্বসাকুল্যে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন ১০ জন। তাঁরা শিফ্ট-ডিউটি করেন। প্রতিটি শিফ্টে অন্তত ৩ জন করে থাকেন। রক্ষী প্রয়োজন কিন্তু ন্যূনতম ২০ জন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই হিসাব। সূত্রের খবর, এই সংখ্যক রক্ষী চেয়ে বছর খানেক আগে স্বাস্থ্যভবনে দরবারও করেন হাসপাতালের সুপার দেবাশিস পাল। কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। পর্যাপ্ত রক্ষী না-থাকায় সমস্যার কথা মেনেই সুপার বলেন, “রক্ষী সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে সেই আবেদন এখনও মঞ্জুর হয়নি। এত বড় ক্যাম্পাস। প্রতি শিফ্টে ৩ জন করে রক্ষী দিয়ে তো আর সব জায়গায় সমান নজরদারি রাখা যায় না।”
হাসপাতাল থেকে ‘নিখোঁজ’ রোগীর মৃত্যুর ঘটনাই ফের এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। উদ্বেগে রয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খড়্গপুরেরই ডেভলপমেন্ট এলাকার এম কামেশ্বর রাও। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরে বাড়ি ফিরে তাঁর মৃত্যু হয়। আত্মীয়রা জানান, অসুস্থ ছিলেন। তাই বাড়িতে ঢোকার সময়ে পড়ে গিয়েই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, নজরদারি ঠিকমতো থাকলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রৌঢ় হাসপাতাল থেকে বেরোতেই পারতেন না। রোগীর পরিজনেদের বক্তব্য, প্রতিটি ওয়ার্ডের সামনেই নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত। না-হলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোজ বেলা ১১-১২টা, বিকেল ৪-৬টা ভিজিটিং আওয়ার্স। এই সময়ে রোগীর আত্মীয়রা ওয়ার্ডে যাতায়াত করেন। ফলে কোনও রোগী যদি নিজের ইচ্ছেয় বেরিয়ে যান, তা হলে কিছু করার থাকে না।
প্রতি মাসে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এমন ১২-১৩টি ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যেখানে চিকিৎসক কিংবা কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে কথা না-বলেই রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। জানতে পারার পরে নিখোঁজ ডায়েরি করেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দিনের বেলায় ওয়ার্ডে ঢোকার গেটে রক্ষী থাকেন। রাতে এমার্জেন্সি ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে রক্ষী মোতায়েন করা হয়। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মহকুমা হাসপাতালে প্রতি শিফ্টে ৩ জন রক্ষী নিয়ে সর্বত্র নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। রক্ষী সংখ্যা বাড়লে নিরাপত্তা সমস্যাও দূর হবে। |
|
|
|
|
|