সংস্কৃতি যেখানে যেমন
|
গান্ধর্বীর অনুষ্ঠান |
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী চৈতি মজুমদারের পরিচালনায় মূলত সঙ্গীত ও নৃত্যের সংস্কৃতি সংস্থা রামপুরহাটের ‘গান্ধর্বীর’ নাম জেলার বাইরে এমনকী কলকাতাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সংস্থার দ্বাদশবর্ষ পূর্তি উৎসব হয়েছে গত রবিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের রক্তকরবী পুর মঞ্চে। |
|
উৎসবের থিম ছিল ‘আলো’। তাই রবীন্দ্রনাথের ‘আলোকের এই ঝর্না ধারায়’ ও ‘আলোয় আলোক ময়’ গান দু’টিকে মিশিয়ে কোরাসে উদ্বোধনী সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে। উৎসব শেষ হয়েছে সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে কোরাসে ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানটি গেয়ে। মাঝে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি, আধুনিক, লোকগান, লোকনৃত্য, ভরত নাট্যম প্রভৃতি নৃত্যও হয়েছে। পরিবেশন করেন ৫৫ জন শিল্পী। নৃত্যের তালিম দিয়েছেন বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তনী তনুশ্রীকর রায়। ওই দিন কলকাতার সন্দর্ভ নাট্যসংস্থা ‘ভেংচি কেটে দ্যাখ’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে।
|
স্মৃতি সম্মান |
বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তন ছাত্র ও সেখানকার এসরাজ শিক্ষক রণধীর রায় মধ্য বয়সে কর্মরত প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ছিলেন এক জন দক্ষ এসরাজ শিল্পী। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের প্রতিভা সম্পন্ন যন্ত্র শিল্পীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রয়াত এসরাজ শিল্পীর জন্মদিন স্মরণ করা হয়। |
|
আয়োজক শান্তিনিকেতনের ‘সপ্তক’ সাংস্কৃতিক সংস্থা। গত সোমবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে প্রয়াত শিল্পীর ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতার বাসিন্দা বেহালা বাদক পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে রণধীর রায় স্মৃতি সম্মান জানানো হয়। পল্লববাবুর হাতে স্মৃতি স্মারক তুলে দেন বিশিষ্ট চিত্রকর যোগেন চৌধুরী। পরে পল্লববাবু বেহালা বাজিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে দেন। তিনি বেহাগ রাগ বাজিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন। শেষ করেন ভিজিযোগ ঘরানার ধুন বাজিয়ে। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন সন্দীপ ঘোষ।
|
বেহালা বাদক |
|
সিউড়ি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের চোখে তিনি সমাজকর্মী। গত কয়েক বছর ধরে তিনি রাত জাগেন অসুস্থ রোগীদের জন্য। মধ্যরাতেও খবর পেলেই তিনি এবং তাঁর সঙ্গীসাথীরা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হয়ে যান রোগীর বাড়িতে। সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েই তিনি স্বস্তি পান। কিন্তু ওই পরিচয়ের বাইরে আরও একটি পরিচয় আছে সিউড়ির বাসিন্দা রমনীমোহন ভট্টাচার্যের। তিনি এক জন দক্ষ বেহালা বাদক। সিউড়ির প্রায় প্রতিটি নাট্য সংস্থার আবহ সঙ্গীত শিল্পী তিনি। আবহ শিল্পী হিসেবে তিনি বর্ধমান, রঘুনাথগঞ্জ, রানিগঞ্জ, কটকে নাটকে বেহালা বাজিয়ে সমাদৃত হয়েছেন।
|
পড়ুয়াদের অনুষ্ঠান |
|
সম্প্রতি তালড্যাংরার সাবড়াকোনে আমডহরা, সাতমৌলি, শালতোড়া গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিদের সংবর্ধনা জানানো হয়। সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
|
সমাপ্তি অনুষ্ঠান |
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান সম্প্রতি হল বাঁকুড়া জেলা সারদামণি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠে। সকালে রবীন্দ্র বিষয়ক আলোচনা হয়। সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে রবীন্দ্র সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি ও ‘শ্যামা’ নৃত্য নাট্য মঞ্চস্থ হয়।
|
সংক্ষেপে |
• সম্প্রতি তালড্যাংরার সাবড়াকোনে আমডহরা, সাতমৌলি, শালতোড়া গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিদের সংবর্ধনা জানানো হয়। সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
• রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল বিষ্ণুপুর শহরের উকিল পাড়ায়। গীতবিতান সঙ্গীত শিক্ষা নিকেতন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। |
|