হাসিনার পরে তাঁর কন্যাও কি রাজনীতিতে আসছেন? এ নিয়েই এখন দিল্লিতে গুঞ্জন। তার কারণও রয়েছে। সনিয়া গাঁধী ঢাকায় ২৫-২৬ জুলাই যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তার প্রধান আয়োজক শেখ হাসিনার কন্যা সাইমা ওয়াজেদ পুতুল। মানসিক প্রতিবন্ধীদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সনিয়া। আর যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই অনুষ্ঠানটি করছে, তার মাথায় রয়েছেন হাসিনা-দুহিতাই। পুতুল শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। বেশ কিছু দিন লন্ডনে থাকার পরে এখন তিনি ঢাকায়। হাসিনা পুত্র জয় বেঙ্গালুরু থেকে ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা করার পর এক মার্কিন কন্যাকে বিয়ে করে আমেরিকায় থাকেন। এ দিকে ঢাকার ওই অনুষ্ঠানে শুধু সনিয়া নন, প্রিয়ঙ্কাকেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুতুল। আর তাঁর এই অতি-সক্রিয়তার জন্যই জল্পনা ছড়িয়েছে দিল্লিতে।
|
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইন্দিরা গাঁধীকে মরণোত্তর সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। পুত্রবধূ সনিয়াই শাশুড়ির এই সম্মান নেবেন তাঁর ঢাকা সফরে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৪১তম বিজয় দিবস। তার আগে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন এমন ৫০০ জন বিদেশি বন্ধুকে সম্মান জানাতে চাইছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় রয়েছেন ২২৫ জন ভারতীয় ও ২৫ জন পাকিস্তানি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালিকায় সবার উপরেই রয়েছেন ইন্দিরা গাঁধী। সনিয়াকে কোন ধরনের জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হবে তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। সনিয়া যে শাড়ির ব্যাপার সংবেদনশীল, সেটা তাঁরা জানেন।
|
ভয়ানক চটে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণের উপদেষ্টা রাঘবেন্দ্র শাস্ত্রী। আইএএস নন, এমনকী নন আইএফএস-ও। কিন্তু হার্ভার্ডে পড়াশুনা করেছেন শাস্ত্রী। দফতরে ইনিই কৃষ্ণের সহায়। সম্প্রতি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যাতে সাউথ ব্লক তোলপাড়। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, শাস্ত্রীর না কি নানা ধরনের ‘অনৈতিক যোগসাজস’ রয়েছে। আর তার প্রতিবাদ করে বদলি হতে হয়েছে যুগ্মসচিব তিরুমূর্তিকে। শাস্ত্রী এই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছেন এবং বলছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না বলেই শত্রুরা পিছনে লেগেছে। কৃষ্ণ কিন্তু হাবে ভাবে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তোমরা যাই বল, রাঘবেন্দ্র সরছেন না।
|
শুধু নয়ডা-গাজিয়াবাদ নয়, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও। সম্প্রতি ঢাকার উপকণ্ঠে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসিনা সরকার। ঠিক হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ হবে ওই বিমানবন্দরটির। সরকারের যুক্তি, বর্তমান বিমনবন্দরটি একেবারে শহরের মাঝখানে। ফলে নিত্য যানজট লেগেই রয়েছে। তাই সরকার শহর থেকে কিছুটা দূরে ওই বিমানবন্দর গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা ছাড়া নতুন বিমানবন্দরটি হবে আরও বড়। গোটা বিশ্বেই বর্তমানে নতুন বিমানবন্দরগুলি তৈরি করা হচ্ছে মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের নামে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে ওই দেশে। বিরোধীরাও রয়েছেন ওই আন্দোলনের পিছনে। সব মিলিয়ে নতুন বিমানবন্দর কার্যত বিশ বাঁও জলে। |