|
|
|
|
হচ্ছে তথ্যভাণ্ডার |
ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে বাড়ি ফেরেন ক’জন, হিসেব নেই |
কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী • কলকাতা |
কাজ দেওয়ার নাম করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য মহিলাকে ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের কত জন বাড়ি ফিরে আসেন?
এত দিন রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে কোনও খবরই রাখত না। তাই তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
শুধু মহিলারা নন। পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলা থেকে বহু মানুষ ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে যান। প্রতিদিন বা প্রতি মাসে কত লোক যান?
রাজ্য সরকার এত দিন তারও হিসেব রাখার প্রয়োজন অনুভব করেনি। তাই সেই হিসেবও অমিল।
অবশেষে এই ব্যাপারে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে রেলের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানান, বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে শুধু মালদহ জেলা থেকে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ভিন্ রাজ্যে যান। অন্যান্য জেলা থেকেও যাচ্ছেন বহু মানুষ। সেই সংখ্যা ঠিক কত, তার হিসেব সরকারের কাছে নেই। অথচ অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করার আইন রয়েছে। যে-সব কর্মী ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন, তাঁদের পরিবার সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্যও ঠিকমতো পাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে শ্রম দফতর বিশেষ শিবির করে অসংগঠিত শ্রমিকদের নথিভুক্তির কাজ শুরু করবে শীঘ্রই।
সাবিনা জানান, মালদহ থেকেই তাঁদের ওই অভিযান শুরু হচ্ছে। ওই জেলা থেকে কত অসংগঠিত শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে যাচ্ছেন, কোন ঠিকাদার তাঁদের নিয়ে যাচ্ছেন, তা জানতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ভাবে ঠিকাদারেরাই রাজ্য থেকে অসংগঠিত শ্রমিকদের ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যান। রেল-কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, একসঙ্গে দল বেঁধে কোনও গোষ্ঠী ভিন্ রাজ্যে, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে গেলে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখে নিতে হবে। সেই দলে শ্রমিক থাকলে তাঁদের সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র থাকলে তার তথ্যও নথিভুক্ত করে জেলা শ্রম দফতরে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করা হবে। কারও কাছে পরিচয়পত্র না-থাকলে তাঁর নাম-ঠিকানা এবং কোন ঠিকাদার তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন, তা নথিভুক্ত করে জানাতে হবে শ্রম দফতরকে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, গত এক বছরে মালদহ জেলার ১২৩৪ জন মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, ওই নিখোঁজ মহিলাদের উদ্ধার করতে উদ্যোগী হয়নি জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, “ওই সব মহিলার মধ্যে ক’জন অন্যত্র বিক্রি হয়ে গিয়েছেন, তা বলা সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক যে, ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার নামে ওই জেলা থেকে বহু মহিলাকে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আদিবাসী মহিলাদের।” |
|
|
|
|
|