|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
উপেক্ষিত ‘শীতে উপেক্ষিতা’ |
বইপোকা |
শীতে উপেক্ষিতা-কে উপেক্ষিত রাখিয়া দার্জিলিঙের ইতিহাস! এমন নিতান্ত বেরসিক কাণ্ডটিও যে ঘটিতে পারে তাহা দেখাইল বঙ্গীয় বইপাড়া। কমল চৌধুরী সংকলিত ও সম্পাদিত দার্জিলিঙের ইতিহাস (দে’জ) তন্ন তন্ন করিয়া খুঁজিলাম, রঞ্জন কিংবা তাঁহার একদা বিপুল জনপ্রিয় শীতে উপেক্ষিতা-র নামটি পর্যন্ত মিলিল না। এমনকী সম্পাদকের ‘কিছু কথা’তেও (তাহা অবশ্য মূলত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিবনাথ শাস্ত্রী ও পুণ্যলতা চক্রবর্তীর কথা) অসামান্য গ্রন্থটির নাম নাই। তিনটি গ্রন্থ এবং বিস্তর প্রবন্ধের এই অত্যদ্ভুত সংকলনে পথ হারাইবার সম্ভাবনাও প্রচুর। হরিমোহন সান্যালের দার্জিলিঙের ইতিহাস, নলিনীকান্ত মজুমদারের দার্জিলিঙের পার্বত্য জাতি এবং তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিঙ প্রবাসীর পত্র এই তিনটি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ঠাসিয়া দেওয়া হইয়াছে এই গ্রন্থে। আখ্যাপত্রেও তিন লেখকের নাম। কিন্তু ‘নানা চোখে দার্জিলিং’ নামের অংশটিতে যে আরও দশ জন লেখকের রচনা রহিয়া গেল! তাঁহাদের মধ্যে স্বর্ণকুমারী দেবী, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, জলধর সেনের ন্যায় লেখকের রচনাও চাপা পড়িয়া রহিল গ্রন্থের শেষ ভাগে। এবং রঞ্জন বেমালুম নিরঞ্জন হইয়া গেলেন। তবু যদি জানিতাম নিছক বিবরণধর্মী নথিকণ্টকিত ইতিহাসই স্থান পাইয়াছে এ গ্রন্থে তাহা হইলেও কথা ছিল। কিন্তু উপেন্দ্রকিশোরের ‘মেঘের মুলুক’-এর ন্যায় রচনা যে গ্রন্থে সংকলিত, শীতে উপেক্ষিতা-র কিছু অংশ সেখানে সংকলিত হওয়া উচিত ছিল। তাহা হইলে এবং গ্রন্থের মূল্যবান রচনাগুলি ঠিক ভাবে সাজাইতে পারিলে হইলে ইহা আকর্ষক ইতিহাস হইয়া উঠিতে পারিত। |
|
|
|
|
|