|
|
|
|
টুকরো খবর
|
পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার ৩ সদস্যের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
এর আগে তাঁরা গণ-ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুরের বিডিও-র ডাকা শুনানিতে এসে মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন সিপিএম সদস্য তাঁদের পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিলেন। এর ফলে, ওই পঞ্চায়েতে প্রশাসক নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ল না। একই সঙ্গে এ দিন বিষ্ণুপুরের রাধানগর পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য অশোক চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন। কয়েক দিন আগে সিপিএম পরিচালিত মড়ার পঞ্চায়েতের সাতজন সিপিএম সদস্য বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। তাঁদের এদিন শুনানীতে ডাকা হয়েছিল। মেহের বায়েন, রানু দে ও আরতি রায় নামের তিনজন মাত্র হাজির হন। বাকিরা আসেননি। উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েতে ১২ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের এক জন বাদে বাকিরা সিপিএমের। বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা বলেন, “মড়ার পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ চার জনের ইস্তফা এ দিন গ্রহণ করা হল। নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য সোমবার বাকি আট জন সদস্যকে চিঠি দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যেই প্রধান নির্বাচন করা হবে।” চলতি সপ্তাহেই বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সিপিএম পরিচালিত রাধানগর পঞ্চায়েতের দুই সদস্য। তাঁরা দু’জন এ দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন। অশোকবাবুই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন। বিডিও জানান, দুই পঞ্চায়েতের সদস্যেরাই যে-সব সমস্যার কথা জানিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার সময় তা আর নেই বলে জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হবে। তবে, এই ব্লকেরই দ্বারিকা-গোঁসাইপুরের ১০ জন সদস্যের মধ্যে সিপিএমের প্রধান, উপপ্রধান-সহ আট জন ইস্তফা দেওয়ায় এবং শুনানিতে না আসায় ইতিমধ্যে সেখানে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
|
পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ ওন্দায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ওন্দা |
পুকুরের দখল নেওয়াকে ঘিরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হল ওন্দা থানার আগরদা গ্রামে। শুক্রবার ভোরের ওই ঘটনায় এক পক্ষের দু’জন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগরদা গ্রামের ধবাপুকুরের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। আদালত পর্যন্ত তা গড়ায়। মথুর দিগর ও তাঁর পরিবারের লোকজন পুকুরে মাছ ধরার জন্য আদালতের নির্দেশ পেয়েছেন দাবি করে এ দিন ভোরে জাল ফেলেন। তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক বলে পরিচিত। মথুরবাবুর ভাইপো সামন্ত দিগরের অভিযোগ, “বাঁকুড়া আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। সেই সময় সিপিএমের স্থানীয় নেতা ঘন্টু দিগরের নেতৃত্বে তাঁর দলের লোকজন লাঠি, টাঙ্গি নিয়ে চড়াও হয়। ওদের মারে গুরুতর জখম হন আমার বাবা ও জেঠতুতো দাদা। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় একটা ঘরে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখাও হয়।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকুমার ঘোষের অভিযোগ, “মথুরবাবুরা তৃণমূলের সমর্থক। তাই আদালতের নির্দেশে ওঁরা মাছ ধরতে গেলেও সিপিএমের সশস্ত্র লোকজন প্রতিহিংসাবশত হামলা চালিয়েছে।” সিপিএমের ওন্দা জোনাল কমিটির সম্পাদক তরুণ সরকারের অবশ্য দাবি, “এলাকার দুঃস্থ মানুষ জন নিজেদের খরচে ওই পুকুরে চারাপোনা ছেড়েছিলেন। এখন তাঁদের বঞ্চিত করে বড় মাছ ধরার জন্য পুকুরে জাল ফেললে তাঁরা কেন সহ্য করবেন?” তাঁর অভিযোগ, “হামলায় আমাদেরও কয়েক জন জখম হয়েছেন।”
|
ধৃত সিপিএম নেতার ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
তৃণমূল কর্মী খুন-সহ এলাকায় একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে ফের এক সিপিএম নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অনীক শ্যাম। বামিরা গ্রামের বাসিন্দা অনীকবাবু সিপিএমের বালসি লোকাল কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত শ্যামের ছেলে। শুক্রবার বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “২০১০-এর ১১ অগস্ট পাত্রসায়রের বামুনপুকুর গ্রামে বদরে আলম মিদ্যা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে।” রঞ্জিতবাবুর দাবি, “রাজনৈতিক আক্রোশে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নব পাল আমার ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ দিনও তৃণমূলের লোকেরা আমার বাড়ি আক্রমণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উল্টে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।” রঞ্জিতবাবুর পড়শি তথা তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি নব পালের বক্তব্য, “আমি কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করায়নি। আমাদের দলের কর্মী খুন-সহ ঘর ভাঙচুর, লুঠপাট, শ্লীলতাহানির বহু ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএম নেতা রঞ্জিতবাবু এবং তাঁর ছেলে অনীক। পুলিশ এত দিন পরে অনীককে ধরেছে। এ বার তার বাবাকে ধরুক পুলিশ। আমাদের দলের কেউ রঞ্জিতবাবুর বাড়ি আক্রমণ করেননি।”
|
টিএমসিপি-র দুই নেতার মারামারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
ছাত্র ভর্তি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতার মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের কার্যালয়ের ভিতরেই সংসদের সহকারী সভাপতি শেখ সিরাজকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের বাঁকুড়া শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর দত্তের বিরুদ্ধে। রাতে সংগঠনের জেলা কার্যালয়ের বাইরে লোকজন এনে শ্যামসুন্দরকে পাল্টা মারের অভিযোগ উঠেছে সিরাজের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই সিরাজ বাঁকুড়া সদর থানায় শ্যামসুন্দরের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ দায়ের করেন। সিরাজের অভিযোগ, “শ্যামসুন্দর জোর করে দু’জন ছাত্রকে কলেজে ভর্তি করার চেষ্টা করছিলেন। আমি বাধা দিই। সেই রাগে ছাত্র সংসদ কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে আমাকে মারধর করেন।” শ্যামসুন্দরের পাল্টা দাবি, “কাউকেই ভর্তি করানোর জন্য পাঠাইনি।” তাঁর অভিযোগ, “ছাত্র ভর্তির বিনিময়ে সিরাজ কয়েক জনের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষও ওর উপরে অসন্তুষ্ট। তাই, ওকে একটা চড় মেরেছিলাম। কিন্তু সন্ধ্যায় সে লোকজন নিয়ে এসে আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে।” সিরাজ অবশ্য টাকা নেওয়া ও চড়াও হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ও শ্যামসুন্দরের সুরেই সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “ওর অন্যায় কাজকর্ম অনেক দিন সহ্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর আমরা সিরাজকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
|
জল নেই, তালা পাম্পঘরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
মাস খানেক ধরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকার অভিযোগে পাম্প হাউসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার বাঁকুড়া পুরসভার মাদাকাটা পাম্প হাউসের ঘটনা। পুরপ্রধান গিয়ে তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পর তালা খোলা হয়। পুরপ্রধান, তৃণমূলের শম্পা দরিপা বলেন, “দিন দশেক আগে ওই এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ থাকার অভিযোগ বাসিন্দারা স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছিলেন। কর্মীদের কাছে জেনেছি, ওই এলাকায় জল সরবরাহের পাইপে কোনও কারণে বাধা তৈরি হচ্ছে। কর্মীরা তা মেরামত করার চেষ্টা করছেন।” বাঁকুড়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাদাকাটা পাম্পহাউস লাগোয়া নামোপাড়া, ছুতারপাড়া, বাউরিপাড়া ও রায়পাড়ায় পুরসভার পাইপলাইনের জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সুশীল নন্দী, নমিতা সূত্রধররা বলেন, “মাস চারেক ধরে পুরসভার জল বন্ধ। ভেবেছিলাম গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ার জন্য এই অবস্থা। কিন্তু ভারী বৃষ্টি হওয়ার পরেও জল না আসায় পুরপ্রধানকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাম্প হাউসে তালা ঝুলিয়েছি।” বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “এলাকায় পাম্প হাউস হওয়া সত্ত্বেও আমরাই জল পাই না।” মূল পাইপ থেকে জল দেওয়া দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুরপ্রধান বলেন, “দাবি বিবেচনা করে দেখা হবে।”
|
প্রতিবাদ মিছিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, হাসপাতালে শিশু মৃত্যু ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরে প্রতিবাদ মিছিল করল ফরওয়ার্ড ব্লক। পরে মাচানতলায় পথসভাও করে। |
|
|
|
|
|