সংস্কৃতি যেখানে যেমন

হুল দিবসে অনুষ্ঠান
হুল দিবসর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে বান্দোয়ানে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ পুলিন বিহারি বাস্কে, জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিলাসিবালা সহিস, বান্দোয়ানের বিধায়ক সুশান্ত বেসরা, প্রকল্পের জেলা আধিকারিক দেবতোষ মণ্ডল প্রমুখ। বৃহস্পতিবার থেকে হিড়বাঁধে একটি আদিবাসী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওই দিন বিকেলে স্থানীয় দেউলগাড়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন আবাসনমন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার পর্যন্ত আদিবাসী নৃত্য, রনপা, সাঁওতালি নাটক-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার সারেঙ্গার মিশন ময়দানে তৃণমূলের আদিবাসী সেলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

মূকাভিনয়
স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়া। হাইস্কুলে পড়ার সময়েই জেলায় নামডাক হয়েছিল। কিন্তু খেলতে গিয়ে একদিন পায়ে চোট লাগে। তাঁকে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছিল। এই আতঙ্কে ফুটবল খেলা থেকে বিদায় নিয়ে নৃত্যশিল্পী হওয়ায় বাসনায় মগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন থেকে নৃত্য প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নামী নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠেন বোলপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুলবাগান রাইচরণ রোডের বাসিন্দা রঞ্জন চক্রবর্তী। নৃত্যশিল্পী হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাটক ‘বাল্মীকি প্রতিভা’য় অভিনয় করার পরে। সঙ্গীতভবনে নৃত্যের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি বর্ধমান ড্রামা কলেজে ভর্তি হয়ে বিশ্বনাথ অধিকারীর কাছে মূকাভিনয়ের তালিম নেন রঞ্জনবাবু। নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেন বোলপুরের নিজের বাড়িতে, সাঁইথিয়া, নলহাটি ও বর্ধমানের গুসকরা, দুর্গাপুরের ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে নৃত্যের অনুষ্ঠানের করার সময়ে পোশাক বদলানোর ফাঁকে ফাঁকে মূকাভিনয় করেন।

কেন্দ্রের উদ্বোধন
১৯৮০ সালে ৩০ জুন সিউড়ির সিদহো-কানহু উপজাতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেই সময়ে আদাবিাসীদের ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র দিয়ে একটি প্রদর্শনশালা গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় এবং বোলপুরের সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। কিন্তু জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলছেন, “এটা কোনও প্রদর্শনশালা ছিল না। আমরা নতুন করে সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সেই প্রদর্শনশালার দ্বারোদঘাটন হল শুক্রবার দুপুরে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ভবনের একটি অংশে। দ্বারোদঘাটন করেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রনাথ সিংহ। ওই দু’জনের নামই ফলকে লেখা ছিল। কিন্তু জেলা সধাভিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়ের নাম না থাকায় তিনি এবং সাংসদ রামচন্দ্র ডোম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফলে শুধু দ্বারোদঘাটন করার পরেই মন্ত্রীরা চলে যান সেখান থেকে। আয়োজন থাকলেও কোনও সভা হয়নি।

হুল দিবসে নাটক
লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর মুখ্য পরিচালক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের পাণ্ডুলিপি ‘এ জগতে হায়’ নাটকটি বৃহস্পতিবার হুল দিবসে মঞ্চস্থ হয়েছে মহম্মদবজারের দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতে। নাটকটি মঞ্চস্থ করে স্থানীয় ‘ভবানীপুর সপ্তপ্রদীপ সংস্কৃতি সোসাইটি’। রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’, ‘শুভা’, ‘দেনাপাওনা’ প্রভৃতি কবিতা ও গল্পের সংমিশ্রণে নাটকটি তৈরি। ওই নাটকের প্রধান দু’টি চরিত্র কিন্তু দুই বিঘা জমির ‘উপেন’ ও ‘জমিদার’। নাটকটি বিদ্বজনদের সমাদর পেয়েছে।

সংক্ষেপে
শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনা বিষয়ে ক্যুইজে যোগ দিলেন মায়েরা। শুক্রবার বাঁকুড়ার চাঁদমারিডাঙায় ইনফোকাস ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুলে এই ক্যুইজের আসর বসেছিল। ১৮ জন সেখানে যোগ করেন।
Previous Story Purulia First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.