বার্থোলো মেয়া ও ভিন চেনসি চেরোসার প্রতিষ্ঠিত ‘সিস্টারস অব চ্যারিটি’ সংঘ পরিচালিত ‘হোলিফ্যামিলি’ (পবিত্র পরিবার) বিদ্যালয়টি কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবন লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত। ১৮৬০ সালে সিস্টাররা ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। গত বছরের ২৪ মে ওই বিদ্যালয়টির দেড়শো বছর পূর্ণ হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেক দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে মোট ছাত্রী সংখ্যা ১২৪০। অনেক আগেই এ জেলার সেরা স্কুলের শিরোপা পেয়েছে ওই বালিকা বিদ্যালয়টি। তবুও তিনটি সমস্যা থেকে ওই বিদ্যালয়ের রেহাই নেই। প্রথমত, অল্প বৃষ্টিতেই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ময়লা জল জমে যায়। ছাত্রী থেকে স্কুলের কর্মী সবাইকেই ওই নোংরা জলে পা ডুবিয়ে চলতে হয়। দ্বিতীয়ত, বিদ্যালয়ের পাশেই ব্যস্ততম এম এম ঘোষ স্ট্রিট। ফলে গাড়ির এয়ার হর্ণের উৎপাতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাহিল দশা। তৃতীয়ত, বিদ্যালয়টি জেলাশাসকের কার্যালয় লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত বলে প্রায় দিনই বিভিন্ন রাজনৈতক দলের সমাবেশ থেকে ধেয়ে আসা মাইকের চিল চিৎকারে অতীষ্ঠ হয়ে থাকতে হয় পড়ুয়াদের। ওই অসহনীয় পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। |
বড়ঞা ব্লকের পূর্বপ্রান্তে জগৎবল্লভপুর গ্রাম। আর কান্দির পশ্চিমপ্রান্তে মহাদেববাটি। দু’টি ব্লকের দুই গ্রামের দূরত্ব কিলোমিটার খানেক। মাঝে এক চিলতে রাস্তা। দৈনন্দিন কাজে যে রাস্তা শুধু ওই গ্রামেরই নয়, লাগোয়া ভরতপুর ব্লকের শাক্তিপুর, জজান, হরিশচন্দ্রপুর, কান্দির সিঙেড্ডা, মোন্না-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার তিরিশেক মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে ওই পথ ব্যবহার করতে হয়। অথচ স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরেও ওই রাস্তাটুকু বর্ষায় এক হাঁটু কাদায় ও গ্রীষ্মে ধুলোয় ঢেকে থাকে। ওই রাস্তায় না পড়ছে পিচ পাথর, মোরাম। ফলে সবার কাছে ওই প্রত্যন্ত এলাকার এক জন ভুক্তভোগী হিসাবে আবেদন জানাই, দ্রুত অব্যবস্থার প্রতিকার করে ৩০ হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব করুন। |
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার সদর শহর রঘুনাথগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মিঞাপুর রেলগেট হয়ে প্রশস্ত রাস্তাটি গিয়ে মিশেছে উমরপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। অতি গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস, লরি, ট্রেকার, ভ্যান-রিকশা যাতায়াত করে। মহকুমার সদর শহর থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অথবা জঙ্গিপুর রোড স্টেশনে পৌঁছতে হয়। এবং তার জন্য এক মাত্র উপায় রঘুনাথগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে উমরপুর মোড় পর্যন্ত সড়ক পথটি। সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে ওই ব্যস্ত সড়কপথটির বেশ কিছু এলাকা ভেঙেচুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগের এক্তিয়ারে থাকা ওই সড়কপথটি দীর্ঘ দিন সংস্কার করা হয়নি। রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও তাতে আলো জ্বলে না। ওই দু’টি বিষয়ে পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী, তথা সাগরদিঘির বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |