|
|
|
|
বাড়তি দু’বছরের হিসাব দেখতে চায় রাজ্য |
ম্যাকিনটশ বার্নে বিশেষ অডিটের নির্দেশ |
দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • কলকাতা |
ম্যাকিনটশ বার্ন সংস্থায় বিশেষ অডিটের নির্দেশ দিল রাজ্য। বামফ্রন্টের আমলে এটি সরকারি সংস্থায় পরিণত হওয়ায় পর নিয়ম অনুযায়ী, ২০১০-’১১ অর্থবর্ষেরই অডিট হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগের দুই বছরেরও বিশেষ অডিট করার জন্য কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে (সিএজি) অনুরোধ করেছে রাজ্য।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প দফতরের (পাবলিক এন্টারপ্রাইজ) মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই বিশেষ অডিট করার ব্যাপারে সম্মতি দেন। তার পরই সিএজি-র কাছে এর জন্য আর্জি জানায় রাজ্য। পার্থবাবু জানান, প্রশাসনে অনিয়ম রুখতে প্রয়োজনে অন্য ক্ষেত্রেও এই ধরনের বিশেষ অডিট করাবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এর আগে ম্যাকিনটশ বার্নে রাজ্যের ৪৮.৫% শেয়ার থাকলেও বিধি অনুযায়ী তা সরকারি সংস্থা ছিল না। কিন্তু ১৯৯০-এ রাজ্য সরকারেরই নির্দেশে এটিকে ‘বিশেষ সংস্থা’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। যে কারণে সরকারি কাজে বাড়তি সুবিধা পেতে থাকে তারা। যেমন, বরাতে দরের ক্ষেত্রে সংস্থা ১০% ছাড় পেত। একটি বেসরকারি সংস্থার এই ধরনের সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের দফতর। বস্তুত, এর ফলে রাজ্যের কোষাগারে প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কেন সংস্থার দুই শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে এটিকে সরকারি সংস্থায় পরিণত করা হচ্ছে না, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চায় ওই দফতর। বিতর্ক দেখা দেয় পূর্ত দফতরের কোনও কোনও ইঞ্জিনিয়ারকে ওই সংস্থায় নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে। এবং সংস্থার ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সরকারি মহলের একাংশ। এর পরই সংস্থায় সরকারের অংশীদারি বাড়াতে উদ্যোগী হয় রাজ্য। এবং সংস্থার কর্মী সমবায়ের থেকে ২২টি শেয়ার কিনে নেওয়ার পর গত ডিসেম্বরে সংস্থাটিতে রাজ্যে অংশীদারি বাড়ে দাঁড়ায় ৫১% এবং এটি রাজ্য সরকারি সংস্থায় পরিণত হয়।
স্বাভাবিক নিয়মে, আর পাঁচটি সরকারি সংস্থার মতোই ম্যাকিনটশ বার্নেও ২০১০-’১১-এর অডিট করবে সিএজি। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রের খবর, তার আগের দু’বছরেরও বিশেষ অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় নতুন সরকার। সরকারি সংস্থা না হয়েও অতীতে সংস্থাটি কী ভাবে এবং কতটা নিয়ম বহির্ভূত সুবিধা পেয়েছে, সে ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের আশা। পাশাপাশি অতীতের ভূলগুলি শুধরে নিয়ে ভবিষ্যতে সংস্থাটি কী ভাবে কাজ করতে পারে, সে নিয়েও একটা দিক নির্দেশ এই বিশেষ অডিট থেকে মিলবে বলে দফতর মনে করছে।
পাশাপাশি সংস্থার আগের এমডি নীলমণি ধরের অবসরের পর গত জানুয়ারি থেকে পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন সেন বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে সেই পদে ছিলেন। এ বার সংস্থা পরিচালনার কাজে দক্ষতা আনতে স্বপনবাবুকে পূর্ণ সময়ের জন্য এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। |
|
|
|
|
|