টুকরো খবর

কর্মীর অভাবে নাজেহাল হাসপাতাল
কাজেই এলেন না চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মী। ২৭০ জনেরও বেশি রোগী নিয়ে তখন বেহাল অবস্থা জঙ্গিপুরের মহকুমা হাসপাতালের ৪টি ওয়ার্ড সহ জরুরি বিভাগও। পরিস্থিতি সামলাতে রাত দুপুরেই ডেকে আনতে হল হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকারই বাসিন্দা দুই অস্থায়ী কর্মীকে। শনিবার রাতে তখন রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নার্স ও চিকিৎসকেরাও। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তীর কথায়, “একটা মহকুমা হাসপাতাল অথচ এক জনও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নেই। রোগীর সঙ্গে বাড়ির লোকজন ছিলেন তাই কোনওমতে সামাল দেওয়া গিয়েছে।” হাসপাতালের সুুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির ২০টি পদ শূন্য। ৫৫ জনের জায়গায় সাফাই কর্মী রয়েছেন মাত্র ১৪ জন। ওয়ার্ড মাস্টার ৪ জনের বদলে রয়েছেন ২ জন। এই অবস্থায় সব ওয়ার্ডে সব সময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রাখা যায় না।” তিনি বলেন, “জেলা ও রাজ্য দফতরকে সব কথা জানানো হয়েছে। বারবার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, ওয়ার্ডগুলিতে যাতে সর্বক্ষণই কোনও না কোনও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকেন, তার ব্যবস্থা করা হয়। শাশ্বতবাবু বলেন, “ওই দিনও জরুরি বিভাগে দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। কিন্তু রাতে কাজে যোগ দেওয়ার মুখে একজন জানান, তিনি অসুস্থ আর এক জনও জানিয়ে দেন যে, তিনি আসতে পারবেন না। তখন কী করার থাকে? অগত্যা দু’জন অস্থায়ী কর্মীকে তুলে আনতে হয়েছে।” ওই দিন রাতে ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ওই হাসপাতালে। তার সঙ্গে ছিল অন্য ওয়ার্ডের ডাক। রাত সাড়ে বারোটার সময় বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককেও চিকিৎসা করেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। সুপার বলেন, “সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ভাবে আচমকা গরহাজির থাকা যাবে না। অনুপস্থিত থাকেল যথেষ্ট সময় থাকতে তা জানাতে হবে, যাতে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়।”

রোগী-মৃত্যুর তদন্তাদেশ
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গড়িয়াহাটের একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। নার্সিংহোমের মালিক, চিকিৎসক, আরএমও এবং এক কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সপ্তর্ষি সরকার নামের ৩৩ বছরের ওই যুবকের বাবা সুভাষচন্দ্র সরকার। মানসিক অবসাদগ্রস্ত সপ্তর্ষিকে গত অগস্টে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সুভাষবাবুর অভিযোগ, ১২ অগস্ট সকালে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফোনে জানান, সপ্তর্ষি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সুভাষবাবুর আইনজীবী নির্মল দে আদালতে অভিযোগ করেন, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, নার্সিংহোম থেকে বলা সময়ের অনেক আগেই মৃত্যু হয় সপ্তর্ষির। তাঁর আরও অভিযোগ, সপ্তর্ষির আত্মহত্যা প্রবণতার কথা নার্সিংহোমকে আগাম জানানো সত্ত্বেও রোগীর উপরে নজর রাখা হয়নি। উপরন্তু একটি দড়ি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর ঘরে পড়েছিল। তা দিয়েই সপ্তর্ষি বাথরুমে গিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানান সুভাষবাবুর আইনজীবী। তাঁর আবেদন শুনে ঘটনার তদন্তের জন্য গড়িয়াহাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই নির্দেশের প্রতিলিপি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চক্ষু শিবির
অযোধ্যা পাহাড়তলিতে বাঘমুণ্ডি থানার বাড়েরিয়া প্রাথমিক স্কুলে রবিবার হয়ে গেল চক্ষু পরীক্ষা শিবির। উদ্যোগে জেলা পুলিশ। বাড়েরিয়া, কুদনা, একরা, লহরিয়া, কুজলুং-সহ লাগোয়া গ্রামগুলির শ’দুয়েক বাসিন্দার চক্ষু পরীক্ষা হয়। যাঁদের আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন, তাঁদের পুরুলিয়া শহরের চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে এসে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা, ওষুঝ ও চশমা দেওয়া হবে। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সুনীলকুমার চৌধুরী, ডিএসপি (সদর) অংশুমান সাহা প্রমুখ।

হাসপাতালের উদ্যোগ
কৃষ্ণনগর বা তার সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় হাসপাতাল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার তাঁরা রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেঙ্গালুরুর ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অমিত কেশরি বলেন, “আমাদের হাসপাতালে যত রোগী আসেন তার প্রায় ৫০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের। তাই এ রাজ্যেই উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চাই।”

স্বাস্থ্য শিবির
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও স্থানীয় একটি ক্লাবের সহায়তায় রানিবাঁধ থানার বেথুয়ালা গ্রামে একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়েছে। রবিবার বেথুয়ালা হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে রানিবাঁধ ও পুরুলিয়ার বোরো থানার ২০টি গ্রমের ৬০০ বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও (খাতড়া) অলোক রাজোরিয়া, রানিবাঁধ থানার আইসি অঞ্জনকুমার দে প্রমুখ।

পিজি-তে গোলমাল
শিশুর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তার পরিজনদের বিক্ষোভ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির জেরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল পিজি-তে। এই ঘটনায় পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, জন্ডিসে আক্রান্ত সাইফা বেগম নামে এক বছর এক মাসের এক শিশুকে শনিবার পিজি-তে ভর্তি করা হয়। পরিজনদের অভিযোগ, ওই দিন এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তার পর থেকে কেউ সাইফাকে দেখেননি। রবিবার এক জুনিয়র ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, সাইফার বাঁচার আশা কম। তাতেই তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। কর্তৃপক্ষ জানান, জুনিয়র ডাক্তার ও রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসারদের থেকেও ঘটনার বিবরণ চাওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিবির
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও স্থানীয় একটি ক্লাবের সহায়তায় রবিবার রানিবাঁধ থানার বেথুয়ালা গ্রামে একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়েছে।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.