|
|
|
|
সন্দেশখালিতে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সন্দেশখালি |
এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সন্দেশখালি থানার এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ থানার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের হাতে তিন পুলিশকর্মী হেনস্থা হন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠি চালিয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছেন। এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “এখনই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি থানা চত্বরে চরতে থাকা ছাগল আনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকা থানার এক অফিসার তাঁর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকেন। কোনওরকমে ওই অফিসারের হাত ছাড়িয়ে ওই মহিলা থানা চত্বর থেকে পালিয়ে আসেন। থানার পাশেই বাজার। ঘটনাটি জানাজানি হতেই সেখানে উত্তেজনা ছনিয়ে পড়ে। সেই সময় কয়েকজন পুলিশকর্মী এসে বিষয়টি মিটমাট করতে গেলে দু’পক্ষে বচসা বেধে যায়। নিমেষে ওই পুলিশকর্মীদের ঘিরে ফেলেন কয়েকশো জনতা। অভিযোগ সেই সময় পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকশো তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থক ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষেভাকারীদের অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না জানানোর জন্য মহিলাকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রণজিত দাস বলেন, “থানার কোয়ার্টারের পাশে ওই মহিলা ছাগল আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় এ অফিসার মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দোষী পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব জানান, বিক্ষোভ দেখাতে গেলে থানায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠি চালায়। তাতে তিনজন মহিলা জখম হন। বারাসতের এসডিপিও সমরেন্দ্র দাস বলেন, “অভিযোগটি গুরুতর। পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্তে যদি দেখা যায় ওই পুলিশকর্মী দোষী, তাহলে ওঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|