|
|
|
|
আল কায়দা-আইএসআই যোগাযোগের ইঙ্গিত |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। ফের পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে আল কায়দার যোগাযোগের ইঙ্গিত মিলল। অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইল ফোন থেকে সম্প্রতি কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে একটি মার্কিন দৈনিক।
ফোনটি থেকে হরকত-উল-মুজাহিদিনের বেশ কিছু জঙ্গির নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের ধারণা, পাকিস্তানে বসে হরকতের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতেন নিহত আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন। এই হরকত গোষ্ঠীর সঙ্গে আবার আইএসআই-এর সম্পর্ক নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এ ছাড়া পাকিস্তানে অন্য কোন কোন সংস্থা ওসামাকে ‘সাহায্য’ করত? মার্কিন গোয়েন্দাদের বক্তব্য, হরকতের দীর্ঘদিনের সঙ্গী আইএসআই-ও ওসামাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আসছিল। আটক হওয়া সেই মোবাইলটি থেকে আইএসআই-এর কারও নম্বর মিলেছে কি? এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, হরকতের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থার সম্পর্কের বিষয়টিই এখন ভাবাচ্ছে তাঁদের। মৃত্যুর আগে নিজের সংগঠন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। ওসামার পাঠানো কিছু চিঠির বয়ান হাতে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, আল কায়দার শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন ওসামা। তাঁর প্রিয় ‘কম্যান্ড্যারদের’ জায়গায় নতুন যে সব সদস্য নেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়েও আপত্তি ছিল নিহত আল কায়দা প্রধানের। এমনিতেই আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার পর সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না ওসামার। জাওয়াহিরির মতো কিছু শীর্ষ স্থানীয় নেতার সঙ্গেই চিঠি পত্রের আদানপ্রদান করতেন তিনি। এ রকমই কিছু চিঠি হাতে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন অফিসার জানিয়েছেন, আল কায়দার হামলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃত্যু মেনে নিয়ে পারছিলেন না ওসামা। এক সময় সংগঠনের নামও পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তিনি। |
|
|
|
|
|