|
|
|
|
ফেরাল কংগ্রেস, এ বার বিজেপিকে শর্ত দিলেন মুন্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার শর্ত কংগ্রেস ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই বিজেপিতে থেকে যাওয়ার জন্য নেতৃত্বের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছেন গোপীনাথ মুন্ডে। মহারাষ্ট্রে দলের কাজে নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার শর্ত নেতৃত্ব মানলে বিজেপিতেই আপাতত থাকতে রাজি মুন্ডে। কিন্তু আড়ালে তাঁকে আশ্বস্ত করলেও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। সভাপতি নিতিন গডকড়ীকে অস্বস্তিতে রাখতে মুন্ডেকে দলে রাখার জন্য সক্রিয় হয়েছেন গোষ্ঠী রাজনীতিতে গডকড়ীর বিপরীত মেরুতে থাকা লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজরাও।
গত কাল রাতে দিল্লিতে আসার পর আজ সুষমার বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন মুন্ডে। বৈঠকের পর সুষমার পাশে বসেই মুন্ডে দাবি করেন, বিজেপি ছাড়ার কথা তিনি কখনওই বলেননি। দলের কাজকর্ম নিয়ে তাঁর কিছু অভিযোগ রয়েছে, যা বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। তাঁরাই সমাধান খুঁজবেন। সুষমাও দাবি করেন, “মুন্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার গুজব ছড়ানো হচ্ছে।” পরে আডবাণীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন সুষমা ও প্রাক্তন সভাপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। নাইডু বলেন, “সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।” মুন্ডে চাইছেন, মহারাষ্ট্রে দলের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়ার কথা বিজেপি নেতৃত্ব এখনই ঘোষণা করুন। রাতে গডকড়ীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, গত কাল রাত তিনটে পর্যন্ত টেলিফোনে কংগ্রেস নেতা বিলাসরাও দেশমুখ ও পৃথ্বীরাজ চহ্বানের সঙ্গে দর কষাকষি করেন মুন্ডে। টেলিফোনে তাঁর কথা হয় সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলের সঙ্গেও। কিন্তু কংগ্রেস মুন্ডের শর্ত মেনে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে রাজি হয়নি। এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারও মুন্ডেকে কংগ্রেসে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তোলেন। কারণ, সে ক্ষেত্রে মারাঠওয়াড়ায় পওয়ারের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন মুন্ডে। গত কাল রাতেও মুন্ডে বিজেপির এক শীর্ষ নেতাকে টেলিফোনে বলেছেন, “গডকড়ী আমাকে দল থেকে বার করে দিতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে দলে থাকা আমার পক্ষে কঠিন।” কিন্তু রাতে কংগ্রেস আশাহত করার পরেই ফের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে জোর কদমে দর কষাকষি শুরু করেন তিনি।
বিজেপি সূত্রের মতে, মুন্ডে যে হেতু গোটা লড়াইটা সরাসরি নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে করছেন, তাই তাঁকে সরিয়ে নিষ্কৃতি পেতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি। কিন্তু সুষমা স্বরাজরা চান, মুন্ডে দলে থেকেই সরব হন। তাতে গডকড়ীর অস্বস্তি বাড়বে। সম্প্রতি নানা বিষয়ে গডকড়ী-সুষমা বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। মুন্ডের মাধ্যমে গডকড়ীকে বেগ দিতে তাই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন আডবাণী-সুষমারাও। মুন্ডেও আজ ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, “গডকড়ী আমাকে তাড়াতে চাইলেও, তা সহজ হবে না। মহারাষ্ট্রে আমার জনসমর্থন রয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশও রয়েছেন আমার সঙ্গে।” সুষমাকে পাশে নিয়েই আজ মুন্ডে বলেন, “সুষমাজির সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁকে নিজের অবস্থান জানাতেই আমি দিল্লি এসেছি।” |
|
|
|
|
|