|
|
|
|
নিকাশি নিয়ে দিশা খুঁজতে বিশেষজ্ঞ কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মহানগরী ও তার সংলগ্ন এলাকায় নিকাশি সমস্যার পুরো সমাধান চলতি বর্ষায় সম্ভব নয় বলে মনে করছে সেচ দফতর। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ওই সব এলাকার নিকাশির সমস্যা খুবই জটিল। পরিকল্পনার গোড়াতেই গলদ ধরা পড়েছে। সমস্যা রয়েছে প্রশাসনিক, আর্থিক এবং নিকাশি দফতরের সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও। তাই আপাতত জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা ছাড়া নিকাশির আমূল পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না।
মহানগরী ও তার আশপাশের নিকাশি সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে বুধবার সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক এবং পুর-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী মানসবাবু। সেই বৈঠকে নিকাশি সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের সেচ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে থাকছেন কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ, কেআইটি, হিডকো,পোর্ট ট্রাস্ট এবং পুলিশের প্রতিনিধিরাও। এই খবর জানিয়েছেন মানসবাবু।
প্রবল বর্ষণের জেরে কলকাতা ও তার আশপাশের বহু জায়গায় এখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। বছর ছয়েক আগে কেইআইপি-র হাতে দেওয়া সেচ বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ না-হওয়ায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওই সব প্রকল্পের কাজ বছর দুয়েক আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ৪০ শতাংশ কাজও এখনও হয়নি।” কাজ যে হয়নি, সে কথা বলছেন সেচমন্ত্রীও। জল জমে থাকার প্রসঙ্গ টেনে মানসবাবু জানান, নিকাশির এই সমস্যার সমাধান করতে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট হাতে এলে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সেচমন্ত্রী জানান, নিকাশি নালাগুলিতে যাতে প্লাস্টিক কিংবা মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলা না-হয়, তার দিকে ওই কমিটিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। বাগজোলা, কেষ্টপুর খাল-সহ বিভিন্ন খালের ধারে যেখানে ঝুপড়ি গজিয়ে খাল দূষিত হচ্ছে, সেই সব জায়গায় কী করা যায়, তার রিপোর্টও কমিটিকে দিতে বলা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়া উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু, ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সেচ প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল প্রমুখ। সেখানে বাগজোলা খালপাড়ের সৌন্দর্যায়ন করতে ব্রাত্যবাবু কিছু প্রস্তাব দেন। |
|
|
|
|
|