টুকরো খবর

অচলাবস্থা কাটল না সিউড়ির স্কুলে
শিক্ষকের দাবিতে বুধবারও তালা ঝুলে রইল সিউড়ির অজয়পুর হাইস্কুলে। এর ফলে শিক্ষকেরা এসেও স্কুলে ঢুকতে পারেননি। ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে কোনও ফল না হওয়ায় তাঁরা ফিরে যান। প্রসঙ্গত, উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণিতে সংস্কৃত পড়ানো যাবে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষকের অভাবের কারণে আগেই উচ্চ মাধ্যমিকে ইতিহাস পড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা পড়ুয়ারা শিক্ষকের দাবিতে মঙ্গলবার স্কুলে তালা দিয়েছিল।
সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা ছাত্র হোসেন খান বলে, “শিক্ষকের দাবিতে মঙ্গলবার সারাদিন স্কুলে তালা ঝুলে রইল। অথচ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের দেখা মিলল না।” তার দাবি, “কোনও তরফ থেকে আশ্বাসও পাওয়া যায়নি। তার প্রতিবাদে বুধবারও স্কুল খুলতে দেওয়া হয়নি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি, অজয়পুর হাইস্কুলকে নিয়ে আধিকারিকদের কোনও মাথাব্যথা নেই। এক আধিকারিক আমাদের জানান, জেলা স্কুল পরিদর্শক কাজে কলকাতায় গিয়েছেন। ওই আধিকারিককে জানিয়ে দিয়েছি, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে তালা খোলা হবে না।” সহকারী স্কুল পরিদর্শক (এ আই) শ্রীকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “তালা খুলে দেওয়ার জন্য ছাত্রদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই বুঝতে চাইছে না। স্কুলের টিচার ইনচার্জ মৃণাল মালকে শিক্ষক সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র অফিসে আনতে বলেছি।” মৃণালবাবু বলেন, “এ আইকে সব বলেছি। স্কুলে তো ঢুকতে পারছি না। কাগজপত্র বের করব কী করে?” এ আই বলেন, “ছাত্রদের বোঝা উচিত শিক্ষক চাইলে শিক্ষক পাওয়া যায় না। কিছু নিয়ম নীতি আছে। তার জন্য কিছু সময় দরকার।”

দুর্নীতি নয়, হুঁশিয়ারি সভাপতির
জেলার যে সব নেতার বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাদের প্রয়োজনে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার বোলপুরে জেলা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের কনভেনশনে তিনি এই মন্তব্য করেন। উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভানেত্রী দোলা সেন, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এবং জেলার অন্যান্য তৃণমূল বিধায়কেরা। তৃণমূলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির দেওয়া একটি চিঠির কথা উল্লেখ করে অনুব্রতবাবু বলেন, “জেলার গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ৩৯ জনের বিরুদ্ধে জেলায় টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। দল তোলাবাজি, দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না। যত বড় নেতাই হোক না কেন, প্রয়োজনে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হবে।” দোলাদেবীর বক্তব্য, “মস্তানি, দাদাগিরি, তোলা ও চাঁদা আদায় বা সরকারি জায়গা দখল করে সংগঠনের কার্যালয় খোলা যাবে না। সিটুর কার্যালয় দখল করা চলবে না।” তিনি জানান, “শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। তবে বন্ধ, হরতাল, অবরোধের পথে যাওয়া যাবে না। ধর্মঘট-আন্দোলনে যেন কলকারখানা বন্ধ না হয়। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।” তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের সচেতন করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রঙ দেখা চলবে না। পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। বন্ধ-ধর্মঘট আর নয়। গঠনমূলক কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।” এ দিনের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের সভাপতি বিকাশ রায় চৌধুরী-সহ তৃণমূলের দখলে থাকা জেলার বিভিন্ন পুরসভার পুরপ্রধান ও বিভিন্ন শ্রমিক নেতারা।

বাইক-চোর ধৃত
গ্রামবাসীর চেষ্টায় ধরা পড়ল দু’ই মোটরবাইক চোর। বীরভূম সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার মলুটি এলাকায় সোমবার রাতে একটি মোটরবাইক চুরি যায়। মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার তুম্বনি গ্রামের বাসিন্দাদের চেষ্টায় ধরা পড়ে দু’জন দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় বাইকটিও। ওই দিনই তাদের রামপুরহাট থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে, শিকারিপাড়া থানার পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃত দু’জনের মধ্যে এক জনের বাড়ি রামপুরহাটের কুশুমডই গ্রামে। অন্য জন বোলপুরের বাসিন্দা।

দোকানে চুরি
জেলায় দু’টি চুরির ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার রাতে। সিউড়ির কড়িধ্যায় একটি সোনা-রুপোর দোকানের শাটার, কোলাপসিবল গেট ও কাঠের দরজা ভেঙে গয়না চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিক কৃষ্ণ পাত্র থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর ক্ষোভ, “এর আগে আমার দোকানে আরও দু’বার চুরি হয়েছে। কোনওবারই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি।” সিউড়ি থানার আইসি অসিত ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
অন্য দিকে, কাঁকরতলা থানার হজরতপুরে একটি মোবাইলের দোকান থেকে ওই রাতেই চুরি যায় মোবাইল সেট-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র। বুধবার ভোরে ওই দোকানের আশপাশের ব্যবসায়ীরা দেখেন দোকানের সাটার ও গ্রীলের গেটের তালা ভাঙা। এরপর তাঁরা ওই দোকানের মালিক সঞ্জয় দে’কে খবর দেন। ঠিক কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে না পারলেও সঞ্জয়বাবুর দাবি, বেশ কিছু মোবাইল সেট, দোকানের কম্পিউটার, প্রিন্টার, রিচার্জ ভাউচার এবং নগদ টাকা চুরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে।

সদস্যার ইস্তফা
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের এক সদস্যা। রীনা মজুমদার নামে ওই সদস্যা তাঁর ইস্তফাপত্র মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ। আর দায়িত্বভার পালন করতে পারছি না। তাই সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ইস্তফাপত্র মহকুমাশাসকের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছি।” ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুহিনা বিবি বলেন, “আমার জানা নেই। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে উনি আলোচনা করেননি।” অবশ্য মুরারই ২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক বলেন, “তিনি ইস্তফা দেবেন সে ব্যাপারে আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। অন্তর্দ্বন্দ্ব বা দলীয় কোন্দলের জন্য ইস্তফা দেননি।” মহকুমাশাসক বিধান রায় বলেন, “ওই সদস্যাকে ডাকা হবে।”

স্মারকলিপি
রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের সভাপতি আবু আয়েশ মণ্ডলকে স্মারকলিপি দিল রামপুরহাট শহরের যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ। আবু আয়েশ মণ্ডল বুধবার রামপুরহাট মহকুমার কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে সংখ্যালঘু দফতরের ঋণ প্রাপকদের সঙ্গে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। স্মারকলিপিতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারির গ্যারান্টি প্রথা তুলে দেওয়া, টার্ম লোন-এর বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি করা, ছাত্রদের বৃত্তির জন্য বরাদ্দ চেক যথাসময়ে দেওয়াপ্রভৃতি দাবি করা হয়। আবু আয়েশ মণ্ডল বলেন, “দফতর নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখে দাবিগুলির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Previous Story Purulia First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.