|
দিল্লি দরবার
জয়ন্ত ঘোষাল |
|
|
বাস্তু-ভরসা |
দিন যাচ্ছে, বাস্তুশাস্ত্রের উপর নেতাদের বিশ্বাস বাড়ছে বই কমছে না। এর সর্বশেষ নজির জয়ললিতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিধানসভায় বিধায়কদের বসার যে ব্যবস্থা ছিল, তার খোলনলচে বদলে দিয়েছেন জয়া। সেই বাস্তুশাস্ত্র। জয়ললিতার নির্দেশে স্পিকারের চেয়ার বসানো হয়েছে দক্ষিণমুখো করে। যারা সরকার পক্ষে বসবেন, তারা স্পিকারের ডান দিকে বসেছেন। যাতে তাঁরা পুবমুখো হয়ে বসতে পারেন। ফলে স্বভাবতই বিরোধীরা বসেছেন পশ্চিম দিকে মুখ করে। ঘনিষ্ঠ মহলে জয়ললিতা বলেছেন, “বাস্তুশাস্ত্র এমন ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছি, যাতে পাঁচ বছর পরে রকার পাল্টানোর সম্ভাবনাই না থাকে!” বাস্তুর শক্তি জয়ললিতার তখ্ত বাঁচাতে পারে কি না, দেখা যাক।
|
অভিষেক-ঐশ্বর্যা |
আগামী ২৫ জুন অভিষেক আর ঐশ্বর্যার বিয়ে। না, অতীত-বর্তমানের মধ্যে কোনও উলটপুরাণ ঘটেনি! পাত্রের বাবা কিংবা
পাত্রীর শ্বশুরের নাম অমিতাভ বচ্চন নয়! ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের পুত্রের নাম অভিষেক। আর তিনি যার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাঁর নাম ঐশ্বর্যা! বচ্চন পরিবারের বিবাহোৎসবের মতো এখানেও ধুমধামের অন্ত নেই। স্থির হয়েছে, দিল্লি থেকে চার্টার্ড উড়ানে বিজেপির নেতাদের নিয়ে যাওয়া হবে রায়পুরে। এর আগে তাঁর মেয়ের বিয়েতে বিশেষ উৎসব করেননি রমন সিংহ। তাঁর মেয়ে বিবাহিত এক ডাক্তারকে বিয়ে করায় কিছুটা দুঃখই পেয়েছিলেন রমন। তাই নমো নমো করে সেরেছিলেন সম্প্রদান। এ বার সেই আফশোস মিটিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ‘অভি-অ্যাশ’-এর বিয়ের তারিখটি নিয়ে মৃদু তিরস্কার তাঁকে শুনতে হয়েছে আডবাণীর মতো প্রবীণদের কাছে। ২৫ জুন যে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছিল!
|
বাস্তু-ভরসা |
দিন যাচ্ছে, বাস্তুশাস্ত্রের উপর নেতাদের বিশ্বাস বাড়ছে বই কমছে না। এর সর্বশেষ নজির জয়ললিতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিধানসভায় বিধায়কদের বসার যে ব্যবস্থা ছিল, তার খোলনলচে বদলে দিয়েছেন জয়া। সেই বাস্তুশাস্ত্র। জয়ললিতার নির্দেশে স্পিকারের চেয়ার বসানো হয়েছে দক্ষিণমুখো করে। যারা সরকার পক্ষে বসবেন, তারা স্পিকারের ডান দিকে বসেছেন। যাতে তাঁরা পুবমুখো হয়ে বসতে পারেন। ফলে স্বভাবতই বিরোধীরা বসেছেন পশ্চিম দিকে মুখ করে। ঘনিষ্ঠ মহলে জয়ললিতা বলেছেন, “বাস্তুশাস্ত্র এমন ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছি, যাতে পাঁচ বছর পরে রকার পাল্টানোর সম্ভাবনাই না থাকে!” বাস্তুর শক্তি জয়ললিতার তখ্ত বাঁচাতে পারে কি না, দেখা যাক।
|
নীতীশের উষ্মা |
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্ক এমনিতে খারাপ নয়। কিন্তু বেশ কিছু দিন হল কেন্দ্রের সঙ্গে খটমটি লেগেই রয়েছে নীতীশের। রাজ্যপাল দেবেন্দ্র কুঁয়ারের মেয়াদ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে শেষ পর্বে কিছুটা মন কষাকষি তৈরি হয়েছিল নীতীশের। রাজ্যপাল কার সময়ে রাজ্যের প্রায় ১২ থেকে ১৪টি বিল স্বাক্ষর করেননি দেবেন্দ্র। স্বভাবতই সেটা ভাল ভাবে নেননি নীতীশ। এখন নতুন রাজ্যপাল চেয়ে বেশ কয়েকটি নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। বারংবার কেন্দ্রকে বার্তা দিচ্ছেন, নতুন রাজ্যপাল দাও। ন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।
|
দিন-ইলাহি |
দিল্লির আমলাতন্ত্র বা সেনাবাহিনীতে ধর্মনিরপেক্ষতার নজির কম নেই। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বর্তমানে সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের ২৯-বি ঘরে চার জন আন্ডার সেক্রেটারি বসেন। সেই চার জনের মধ্যে এক জন হলেন জে এস দুয়া। ইনি শিখ সম্প্রদায়ের। বাকিরা হলেন নূর রহমান শেখ, পি টমাস এবং স্মৃতি ঠাকুর। চার জন চার সম্প্রদায়ের হলেও গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে একে অপরের সঙ্গে। সকলে বাড়ি থেকে আলাদা আলাদা খাবার নিয়ে এলেও একসঙ্গে কাড়াকাড়ি করে ‘লাঞ্চ’ করেন। আড্ডাও মারেন চুটিয়ে। এ যেন সেই আকবর বাদশার দিন-ইলাহি। গোটা রাইসিনা হিলস খুঁজলে এ রকম একটি বসার ঘর পাওয়া দুষ্কর হবে।
|
তিহারে ইংরেজি |
তিহার জেলে বন্দিদের এখন নতুন শখ হল ইংরেজি শেখা। জেলের ভিতরেই জোরকদমে চলছে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার ক্লাস। জেলের বন্দি ও কারারক্ষী বাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্লাসরুম পরিচালন গোষ্ঠী। যে বন্দি যে ভাষার ক্লাসে ভর্তি হতে চায়, তার জন্য সেই ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তারা। তবে সবথেকে বেশি ভিড় হচ্ছে ইংরেজি শিক্ষার ক্লাসে। তিহারে এ রাজা ও কানিমোঝির মতো হাই প্রোফাইল বন্দিরা রয়েছেন। তাঁরাও ইচ্ছুক বন্দিদের ইংরেজি শেখাচ্ছেন বলে খবর। জেলে এক জন ফরাসি নাগরিকও রয়েছেন। যার উপর ফরাসি ভাষা শেখানোর দায়িত্ব রয়েছে। তবে ভিড় বেশি ইংরেজি ক্লাসেই। তিহার জেলের তথ্য অফিসার জানাচ্ছেন, বন্দিদের ধারণা, ইংরেজি জানা থাকলে জেল থেকে বেরিয়ে কোনও না কোনও কাজ পেয়ে যাবেন তাঁরা। |
|