বিধানসভা ভোটের মতো ‘গোঁজ’ প্রার্থী দেওয়ার কাণ্ড যাতে পুরসভায় না হয়, সে জন্য কংগ্রেস কর্মীদের সতর্ক করলেন দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে রায়গঞ্জ পুরসভার নির্বাচনে জোটের কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মোহিতবাবু। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়ানো জোট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় কোনও নেতা-কর্মী গোঁজ প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁদের দল থেকে বার করে দেওয়া হবে।” তিনি তৃণমূল নেতৃত্বেও ওই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসীম ঘোষও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কেউ প্রার্থী হলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। আগামী ১০ জুলাই রায়গঞ্জ পুরসভার নির্বাচন। পুরসভার ২৫টি |
ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ১৭টি আসনে ও তৃণমূল ৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এদিন দুই দলের তরফেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেস সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। বিকালে তৃণমূলের তরফেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে জোট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করানোর অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা কংগ্রেসের একাংশের সঙ্গে দীপা দেবীর দূরত্ব তৈরি হয়। বিষয়টি যাতে পুরভোটে কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য জোট বার্তা দিতেই দুই দলের জেলা নেতৃত্ব মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থেকেই গোঁজ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগী হয়েছেন। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও জেলা তৃণমূলের উপদেষ্টা তিলক চৌধুরী বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময়কার সমস্যা ভুলে গিয়ে আমরা জোটবদ্ধ ভাবে লড়ে বিরোধী শূন্য করে পুরসভা দখল করতে চাই।” কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, কংগ্রেসের ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনই নতুন মুখ। বিভিন্ন ওয়ার্ড সংরক্ষণ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে এবারে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ২০০৬ সালের পুর নির্বাচনে মোহিতবাবু ১৯ নম্বর ওয়ার্ডন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবারে তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাসের ২২ নম্বর ওয়ার্ড তফশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন। ২০০৬ সালের পুর নির্বাচনে কংগ্রেস ১৮টি ওয়ার্ডে জিতে পুরবোর্ড দখল করে। |