|
|
|
|
তল্লাশিতে গুলি-বন্দুক ও দু’বস্তা বোমা মিলল |
নিজস্ব সংবাদদাতা• ইসলামপুর |
তৃণমূল সমর্থক পৌসা মহম্মদ খুনে তদন্তে নেমে তল্লাশি চালিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আটক করল পুলিশ। সোমবার তল্লাশি চালিয়ে ৩টি দেশি বন্দুক, কয়েক রাউন্ড গুলি, ২ বস্তা দেশি বোমা এবং হামলার জন্য আগে থেকে জমা করা ৩ বস্তা সূচালো পাথর উদ্ধার করে। এলাকার বাগসি গ্রামের একটি চা বাগানের মধ্যে ওই সমস্ত বোমা ও বন্দুক রাখা ছিল। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিস আধিকারিক ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “তল্লাশির সময়ে বোমা, বন্দুক ছাড়াও বোমা তৈরির মশলাও আটক করা হয়েছে। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের প্রক্রিয়া জারি থাকবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য র্যাফের জওয়ানরা টহল দিচ্ছেন। গোলমালের খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সোমবার বিকেল পৌনে ৩টে নাগাদ চোপড়ার কাশিমপুর গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন ওই তৃণমূল সমর্থক। তৃণমূলের দাবি, হামলাকারীরা কংগ্রেস সমর্থক এবং এলাকার বিধায়ক হামিদুল রহমানের অনুগামী। হামলাকারীরা ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করার পরে নিহতের আত্মীয় তথা এলাকার সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হাফিজুল হক ওরফে ধোলাকে অপহরণ করে। তিনিও দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হন। এলাকার কয়েকটি বাড়িতে লুটপাটও চালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশিতে নামে। সন্ধ্যায় চোপড়া বাজারে একটি বন্ধ দোকান থেকে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উদ্ধার করা হয় লুটপাটের সময়ে খোয়া যাওয়া তিনটি মোটর সাইকেল-সহ বেশ কিছু জামাকাপড়। গভীর রাতে উদ্ধার হয় অস্ত্র এবং বোমা। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। সে সময়ে বাড়িতেই ছিলেন হাফিজুল হকের স্ত্রী সরিফা খাতুন। তিনি বলেন, “হামলার সময়ে পৌসা বাড়িতেই ছিল। ৫০-৬০ জন বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছে দেখে সে বাইরে গিয়েছিল। হামলাকারীরা পৌসাকে গুলি চালায়। গুলি খেতে পৌসা পড়ে যাওয়ার পরে ফের মাথায় গুলি করে। আমার স্বামীর পায়ে গুলি করে পৌসার মোটর বাইক তুলে নিয়ে যায়। কেন হামলা হল সেটা এখনও জানি না।” মঙ্গলবার পুলিশ ওই ১১জনকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১৪৭, ১৪৮, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৬৪, ৩৭৯, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক স্মৃতিরূপা ঘোষ ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এলাকার তৃণমূল নেতা তাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন, “ধৃতেরা কংগ্রেসের মদতপুষ্ট।” এলাকায় অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি জারি রাখার পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানোর দাবি জানান তিনি। এই ব্যাপারে ইসলামপুরের কংগ্রেস নেতা তথা পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “মৃত ব্যক্তি সমাজবিরোধী। দু’দল সমাজবিরোধীর গোলমালে তিনি মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগাযোগ নেই।” |
|
|
 |
|
|