|
|
|
|
কংগ্রেস কর্মী খুন, ধৃত সিপিএম নেতা |
সুজাউদ্দিন • ডোমকল |
হামলা হতে পারে আশঙ্কায় এলাকা ছাড়ছিল পরিবারটি। তখনই হল হামলা। ঘিরে ধরে গুলি করা হল পরিবারের কর্তা এবং তাঁর ১৫ বছরের ছেলেকে।
মঙ্গলবার ভোরে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের গোপীনাথপুর গ্রামে ওই হামলায় বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কংগ্রেস কর্মী তাজেল শেখ (৫০)। গুলিতে জখম হয়ে তাঁর ছেলে সাদ্দাম শেখ বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ধৃত ১৫ জনের অন্যতম সিপিএমের ইসলামপুর জোনাল কমিটির সদস্য দুলালউদ্দিন এবং তাঁর জামাই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের আলতাফ হোসেন। দুলালউদ্দিন কৃষকসভার জেলা কমিটিরও সদস্য।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি ফ্যাক্স-বার্তা পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, গত তিন মাসে তিন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন মুর্শিদাবাদে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অনেক আগ্নেয়াস্ত্রও মজুত রয়েছে বলে অধীরের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি। অধীর বলেন, “এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছেও।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে অত্যাচার করছে। লুঠপাটও হচ্ছে। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “দুলালউদ্দিন ও আলতাফ হোসেনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ফাঁসানো হয়েছে।” দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ দাস আবার বলেছেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। ৬০ জন ভূমিহীন কৃষককে তাঁদের পাট্টা পাওয়া জমি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে কংগ্রেস। আমাদের অনেক সমর্থক ঘরছাড়া। এই উত্তেজনারই শিকার হন ওই কংগ্রেস কর্মী।” |
|
|
 |
|
|