|
|
|
|
খুন মেয়ে, বিষ খেয়ে হাসপাতালে অভিযুক্ত বাবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ছুরি, কাঁচি ও বাঁশের আঘাতে মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাঁর স্ত্রী, ভাই ও আর এক মেয়ে। ঘটনার পরে কীটনাশক খেয়ে চিকিৎসাধীন রামচন্দ্র রাও নামে ওই ব্যক্তিও। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুরের মালিরবাগানে।
পুলিশ জানায়, মাঝরাতে আচমকাই স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ছুরি, কাঁচি ও বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করেন রামচন্দ্র। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর বড় মেয়ে শীলার (১৯)। পাশেই থাকেন রামচন্দ্রের ভাই অজয়। চিৎকার শুনে তিনি ছুটে এলে তাঁকেও আক্রমণ করেন রামচন্দ্র। ছুরি-কাঁচির আঘাতে জখম হয়েও বৌদি সীতাদেবী ও আর এক ভাইঝি সুইটিকে ঘর থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দেন অজয়বাবু। চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়ার লোকজন জড়ো হন। পরে ঘরের ভিতর থেকে কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ রামচন্দ্রবাবুকে উদ্ধার করেন পড়শিরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই হাসপাতালের মহিলা জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে সীতেদেবী ও সুইটিকে। মঙ্গলবার বর্ধমান থানায় অজয়বাবু জানান, তাঁর দাদা পেশায় রং মিস্ত্রি। বেশ কয়েক বছর ধরে অম্বল, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে-মধ্যে রামচন্দ্র মানসিক ভারসাম্যও হারাতেন বলে জানান অজয়বাবু। তখন তাঁকে আটকে রাখতে হত। অজয়বাবু বলেন, “শীলার বিয়ের জন্য দেখাশোনা চলছিল। তার মধ্যে দাদা এমন কাণ্ড ঘটাবে, কেউ ভাবতে পারিনি।” |
 |
নিজস্ব চিত্র
|
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেঝেতে শুয়ে সীতাদেবী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর পেটের সমস্যার চিকিৎসা চলছিল। ওই রাতে হঠাৎ কেন রেগে গিয়ে রামচন্দ্র তাঁদের উপরে চড়াও হলেন, তা এখনও বুঝতে পারছেন না তিনি। এমন ঘটনা আগে কোনও দিন ঘটেনি বলে জানান তিনি। সীতাদেবী জানান, প্রথমে রামচন্দ্র তাঁকেই আক্রমণ করেন। বুকে কাঁচি বিঁধিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। বড় মেয়ে শীলা তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁর পেটে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন রামচন্দ্র। বাবার হাতে-পায়ে ধরেও তাঁকে থামাতে পারেননি শীলা। কাঁচি, ছুরি ও বাঁশের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বর্ধমান থানার আইসি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “রামচন্দ্র মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে আক্রমণ করে বলে স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন। গ্রেফতারের পরে রামচন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি সুস্থ হলেই তাঁকে জেরা করা হবে।” |
|
|
 |
|
|