|
|
|
|
ভাতারে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’, নালিশ সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ভাতারে তৃণমূল লাগাতার সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করল সিপিএম। মঙ্গলবার জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা এবং পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরকে স্মারকলিপি দিয়ে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সিপিএমের অভিযোগ, সিপিএমের বেশ কিছু কর্মী ঘরছাড়া। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় প্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারছেন না। ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক সৈয়দ মহম্মদ মসীহর কথায়, “আমাদের কর্মীরা পুলিশে যেতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁরা জানেন, প্রশাসন সক্রিয় না হলে এই অভিযোগ জানানোর জেরে তাঁদের নতুন করে অত্যাচারের মুখে পড়তে হবে।”
মসীহর অভিযোগ, ভাতারের কামারপাড়া, এরুয়ার, স্বর্ণচালিদা, নাসিগ্রাম, বড়বেলুন, কুবাজপুর ইত্যাদি এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে তাঁদের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক গ্রামছাড়া। ইতিমধ্যে নেতাদের উপরেও আক্রমণ হয়েছে। তিনি নিজে দলের প্রাক্তন মুখ্য সচেতক হয়েও আক্রমনের মুখে পড়তে পারেন বলে মসীহের আশঙ্কা। সিপিএমের আরও অভিযোগ, ভাতারের কামারপাড়ায় ১ নম্বর ও বাকিপুরে ৪ নম্বর লোকাল কমিটি অফিস খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। দখল করা হয়েছে বনপাশ ও আয়মাপাড়ার শাখা অফিস, দেবপুরে সিটুর দফতর ও বসুদার দলীয় কার্যালয়। ‘চাপে পড়ে’ ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছেন।
প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ‘প্রতিরোধ’ হবে বলেও এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন মসীহ। তাঁর হুঁশিয়ারি, “তৃণমূলের এই অত্যাচার কিন্তু মানুষ দীর্ঘদিন সহ্য করবেন না। প্রশাসন যদি সন্ত্রাস বন্ধে উদ্যোগী না হয়, আমাদেরই প্রতিরোধ আন্দোলনে নামতে হবে। আমরা তো আর রামকৃষ্ণ মিশন খুলে বসে নেই! তবে তা হবে অহিংস ও অস্ত্রহীন প্রতিরোধ।” ভাতারের তৃণমূলের বিধায়ক বনমালী হাজরা অবশ্য দাবি করেন, “এই সব সন্ত্রাসের অভিযোগের কথা আমার আদৌ জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারব না।”
জেলাশাসক বলেন, “সিপিএম নেতারা আমার কছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু সেগুলির একটিও থানা বা বিডিও-র কাছে জানানো হয়নি। আমি ওঁদের বলেছি, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে।” পুলিশ সুপার বলেন, “ভাতারের সিপিএম নেতারা আমার কাছে এসেছিলেন। ওঁদের বলেছি, ভাতার থানার নতুন তৈরি হওয়া নাগরিক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আগামী ১৬ জুন আলোচনায় বসব। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হবে। তার এক সপ্তাহের ভিতরে গ্রামছাড়াদের ঘরে ফেরানো হবে।” |
|
|
 |
|
|