উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি বিভাগ খোলা হলেও তার পরিকাঠামো দুর্বল। আদিবাসীদের সাদ্রী ভাষা নিয়ে গবেষণাগার, রাজবংশী ভাষার প্রসার নিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কথাও রিপোর্টে থাকবে। সৌরভবাবু বলেন, “বামশাসনে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন কলেজ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। সে সব ফিরিয়ে আনা মূল লক্ষ্য। যাতে আগামী ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীরা নির্ভয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।” উত্তরবঙ্গে সংগঠন শক্তিশালী করার ব্যপারেও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা। তিনি জানান, প্রত্যেকটি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় প্রত্যেকটি কলেজে টিএমসিপির তরফে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে সংগঠন ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। সেক্ষেত্রে পুরনোদের সঙ্গে নতুনদেরও কমিটিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সংগঠনের সদস্য করার ব্যপারে উদ্যোগে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি টিএমসিপি নেতার বক্তব্য, ‘সংগঠন তৈরি করতে কোনও বলপ্রয়োগ চলবে না। অন্য ছাত্র সংগঠনের হাতে থাকা ইউনিয়ন পরিচালনার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। জেলা নেতৃত্বকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে এখন শিলিগুড়িতেও বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ভয় দেখিয়ে শিলিগুড়ি কলজের এসএফআইয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের একাংশকে সংগঠন পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ টিএমসিপির বিরুদ্ধে। এসএফআই দার্জিলিং জেলা সভাপতি সৌরভ দাস বলেন, “প্রত্যেকটি কলেজে এসএফআই সদস্যদের উপরে হামলা হচ্ছে। হুমকি ও ভয় দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এসএফআই ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে চলতি সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামব।” এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের আন্দোলনের পথ সঠিক। সে কারণেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়ে তার কাজের শরিক হয়েছি। ছাত্র পরিষদের থাকার সময়ই বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। ছাত্রছাত্রীরা আক্রান্ত হলে পাশে দাঁড়িয়েছি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছি। কংগ্রেসের কোনও নেতাকে পাশে পাইনি।” |