|
|
|
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পরিকাঠামো ও পরিষেবার পাশাপাশি পটাশপুর-২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন গ্রামবাসী। কান দেয়নি কেউ। সোমবার সকালে তাই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা নিজেরাই ঢুকে গেলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রান্নাঘরে। সেখানে অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থার ছবি দেখার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, কর্মী-সহ রান্নার কাজে নিয়ুক্ত লোকজনদের ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে। পটাশপুর ২ ব্লকের সাতটি ও পটাশপুর ১ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা কুড়ি শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে দু’শো থেকে আড়াইশো রোগী আসেন। অন্তর্বিভাগে গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি থাকেন। কিন্তু চিকিৎসক মাত্র দু’জন। |
|
পোকা বেগুন আর চাল দেখাচ্ছেন গ্রামবাসী। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
বিএমওএইচ নেই। নার্স চার জন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। অধিকাংশ সময়েই রোগীদের ‘রেফার’ করে দেওয়া হয় মহকুমা হাসপাতালে। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য মৃণালকান্তি দাস বলেন, “জেলার উন্নয়ন বৈঠকে বহু বার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি একচুল।” মতিবানপুর গ্রামের শেখ মনতাজ, কসবা পটাশপুরের ননীগোপাল মণ্ডলেরা বলেন, “চালে পোকা থাকে। ভাতে দুর্গন্ধ। এ দিন পচা সব্জি দিয়ে রান্নার উদ্যোগ চলছে দেখে আমরা ঘেরাও করি।” স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রাজকুমার হাঁসদা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী নিজেরা কাজ না করে অন্য এক জনকে দিয়ে খাবার সরবরাহ করাচ্ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই অন্য দিক সামলাতে গিয়ে খাবারের দিকে আর নজর দেওয়া হয় না। সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি।” |
|
|
|
|
|