টুকরো খবর


তৃণমূল নেতাকে খুনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেলেন দুই মহিলা-সহ তিনজন। আহত অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে একটি শিশু। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা-বদর রোডে ঝিকুরিয়া গ্রামের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সারথি রায় (৩৩), মাধব বৈদ্য (৪৫) এবং আমিনা বিবি (৫৫)। এঁদের মধ্যে সারথি দেবী ও আমিনা বিবির বাড়ি চককলাপোল গ্রামে। মাধববাবুর বাড়ি অশোকনগরকের বাইগাছি এলাকায়। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় জনতা ট্রাকচালককে ধরে ফেলে বেদম মারধর করে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ঝিকুরিয়া গ্রামের কাছে খুন হন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মহিউদ্দিন মোল্লা। তার প্রতিবাদে সোমবার হাবরা, অশোকনগর, বেড়াচাঁপা, দেগঙ্গা থেকে প্রচুর তৃণমূল কর্মী, সমর্থক এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। ছিলেন স্থানীয়রাও। তখন বেড়াচাঁপার দিকে আসছিল একটি মিনিট্রাক। ভিড়ে কয়েক জনকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সারথি দেবী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান মাধববাবু। আমিনা বিবি ও তাঁর নাতিকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেলে মারা যান আমিনা বিবি।


আটটি নাইন এমএম পিস্তল-সহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া রেললাইন লাগোয়া এলাকা থেকে বিনয় বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। তাঁর বাড়িও চাঁদপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রের ব্যবসায়ী বিনয় মূলত বিহার থেকে অস্ত্র নিয়ে আসত। দীর্ঘদিন ধরেই তার উপরে নজর রাখছিল পুলিশ। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে বমাল ধরা হয়। বিনয়কে জেরা করে চক্রের অন্যদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় বিনয় স্বীকার করেছে যে সে বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই পিস্তলগুলি নিয়ে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁয় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। বিহার থেকে মূলত ট্রেন ও সড়কপথেই ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা হয়। পরে তা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি বাংলাদেশেও পাচার করা হয়। পিস্তলের গায়ে মেড ইন ইউ এস লেখা থাকলেও মূলত তা তৈরি হয় বিহারেই। এক একটি পিস্তল বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।


পরীক্ষার হলে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার পাথরপ্রতিমা কলেজে বিএ পাস কোর্সের ভূগোল প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা ছিল। এক দল ছেলে হলে ঢুকে সত্যব্রত মাইতি ও চন্দ্রনাথ মান্না নামে দুই পরীক্ষার্থীকে মারধর করে। অ্যাডমিট কার্ডও কেড়ে নেওয়া হয় বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ। পুলিশ পাহারায় দুই ছাত্র পরীক্ষা দেন। ঘণ্টাখানেক পরে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষার অ্যাডমিট নিতে তিন ছাত্র এলে তাঁদের মারা হয়। এক্ষেত্রেও অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। গুরুতর আহত তিন জন হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিপিএম জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে হামলার ঘটনা এই শুরু হল।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বহিরাগতরা কলেজে হামলা করছে। অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”


ছাত্র সংসদের ঘর দখল করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হল এসএফআই ও টিএমসিপি-র মধ্যে। সোমবার, বরাহনগরের প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ কলেজে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে খবর, কলেজের গেটে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এসএফআইয়ের ক্যাম্প হয়েছিল। এসএফআইয়ের অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের পতাকা ও লাঠি নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এর পরে ছাত্র সংসদের ঘরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বাধা দিলে পুলিশের সামনেই এসএফআই সমর্থকদের মারধর করা হয়। ছাত্র পরিষদের পাল্টা অভিযোগ, ভর্তি হতে আসা এক ছাত্রীকে এসএফআই সমর্থকেরা কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ করায় তাদের দুই সমর্থককে মারা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।


রেল সুরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ধরা পড়ল ৮ টিকিট-দালাল। সোমবার, আগরপাড়া স্টেশনে। আরপিএফ জানায়, ধৃতদের কাছে ৩টি সংরক্ষিত আসনের টিকিট, ১৮৫০০ টাকা ও দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের প্রচুর রিকুইজিশন স্লিপ মিলেছে। পুলিশ জানায়, পুজোর আগে টিকিটের দালাল-চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে পূর্ব রেলে অভিযান শুরু হয়েছে। এ দিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত ধৃতদের ১৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজত দেয়।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.