|
|
|
|
মমতার বৈঠকেও এখন দুর্দশা কাটছে না বেহাল স্টেডিয়ামের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খাতায়-কলমে বাংলায় স্টেডিয়ামের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য এ রাজ্যে ইডেন গার্ডেন্স বাদে কোনও স্টেডিয়ামই উপযুক্ত নয়। যুবভারতী পর্যন্ত না। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ২৩ বছর আগে যে ভাবে তৈরি হয়েছিল, একই জায়গায় পড়ে রয়েছে। বাকি সব শহরের স্টেডিয়াম বলতে এক দিকে কোনওমতে কাঁচা হাতে গ্যালারি করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আই লিগের খেলা হয়, সেই বারাসত স্টেডিয়ামও অর্ধেক হয়ে পড়ে। প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের খাসতালুক কিশোরভারতীতে টিভি সিরিয়ালের শুটিংই হয় বেশি। ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নাম যেমন হয়ে গিয়েছে ‘টিভি সিরিয়াল কমপ্লেক্স’। ওখানেও শুটিং।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্টেডিয়ামগুলোর পরিস্থিতি জানতে সোমবার ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “অধিকাংশ স্টেডিয়ামেরই ভগ্নদশা। কী ভাবে এগুলোর সংস্কার সম্ভব, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে যতটুকু করা দরকার, সেই মতো কাজ চালাতে।” ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্য, “স্টেডিয়াম নিয়ে আগের সরকারের কোনও হিসেব আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। নানা টাকা নয়ছয় হয়েছে। বহু স্টেডিয়াম বিয়ে বাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। খেলার বাইরে অন্য কাজে লাগানো হয়। ”
দিন দুই আগে এশীয় ফুটবল সংস্থার কর্তারা রাজ্যের বৃহত্তম স্টেডিয়াম যুবভারতী প্রদর্শনে এসেছিলেন। তাঁদের রায়, এ দেশে একটাই ভাল ফুটবল স্টেডিয়াম রয়েছে। সেটা পুণের স্টেডিয়াম। যুবভারতীতে তাঁরা আই লিগের প্রথম ম্যাচ দিতে বলেছেন বেশি দর্শক আসেন বলে। যুবভারতীর পরিকাঠামো এত খারাপ জায়গায়, সেটার আমূল উন্নতি কী করে সম্ভব, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বাকি স্টেডিয়ামের অবস্থা তো আরও খারাপ। পরিস্থিতি পাল্টাতে প্রচুর অর্থ দরকার। সেই টাকা জোগাড় করা এখন খুবই মুশকিল। যা পরিস্থিতি, তাতে নয়া জমানাতেও বাংলার বেহাল স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থা খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে না। |
|
|
|
|
|