টুকরো খবর

দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল
দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে কংগ্রেসও।
ঘটনাটি উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের তুলসিবেড়িয়া পঞ্চায়েতের। বিডিও উজ্জ্বল সেনগুপ্ত বলেন, “প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। ১৭ জুন পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে প্রস্তাবটির উপরে ভোটাভুটি হবে।” ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৬ জন। তৃণমূল এবং কংগ্রেসের হাতে আছে যথাক্রমে ১২টি এবং ৩টি আসন। এক জন বাম সদস্য। প্রধান তৃণমূলের মদন মণ্ডল। চলতি মাসের গোড়া দিকে তৃণমূলের ৬ জন এবং কংগ্রেসের ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করে বিডিওকে জমা দেন। চিঠিতে তাঁরা জানান, সদস্যদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই কাজ করছেন প্রধান। বাকি সদস্যেরা অপমানিত বোধ করছেন। এলাকার উন্নয়নও ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান মদনবাবু অবশ্য বলেন, “আমি সকলকে নিয়েই চলার চেষ্টা করি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সদস্যদের সঙ্গে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সে সব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।” এ দিকে, অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ার পর থেকে দফতরে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধান। ফলে, দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন। মদনবাবু বলেন, “ভোটাভুটির ফল দেখে পঞ্চায়েতে যাব।” উলুবেড়িয়ার তৃণমূল নেতা বিশ্বানাথ লাহা বলেন, “প্রধানের বিরুদ্ধে কিছু সদস্যের মান-অভিমান ছিল। সব পক্ষকে এক সঙ্গে বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”


অনিয়মের অভিযোগ সিঙ্গুরের স্কুলে
নিজস্ব চিত্র।
অনিয়মের অভিযোগে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখালেন স্কুলে। যার জেরে কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েন সিঙ্গুরের বড়া কমলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চললেও পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়নি। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় রান্নাঘর এবং স্টোররুম নির্মাণ নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। তা নিয়েই নানা প্রশ্ন তুলে বেশ কিছু অভিভাবক এ দিন স্কুলে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই নির্মাণের হিসেব-নিকেশে অনিয়ম করেছেন প্রধান শিক্ষক উৎপল সিংহ। সরকারি নিয়মে, বিভিন্ন স্তরে স্কুল কমিটিকে যে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করার কথা, তা-ও তিনি করেননি। অভিভাবকদের তরফে সন্তোষ মালিক বলেন, “দুই ভাইকে একই সঙ্গে স্কুলের ঠিকাদারি কাজে নিয়োগ করেছেন প্রধান শিক্ষক। সব ক্ষেত্রে কাজের হিসেব-নিকেশ এবং অন্যান্য বিষয় স্বচ্ছ নয়। এ সব জানতেই স্কুলে গিয়েছিলাম।”উৎপলবাবু বলেন, “হিসেবে কোনও গরমিল নেই। তবে, অভিভাকদের প্রশ্ন থাকতেই পারে। সে জন্যই ওঁরা এসেছিলেন। কাগজপত্র দেখিয়েছি।” প্রধান শিক্ষকের দাবি, “সব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরেও ঠিকাদার অনৈতিক ভাবে নানা প্রশ্ন তুলছেন। তাই, অনভিপ্রেত সমস্যা হচ্ছে। তবে, ভাউচার-সহ যাবতীয় কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। শীঘ্রই পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকছি। যা বলার পরিচালন সমিতিই বলবে।” স্কুল সূত্রের খবর, ঠিকাদার নিম্নমানের ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তা ফিরিয়ে দেন। এর পরেই জটিলতা দেখা দেয়।


বজ্রাঘাতে মৃত্যু
রবিবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলার গোঘাট থানার পোড়াবাগান গ্রামে বজ্রাঘাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতার নাম মন্দবালা পোড়েল (৫২)। তিনি প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।


দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে এক কিশোরী-সহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মালিকোটা গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষী বাগ (১৬) বিষপান করে। আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তিতে বিষপান করে সে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই বিষপান করেন গোঘাটের খাটুল গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত গুপ্ত (৩৬)। সোমবার সকালে আরামবাগ হাসপাতালে মারা যান তিনি।


বোমা ফেটে জখম
রাস্তায় পড়ে থাকা বোমা ফেটে গুরুতর আহত হল এক বালিকা। সোমবার, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে। আহতের নাম শীতল মিঞ্চ (৮)। সকালে বাড়ির কাছে রাস্তায় খেলার সময়ে তার পায়ে লেগে বোমাটি ফাটে। প্রায় ১০ ফুটে দূরে ছিটকে পড়ে শীতল। সে পিজিতে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বালিকার দু’টি পা ও ডান হাত গুরুতর জখম।
Previous Story South First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.