নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের আনা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন এ ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে। টাকা পরিশোধ আটকে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি খানাকুলের রামমোহন ১ পঞ্চায়েতের সারদা গ্রামের।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীর ঘোষ নামে ওই সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি রঘুনাথপুরে। সাত কিলোমিটার দূরে গ্রামের কিছু রাস্তার কাজে তাঁর নাম উঠেছে ৪টি মাস্টাররোলে। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে ওই চারটি মাস্টাররোলে সমীর ঘোষের নামের সঙ্গে প্রাপ্ত টাকার অঙ্ক লেখা হয়েছে ৬০০, ৪০০, ৫০০ এবং ৯০০ মোট ২৪০০ টাকা। চারটি মাস্টাররোলে নাম উল্লেখ থাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক শ্রমিকেরা বিষয়টি দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে জানান। খানাকুলের তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহের অভিযোগ, ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে প্রচুর দুর্নীতি করেছেন সিপিএম নেতারা। এটা তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এই সব দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছি আমরা।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৯ সালের ৩ জুন সারদা গ্রাম-লাগোয়া জাঁকরি গ্রামে খুন হন তৃণমূল নেতা যুধিষ্ঠির দলুই। অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু সিপিএম সমর্থক ওই ঘটনার পর ঘরছাড়া হন। এই পরিস্থিতিতে একশো দিনের কাজ-লহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়কার বকেয়া কাজ শুরু হয় ২০১০-১১ আর্থিক বছরে। বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ওই কাজের সুপারভাইজার সিপিএমের এক সমর্থক গ্রামছাড়া হন। মাস্টাররোল তৈরির কাজ এসে পড়ে পঞ্চায়েত সদস্য সমীরবাবুর উপরে। অভিযোগ, তিনি নিজেই প্রকৃত শ্রমিকদের নামের তালিকায় নিজের নাম ঢুকিয়ে দেন।
খানাকুল ১ বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ডেকে বিষয়টি বিশদে জানতে চেয়েছি। তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য সমীর ঘোষের বক্তব্য, “মাস্টাররোল বানানোর পারিশ্রমিক হিসাবে টাকা দাবি করেছিলাম। এটা দুর্নীতি হলে সাজা মাথা পেতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সদস্য ভজহরি ভুঁইঞা বলেন, “দুর্নীতি যে-ই করে থাকুক না কেন, আমরা সাজার পক্ষে।” |