|
|
|
|
প্রকল্প অনুমোদনের পরিকাঠামোই নেই রাজারহাট-নিউটাউনে |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
জমি হাতে এসেছে। প্রকল্প তৈরির নকশা জমা দিয়েছে সংস্থা। কিন্তু তা অনুমোদনের জন্য পরিকাঠামোই নেই রাজারহাট অঞ্চলে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)-র। আর এই অব্যবস্থার মাসুল গুনছে টিসিএস-এর মতো দেশের পয়লা নম্বর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাও। অনুমোদনের অভাবে এখনও নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।
২০০৮-এ রাজারহাটে দেড় কোটি টাকা দরে ৪০ একর জমি কেনে টিসিএস। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা চলতি বছরেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে অন্তত ২০ হাজার জন এখানে কাজ পাবেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে পদে পদে প্রশাসনের চৌকাঠে ঠোক্কর খেয়েছে ৩৭,০০০ কোটি টাকা ব্যবসা করা এই সংস্থা। ২০০৯-এ জমি হাতে পাওয়ার পর দু’বার তার পুনর্বিন্যাস হয়। চৌকো আকারের জমি এখন ইংরেজি ‘এল’ অক্ষর আকারের হয়েছে। হিডকো-র প্রধান সৌরভ দাস অবশ্য জানান, সমস্যা আগেই মিটে গিয়েছে।
এ বার নয়া সমস্যা। বেশ কিছু দিন ধরেই ফাইলবন্দি প্রকল্পের নকশা। রাজারহাট অঞ্চলে নকশা অনুমোদনের দায়িত্বে রয়েছে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এই দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই এই সরকারি সংস্থার। টিসিএস-এর নকশা খতিয়ে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কাছে নথি পাঠিয়েছে এনকেডিএ। এই ফাইল চালাচালির ফলে নষ্ট হচ্ছে সময়। আর অনুমোদনের অভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি টাটা রিয়্যালটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স। টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থার হাতেই প্রকল্প তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই জানিয়েছে যে, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের স্বার্থে শিল্পে লগ্নি টানার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের দাবি, টিসিএসের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এনকেডিএ-র নয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, নকশা অনুমোদনে বিগত সরকারের আমলে যে-সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানসূত্র খোঁজা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলের মতেও এই পরিকাঠামো মজবুত করা জরুরি। কারণ শুধু টিসিএস নয়। এই অঞ্চলে জমি কিনেছে দেশের প্রথম সারির অধিকাংশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই। |
|
|
|
|
|