তা হলে? প্রথম সেট ৬-৪। আরও চার সেট খেলা বাকি।
প্রথম সেটে অবশ্য ‘পাগলু’র আধিপত্য
নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। প্রিয়া এন্টারটেনমেন্ট-এর তরফে অরিজিৎ দত্ত জানাচ্ছেন, “বোলপুরের গীতাঞ্জলি থেকে ইলামবাজারের বলাকা, গুসকরা-র বিদ্যাসাগর সিনেমা থেকে মেমারি-র কৃষ্টি ‘পাগলু’ সর্বত্রই অত্যন্ত ভাল ব্যবসা করেছে। কলকাতায় প্রিয়া বা স্টার-এর মতো প্রেক্ষাগৃহেও বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে ‘পাগলু’ অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে।” ‘পাগলু’ শিবির স্বভাবতই এতে উচ্ছ্বসিত। প্রযোজক নিসপাল রানে এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন দেব, কোয়েল এবং সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি বললেন, ‘‘এই তিন জন ‘টিম’ হিসেবে অত্যন্ত ভাল। তাঁরা তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন বলেই ছবিটা এত জনপ্রিয় হতে পেরেছে।”
‘শত্রু’ শিবির কী বলছে? পরিচালক রাজ চক্রবর্তী পিছিয়ে পড়ার কারণ সম্পর্কে সোজাসাপ্টা মতামতই দিলেন। বললেন, “পাগলু’ ১৭৪টি হলে মুক্তি পেয়েছে। সেখানে ‘শত্রু’ চলছে ১২৩টি হলে। ‘পাগলু’ শুধু যে সংখ্যায় বেশি
হল পেয়েছে তা-ই নয়, গুণমানের দিক
থেকেও আমাদের হলগুলো পিছিয়ে রয়েছে। সর্বোপরি ওদের মাথার উপরে ভগবানের হাত রয়েছে।” তার মানে? রাজের সটান জবাব, “ভগবানের হাত মানে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। ‘পাগলু’র উপরে তার আশীর্বাদ রয়েছে। আমাদের জন্য রয়েছে বদ দুয়া।”
হাল কি তবে ছেড়েই দিচ্ছে ‘শত্রু’? তা নয়। এর পরেও রাজ মনে করেন, চূড়ান্ত পর্বে জিতে যাবে তাঁর ছবিই। “ভাল ব্যবসাও করবে, সুনামও কুড়োবে।” প্রযোজক অশোক ধানুকা কী বলছেন? তিনি মেনে নিয়েছেন, প্রথম সপ্তাহের ব্যবসায় এগিয়ে গিয়েছে ‘পাগলু’। কিন্তু তাই বলে নিজের ছবিকে খাটো করতে রাজি নন। অশোকের সাফ কথা, “শত্রু’-র ব্যবসা নিয়ে আমি যথেষ্টই খুশি। ‘ফাইটার’-এর চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ব্যবসা ‘শত্রু’ এখনই করে ফেলেছে। প্রথম সপ্তাহের অঙ্কে ‘পাগলু’ এগিয়ে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমি নিশ্চিত, লম্বা লড়াইয়ের শেষে ‘শত্রু’ অনেক বেশি সাফল্য পাবে। কারণ, ‘শত্রু’ অনেক ভাল ছবি।”
তা হলে কী দাঁড়াল? ওই যে! প্রথম সেট ৬-৪। কিন্তু ম্যাচ এখনও ফুরোয়নি। |