পশ্চিমের পরে এ বার পূর্ব মেদিনীপুরেও অবৈধ কাঠকল বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছে বন দফতর। ইতিমধ্যেই এগরা মহকুমার পটাশপুরে একটি অবৈধ কাঠকল ‘সিল’ করে দিয়েছে তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো ব্যাপক বনাঞ্চল না থাকলেও বন দফতরের সাম্প্রতিক অভিযানের জেরে মোট ৪০৫টি কাঠকলের হদিস মিলেছে পূর্বে। এর মধ্যে ২৭১টি কাঠকলের কোনও ‘লাইসেন্স’ নেই। অবিলম্বে ওই অবৈধ কাঠকলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশ কার্যকর করতে বন দফতরের অভিযান শুরু হতে না হতেই অবশ্য অস্বস্তিতে অবৈঠ কাঠকল মালিকেরা। তাঁদের দাবি, বার বার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেও সাড়া মেলেনি প্রশাসনের কাছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় পূর্বতন সরকার রাজ্যে মাত্র ৭৫০টি কাঠকলকে লাইসেন্স দিয়েছে। বাধ্য হয়েই বাকিরা অনুমোদন ছাড়া কাঠকল চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় জেলা পরিষদের মাধ্যমে বন দফতরের কাছে ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বনাধিকারিক প্রশান্ত পাল জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা তাঁরাও চান। আলোচনা করেই অভিযান চালানো হবে। প্রশান্তবাবুর বক্তব্য, “যত দিন যাচ্ছে অবৈধ কাঠকলের সংখ্যা বাড়ছে। তাই অভিযান হবেই।” লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন বনাধিকারিক।
|
হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হল বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা গ্রাম। বুধবার মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতাল পাশের পিয়ারডোবা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ওই গ্রামের চাষজমিতে নেমে তাণ্ডব চালায়। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ ঘোষ বনদফতরের বাঁকাদহ অফিসে বিষয়টি জানান। রাতেই রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বনকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। তবে তার আগেই হাতিরা বৈদ্যনাথ সোরেনের একটি কাঁঠাল গাছ ভেঙে ফেলে। নষ্ট করে ধীরেন নিয়োগীর সবজি মাচা। ক্ষতি করে ধান জমি। বলাইবাবু বলেন, “সার্চ লাইট জ্বেলে বোমা, পটকা ফাটিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে হাতি দুটিকে জঙ্গলে পাঠান হয়।’’ কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রামে হাতির হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুর শহরে। বলাইবাবু বলেন, “হাতিরা যাতে শহরে ঢুকতে না পারে সেজন্য বনকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |