|
|
|
|
লন্ডন মিশন ফিরিয়ে নিতে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চায় চার্চ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² জিয়াগঞ্জ |
বেশ কিছু দিন ধরেই প্রচ্ছন্ন বিবাদ চলছিল। সরকার পরিবর্তনের পরে তা স্পষ্ট হয়ে উঠল।
ডায়াসিস অফ ব্যারাকপুর-এর দুই ফাদার ডেভিড রায় ও জয়োৎপল হাঁসদা মঙ্গলবার স্পষ্টই জানান, ওই হাসপাতাল সিপিএম পরিচালিত স্থানীয় পুরসভার হাত থেকে এ বার তাঁরা ফিরিয়ে নিতে চান। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল চত্বরের লেদ কারখানা করে পরিবেশটাই বিষিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার পদমপুর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়েও সোমবারই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তালা। |
 |
নিজস্ব চিত্র। |
জেলার ১৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করতে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই চার্চের সদস্য তথা আইএনটিইউসি’র মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক অসিত দে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কবে সময় দেন দেখা যাক। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক শাঁওনী সিংহ রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলার কংগ্রেসের ১৪ জন বিধায়ক ও ফাদাররা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবেন।” পুরপ্রধান তথা হাসপাতাল পরিচালন সমিতির সহ-সভাপতি শঙ্কর মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, “ফাদারদের ঘনিষ্ঠ অসিত দে-ই নামে ওই কংগ্রেস কর্মীই তো হাসপাতালের আসবাব চুরি করেছেন।” অসিতবাবু বলেন, “ঐতিহাসিক হাসপাতালের গাছ-সহ বহু সম্পদ লোপাট করেছেন শঙ্করবাবুরাই। ওই অপকর্মে বাধা দেওয়ায় আমাদের ১১ জনের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা মামলা দায়েরও করা হয়।” এই চাপানউতোর চলছেই।
হাসপাতালে বিক্ষোভ। কর্মী নেই। হাসপাতালের বেশিরভাগ যন্ত্রই অকেজো। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা জঙ্গিপুর হাসপাতালের। উন্নত পরিষেবার দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। কংগ্রেসের বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব বলেন, “চিকিৎসকেরা সময়মতো আসেন না। এমনকী হাসপাতালে রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে না।” সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “কর্মীরা অবসর নিচ্ছেন। নতুন কর্মী আসছে না। কী করে পরিষেবা দেওয়া যাবে।” |
|
|
 |
|
|