নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে অনেকেই ফোনে ধরার চেষ্টা করছিলেন তাঁকে। কিন্তু পাকিস্তানি সাংবাদিক সৈয়দ সেলিম শাহজাদের মোবাইল কখনও ছিল সুইচড অফ, কখনও বেজে বেজে কেটে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর এখন শাহজাদের মোবাইলের কল রেকর্ডে সেই সব ‘কল’-এর কোনও অস্তিত্বই পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্র এই দাবি করেছে।
২৯ মে শাহজাদকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অথচ রেকর্ড বলছে, শাহজাদ তাঁর মোবাইল থেকে শেষ ফোনটি করেছিলেন ১২ মে, ইসলামাবাদ থেকে। অর্থাৎ এর পরের ১৭-১৮ দিন ধরে তিনি কোথায় কোথায় ফোন করেছিলেন, বা কারা তাঁকে ফোন করেছিল, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই সংশ্লিষ্ট মোবাইল সংস্থার সার্ভারে নেই। শাহজাদের এক বন্ধুর দাবি, ৩০ তারিখ সকালে তিনি যখন ফোন করেন, তখন শাহজাদের মোবাইল কয়েক বার বেজে কেটে গিয়েছিল। শাহজাদের শ্যালক হামজা আমিরও বলেছেন, ২৯ মে বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে তিনি শাহজাদের মোবাইলে ফোন করে দেখেন, সেটি বন্ধ। এমনকী এর পরেও শাহজাদের ‘অপহরণ’ ও খুনের মামলা সব নিয়ম মেনে করা হয়নি বলে তাঁর দাবি।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির একটা বড় অংশ অবশ্য এখনও শাহজাদের খুনের পিছনে আইএসআইকে সন্দেহ করছেন। তাঁরা বলছেন, পাক নৌবাহিনীতে আল কায়দা ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করে প্রতিবেদন লেখারই মাসুল দিতে হয়েছে এই সাংবাদিককে।
|
২৬/১১ কাণ্ডে অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানার জেরার ভিডিও আজ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। ওই ভিডিওতে লস্কর জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগাযোগের কথা বলছেন রানা। তবে রানার স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী কখনওই ভারতে হামলা চালানোয় সাহায্য করবেন না। আজ রানা-মামলায় সওয়াল শেষ হল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে রানার জেরার একটি ভিডিও আদালতে পেশ করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে রানা বলেছেন, পাক সেনাবাহিনীতে তিনি এক সময়ে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। পরে পাকিস্তানের হিমবাহ অধ্যুষিত এলাকায় কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে সেনা ছাড়তে হয়। এফবিআই জানিয়েছে, নিজের “যোগাযোগ” কাজে লাগিয়ে রানাকে পাকিস্তানে ফিরতে সাহায্য করতে চেয়েছিল হেডলি। আইএসআইয়ের সাহায্যও চেয়েছিল সে।
রানা মামলায় আদালতে হাজির ছিলেন তাঁর স্ত্রী সমরাজ। তিনি বলেছেন,“ভারত আমার নিজের দেশের মতোই। আমার অনেক আত্মীয় দিল্লি, মেরঠ ও গাজিয়াবাদে থাকেন। আমার স্বামী কেন সে দেশে হামলা চালাতে সাহায্য করবেন?” সমরাজের দাবি, হেডলি তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ছিল। পাকিস্তানে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়ে রানার সঙ্গে হেডলির পরিচয় হয়। পরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে হেডলি। বেশ কয়েক বার পুলিশের খপ্পরেও পড়েছিল সে। পরে হেডলি রানাকে জানায়, নিজেকে বদলে ফেলেছে সে। রানা হেডলির কথা বিশ্বাস করে তাকে পরিবারে স্থান দিয়েছিল। |