পূর্ব কলকাতা:লেকটাউন, বারাসাত
সংস্কার কবে
বেহাল রাস্তা

মদম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাদ্রা মাঠের পাশের একটি ভ্যাটের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। খেলার মাঠের পাশে প্রায় ১৫০ বর্গফুটের ওই ভ্যাটটি নিয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার কর্মীরা নিয়মিত ভ্যাটটি পরিষ্কার করেন না। ফলে মশা-মাছি আর দুর্গন্ধে নাকাল হতে হয়।

বাদ্রা খেলার মাঠের পাশে (দুর্গানগর স্টেশন রোডের এক পাশে) বছর তিনেক আগে তিন দিক ঘেরা ওই ভ্যাটটি তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভ্যাটটি তৈরির সময়ই এলাকার মানুষ আপত্তি তোলেন। বাসিন্দাদের আপত্তিতে কান দেয়নি তৎকালীন পুরবোর্ড। নিয়মিত পরিষ্কার করার আশ্বাস দিয়ে ওই ভ্যাট তৈরি হয়। কিন্তু এখন ভ্যাট নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। কোনও দিন আংশিক দিন ময়লা তোলা হয়। ফলে ভ্যাটেই আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।”

ভ্যাটটি দুর্গানগর স্টেশন রোডের এক ধারে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হলেও লাগোয়া অঞ্চল ১ নম্বর , ২ নম্বর, ৭ নম্বর এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িগুলি থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনাও পুরকর্মীরা এই ভ্যাটে ফেলেন। পুরসভার নিয়মানুযায়ী, এর পরে ওই ভ্যাট থেকে সমস্ত আবর্জনা বড় গাড়িতে তুলে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রমোদনগরে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকা কর্মীরা রোজ ভ্যাট পরিষ্কার করতে আসেন না। কয়েক দিন পর পর ভ্যাটের আবর্জনা তোলা হয় এবং প্রতি বারই ভ্যাট পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। আবর্জনা পচতে থাকে ভ্যাটে। দুর্গন্ধে নাকাল হন এলাকার বাসিন্দাদের।
বারাসত পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা নিবেদিতাপল্লি মেন রোড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। প্রতি দিন যাতায়াত করতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন রাস্তাটি এই অবস্থায় রয়েছে।
রাস্তার মাঝে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। রাস্তার এক দিকের মাটি পাশের নয়ানজুলির দিকে হেলে রয়েছে। এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা খাতায় কলমে ১৮ ফুট চওড়া হলেও সাত বছর আগে ১০ ফুট ঢালাই করা হয়। মাটি বসে যাওয়ায় কয়েকটি জায়গায় ঢালাই ফেটে গিয়েছে। চাঙড় উঠে তৈরি হয়েছে অংসখ্য গর্ত। কয়েকটি জায়গায় অর্ধেকের বেশি রাস্তার ঢালাই ফেটে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিবেদিতাপল্লি মেন রোডে রিকশা বা ভ্যান যাওয়ার সময়ে এক দিকে কাত হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন যাত্রী ও চালক। রাস্তার অবস্থা এমনই খারাপ যে এলাকার কেউ অসুস্থ হলেও অ্যাম্বুল্যান্স আসতে চায় না। স্থানীয় বাসিন্দা অমিতাভ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘রাস্তাটি নয়ানজুলির দিকে হেলে রয়েছে বলে যাতায়াত করতে গেলে গাড়ি কাত হয়ে যায়। এক বার শব নিয়ে যাওয়ার পথে শববাহী গাড়ি শবসুদ্ধ সোজা নয়ানজুলিতে গড়িয়ে পড়েছিল।”

নিবেদিতাপল্লি মেন রোড দিয়ে নিবেদিতাপল্লি, আরদেবক, হেমন্ত বসু কলোনি ছাড়াও পালপাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের ব্যস্ত সময়ে রাস্তায় রিকশা, ভ্যান ও পথচারীদের জটে কার্যত গতি রুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ সময়ে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা স্কুলের ছোট ছেলেমেয়েরা সমস্যায় পড়ে। রাতে যাতায়াত করতে গেলে গর্ত বুঝতে না পেরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পুরসভাকে বহু বার জানানো হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, এই রাস্তাটি ও পাশের নয়ানজুলির মধ্যে গার্ডওয়াল ছিল না। ফলে বড় রাস্তা তৈরি করাও যাচ্ছিল না। বারাসতের সাংসদ ও পুরসভার মিলিত অর্থে গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এর পরে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”

ছবি: সুদীপ ঘোষ
Previous Story

Kolkata

Next Story

 



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.