টুকরো খবর

খাদ্যে ভেজাল, জেল হোটেল মালিকের
খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত হলেন শান্তিনিকেতনের এক হোটেল মালিক ও তার ম্যানেজার। সোমবার বোলপুরের এসিজেএম সোমেশপ্রসাদ সিংহ হোটেলের মালিক কৃষ্ণা সাহা এবং ম্যানেজার দীনবন্ধু ভট্টাচার্যকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান। সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সুদীপ সরকার বলেন, “১৯৯৯ সালের ১২ অগস্ট শান্তিনিকেতন রোডের ধারে ভুবনডাঙার একটি হোটেল পরিদর্শনে যান বোলপুরের তৎকালীন খাদ্য পরিদর্শক। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ বিধি অনুযায়ী ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১৯ অগস্ট বোলপুর আদালতে অভিযোগ করেন তৎকালীন সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।” হোটেলের লাইসেন্স, খাবারের উপাদান-সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখেই মামলা হয়েছিল বলে জানান সুদীপবাবু।

রোগিণীর মৃত্যু, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসা বিভ্রাটে এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করল জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরের মানিকতলায় একটি নার্সিংহোমে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয় বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম ঝুমা গঙ্গোপাধ্যায় (২৭)। ভুল চিকিৎসায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির লোক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে ঝুমার ডান হাত ভেঙে যাওয়ায় হাতে স্টিলের প্লেট বসানো হয়। অস্ত্রোপচার করে ওই প্লেট বের করার কথা ছিল। সেই মতো সোমবার সকালে ঝুমাকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয়। ঝুমার আত্মীয়-স্বজন জানান, অস্ত্রোপচারের পরেই তাঁর খিঁচুনি শুরু হয়। ঝুমার আত্মীয় দেবার্ঘ রায়চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, “অ্যানাস্থেসিয়া প্রয়োগে ভুল হওয়াতেই ঝুমার শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু এর পরেও ওর উপযুক্ত চিকিৎসায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আন্তরিক ছিলেন না। ভুল চিকিৎসাতেই মৃত্যু হল।” মৃত্যুর খবরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মঙ্গলবার সকালে দোষী চিকিৎসক এবং চিকিৎসা-কর্মীদের শাস্তির দাবিতে বটতলায় জিটি রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শহরে এসেই হাসপাতালে
৩৪ বছরের বাম রাজত্বে টানা ২৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন। দায়িত্বে থাকাকালীন রাজ্যের পূর্বতন কারামন্ত্রী কখনও বেহাল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের অবস্থা নিয়ে মাথা ঘামাননি। একই দফতরের দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তী বালুরঘাট শহরে পা দিয়েই জেলা হাসপাতালের রোগী পরিষেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নজরদারি শুরু করে দিলেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর গাড়ি বালুরঘাট শহরে ঢোকার মুখে রঘুনাথপুরের দিকে ঘুরে যায়। হাসপাতালের তিন তলা ভবনের ওয়ার্ডগুলিতে ঢুঁ মারেন তিনি। পুরুষ চিকিৎসা বিভাগে গিয়ে কথা বলেন রোগীদের সঙ্গে। অভাব অভিযোগ শুনে ঢোকেন শল্য বিভাগে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব। শঙ্করবাবু বলেন, “এক্স রে প্লেটের মান খারাপ। একটি এক্স রে যন্ত্র অকেজো। রক্ত পরীক্ষার যন্ত্র ঠিকঠাক চলে না। ইসিজি যন্ত্রও ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ। তাই কাজ করতে গিয়ে কী কী সমস্যা হচ্ছে সেটা অবিলম্বে জানানোর জন্য সুপারকে বলেছি।”

বিক্ষোভ

আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা-সহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। মঙ্গলবার হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠন সভাপতি মিহির দত্ত জানান, মহকুমা হাসপাতালে অরাজকতা চলছে। রোগী আসা মাত্রই অন্যত্র ‘রেফার’ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেও মদ্যপদের আনাগোনা বাড়ছে।

Previous Story Swasth First Page




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.