শেষ চারে ফেডেরার

রাসি ওপেন সেমিফাইনালে ফেডেরার-ডকোভিচ যুদ্ধ চূড়ান্ত হওয়ার দিনই নাদাল বলে দিলেন, তিনি এ বার রোলাঁ গারোয় হয়তো চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন না। বিয়র্ন বর্গের সর্বাধিক ছ’বার ফরাসি ওপেন জেতার রেকর্ড ছোঁয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন ক্লে কোর্ট সম্রাট।
স্থানীয় ফরাসি সেরা বাজি মঁফিলকে ৬-৪, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৩) হারিয়ে ফেডেরার তাঁর শেষ ২৮ গ্র্যান্ড স্লামে ২৬ বার সেমিফাইনালে উঠলেন। ডকোভিচ আবার এ বছর ৪১ ম্যাচে একটাও হারেননি। ফেডেরারের বিরুদ্ধেও এ মরসুমে ৩-০ এগিয়ে। অসাধারণ গ্র্যান্ড স্লাম ধারাবাহিকতা বনাম অনবদ্য টাটকা ফর্মের যুদ্ধকে টেনিসমহলে অনেকে এ বার ফরাসি ওপেনের ‘দ্য ম্যাচ’ হিসাবে ভাবছেন।
ভাবনাকে আরও উস্কে দিচ্ছেন নাদাল। তাঁর সামনে কোয়ার্টার ফাইনালে সোডারলিং পড়াতেই হয়তো বিশ্বের এক নম্বরের দুশ্চিন্তা। ক্লে কোর্ট মেজর-এ নাদাল কেরিয়ারে এক বারই হেরেছেন এবং সেটা সোডারলিংয়ের কাছেই দু’বছর আগে। হয়তো সেই দুঃস্বপ্ন থেকেই নাদাল বলেছেন, “এ বার এখানে ট্রফি জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো খেলতে পারছি না। তবে এখানে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ষষ্ঠ বার হতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই আমার।” ডকোভিচ ফাইনালে উঠলেই তিনি বিশ্বের এক নম্বর হয়ে যাবেন। সেটা নিয়েও নাদালের দার্শনিক মন্তব্য, “আর এক সপ্তাহ এক নম্বরে হয়তো আছি। সেটা হারাতে হলেও জানব, বহু সপ্তাহ এই আসনেই ছিলাম।”
মেয়েদের সেমিফাইনালে উঠলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন শিয়াভোনে। রাশিয়ার পাভলুচেঙ্কোভাকে ১-৬, ৭-৫, ৭-৫ হারিয়ে। প্রথম তিন বাছাই বিদায় নিয়েছেন। শিয়াভোনের প্রধান চ্যালেঞ্জার এখন শারাপোভা। এ দিকে ডাবলস সেমিফাইনালে সানিয়া-ভেসনিনার সামনে পড়লেন অভিজ্ঞ হুবার-রেমন্ড জুটি।

Previous Story Khela Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.