টুকরো খবর
 

সিয়াচেন, ভারত-পাক মতৈক্য হল না

প্রায় সব বিষয়ে মতানৈক্য বজায় রেখেই ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিবদের বৈঠক শেষ হল। তিন বছর আগে শেষ বৈঠকের মতোই এ বারেরও বৈঠকের বিষয় ছিল সিয়াচেন। বরফে ঢাকা বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ে যাবতীয় বরফ এই বৈঠকে গলে যাবে, এমন কোনও আশা কেউই করেননি। কিন্তু কোনও বিষয়েই ঐকমত্য তৈরি হওয়া না থেকে স্পষ্ট, পাকিস্তানের মাটিতে ওসামা-নিধন এবং ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসে আইএসআই-এর ভূমিকা নিয়ে লস্কর জঙ্গি ডেভিড হেডলির বিবৃতির পর এখনই নরম সুর নিতে আগ্রহী নয় নয়াদিল্লি। বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে একটি মাত্র সিদ্ধান্তেরই উল্লেখ রয়েছে। তা হল, দু’দেশ ফের প্রতিরক্ষা সচিব পর্যায়ে বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং সেটা হবে ইসলামাবাদে। ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব প্রদীপ কুমারের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও পাক প্রতিরক্ষা সচিব সৈয়দ আতাহার আলি দিল্লিতে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দু’পক্ষই সিয়াচেন নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে নড়তে চায়নি। তবে সিয়াচেনে যে ২০০৩ সাল থেকেই সংঘর্ষবিরতি রয়েছে, তা দু’পক্ষই মেনে নিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের দাবি মেনে ভারত সিয়াচেনের পবর্তশৃঙ্গ থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়নি।
 
কংগ্রেসের বই নিয়ে ফের বিতর্ক

পঞ্জাবে জঙ্গি সন্ত্রাসের জন্য কংগ্রেসের ইতিহাস নিয়ে লেখা একটি বইয়ে ইন্দিরা গাঁধীকে পরোক্ষ ভাবে দায়ী করা হয়েছে। ওই বই প্রকাশের দায়িত্ব ছিল কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সম্পাদকমণ্ডলীর উপরে। বইটির বক্তব্য, সঞ্জয় গাঁধী ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞানী জৈল সিংহের কিছু পদক্ষেপের জন্যই ওই সন্ত্রাসের জন্ম হয়। ইন্দিরাকে না জানিয়ে সঞ্জয় ও জৈল সিংহের পক্ষে এ কাজ সম্ভব ছিল না। বইয়ের “ইন্দিরা গাঁধী: একটি পর্যালোচনা” শীর্ষক অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, ১৯৭২-এ পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গড়ে কংগ্রেস। পঞ্জাবে অকালি দলের প্রভাব কমাতে শিখদের ধর্মীয় আবেগ নিয়ে রাজনীতি শুরু করে তারা। সঞ্জয় গাঁধীর মদতে মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞানী জৈল সিংহ জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালে নামে এক শিখ ধর্মযাজককে অকালিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন। পরে ভিন্দ্রানওয়ালের নেতৃত্বেই রাজ্য ও কেন্দ্র-বিরোধী লড়াই শুরু হয়। তা দমন করতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে “অপারেশন ব্লুস্টার” অভিযানে নামে সেনাবাহিনী।

মেঘালয়ে নয়া খনি নীতি শীঘ্রই

দু’মাসের মধ্যেই মেঘালয়ের খনি নীতি চূড়ান্ত হতে চলেছে। মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা খনি মন্ত্রী বিন্দো এম লানোং বলেন, “খনি নীতির খসড়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য সেটি পেশ করা হবে।” খনি নীতির খসড়া তৈরি করতে এত দেরি হওয়ার জন্য বিরোধী বিধায়কদেরই দায়ী করেছেন লানোং। তিনি বলেন, “বিরোধীরা দাবি করেছিল খনি নীতি নিয়ে তাঁদের মতামতও শুনতে হবে। অথচ যখন মতামত জানতে চাওয়া হল, তখন কেউই তা পাঠাচ্ছে না।” তবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন, গ্রামসভা, পঞ্চায়েতের মতামত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত নীতিতে অরণ্যরক্ষা, জমি ইজারা দেওয়ার প্রথায় স্বচ্ছতা ও পরিবেশ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় পরিষদগুলির আপত্তিতে বিদেশি বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।

পীযূষের জামিন

মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসাবে পরিচিত কলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ জি এস সিঙ্ঘভি ও সি কে প্রসাদের বেঞ্চ দু’লক্ষ টাকার বন্ড ও এক লক্ষ টাকা করে দুই জামিনদারের বিনিময়ে জামিন দেয় তাঁকে। বেঞ্চ বলে, “কেউ কোনও আদর্শে বিশ্বাস করে সমাজ সংস্কারের জন্য বিপ্লবের ডাক দিতে পারেন। শুধু এই কারণেই তাঁকে অপরাধী বলা যায় কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।” মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে পীযূষ গুহ, চিকিৎসক বিনায়ক সেন ও তাত্ত্বিক নকশাল নেতা নারায়ণ সান্যালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ছত্তীসগঢ়ের নিম্ন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে ছত্তীসগঢ় হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পীযূষ গুহ। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ছত্তীসগঢ় হাইকোর্ট। এর পর পীযূষ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।

গুজরাতের প্রশংসা করে বিপাকে পৃথ্বীরাজ
গুজরাতের প্রশংসা করে বিতর্কে জড়ালেন আরও এক জন। এ বার ব্যক্তিটি নিজেও মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সরকারের কর্ণধার পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ। মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে গুজরাতের প্রশংসা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি কৃষিতে গুজরাতের উন্নতির প্রশংসা করেন চহ্বাণ। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, “যদি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করে থাকেন তবে তা নিয়ে তাঁকেই প্রশ্ন করা উচিত।”
 

উপদেষ্টা পরিষদ ও ফিকি-র বিরোধ

শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধিতা করল বণিকসভা ফিকি। যে সব ক্ষেত্রে ৪০০টি বা তার চেয়ে বেশি পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে সে সব ক্ষেত্রে কৃষকদের কাছ থেকে শিল্পসংস্থার সরাসরি জমি কেনার বিরোধিতা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। কিন্তু, এই বক্তব্য মানতে রাজি নয় ফিকি। তাদের মতে, সরাসরি জমি কেনার অধিকার শিল্পসংস্থার থাকা উচিত। জমি কেনার ক্ষেত্রে হরিয়ানা মডেলই হল উপযুক্ত পথ। ওই মডেল অনুসারে, বাজারদর অনুযায়ী জমির দামের পাশাপাশি জমি মালিকদের ৩৩ বছরের জন্য অ্যানুইটি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে এই প্রস্তাব প্রকাশ করে উপদেষ্টা পরিষদ।

Previous Story Desh First Page




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.