ভারতীয়দের ভুটানে যাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম বরাবরই মানতে হয়। গাড়িতে ওই দেশে ঢোকার আগে ফুন্টশেলিং-এর ভুটানের অভিবাসন দফতর থেকে নির্দিষ্ট দিন, এলাকা উল্লেখ করে পারমিট নিতে হয়। সেই ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া অন্য কিছু প্রমাণ হিসাবে জমা দিলে তা আবার জয়গাঁয় ভারতীয় অভিবাসন দফতরে দেখিয়ে অনুমতি নিতে হয়। গাড়ি এবং চালকদের জন্য আলাদা পারমিট, অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। ভারতীয়দের পারমিট কেবলমাত্র থিম্পু এবং পারোর জন্য দেওয়া হয়। পুনাখা-সহ অন্যত্র কোথাও যেতে হলে থিম্পু অভিবাসন দফতর থেকে আবার পারমিট নিতে হয়। শুধু তাই নয়, সেদেশের কয়েকটি ধর্মীয় জায়গা দেখার জন্য ভুটানের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে স্পেশাল পারমিট করতে হয়। বিশেষ অনুমতিক্রমে অবশ্য অনেক সময় কলকাতায় ভুটান দূতাবাস থেকে পারমিট দেওয়া হয়। সরকারি সূত্রের খবর, ব্যবসা এবং কাজকর্ম ছাড়া কেবলমাত্র প্রতিদিন সড়কপথে ৬০০ থেকে ৭০০ ভারতীয় ভুটান যাচ্ছেন। বিমানে যাতায়াতকারীর সংখ্যাও আছে। সে জন্য মূলত জয়গাঁ থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়। ওই গাড়ির চালকেরা ভুটানের এলাকাগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই ধরনের ১৩০টি গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ভুটানে যাওয়ার জন্য শিলিগুড়িতে হাতে গোনা কিছু গাড়ি রয়েছে। ওই নতুন নিয়মের জেরে গাড়ি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন। জয়গাঁর পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি সুরেশ ঠাকুরি বলেন, “বহু গাড়ি চালক এবং গাড়ির মালিক ভুটানের উপর নির্ভরশীল। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ‘পারমিট’ তৈরি করে যে কোনও সময় ভুটানে যাতায়াত করা যেত। নয়া নিয়মে সমস্যা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার ও রবিবার ভারতীয় অভিবাসন দফতর বন্ধ থাকাতেও সমস্যা হচ্ছে।” এই ব্যাপারে ভুটানের ফুন্টশেলিং অভিবাসন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সাঙে তেনজিং অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |