মোদীকে রুখতে ‘চায়ে চুমুক’ আরজেডি-র
সংবাদ সংস্থা |
মোদীকে দেখে চায়ের দোকান খুললেন লালুও!
‘চা’কে কেন্দ্র করে ক্রমেই জমে উঠেছে ভোটের বাজার। চায়ের সঙ্গে আড্ডার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। আর সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে চা-কে রাজনীতির ময়দানে আমদানি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রথম জীবনের ‘চা-ওয়ালা’ পরিচয়টিকে নির্বাচনী প্রচারে কাজে লাগাতেই এই চমক আনা হয়েছিল। তিনি যে সমাজের তৃণমূল স্তর থেকে উঠে মানুষ, সাধারণ মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়াই ছিল এ ক্ষেত্রে বিজেপির লক্ষ্য। কিন্তু মোদীর চায়ের পেয়ালায় এ বার ভাগ বসালেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। শনিবার ‘চায়ের সঙ্গে আড্ডা’ নিয়ে মুজফফরনগরের বিভিন্ন জায়গায় প্রথম রাজনৈতিক প্রচার শুরু করল আরজেডি।
আগামী ৩ মার্চ মুজফফরনগরে সভা করতে আসছেন মোদী। সেই উপলক্ষে গত এক মাস ধরে এই জেলায় চায়ের দোকান খুলে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু সেই মোদী ম্যাজিক ঠেকাতে এ বার তাঁরই চা নিয়ে রাজনৈতিক প্রচারে আরজেডি।
এ দিন আরজেডির মুখপাত্র ইকবাল শামি জানিয়েছেন, ‘লালুর চায়ের দোকান’-এ প্রতি সন্ধ্যায় এক হাজার কাপ চা ও বিস্কুটের ব্যবস্থা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে নানা বিষয়ে আলোচনা। তিনি জানান, জেলায় প্রথম চায়ের দোকানটি খোলা হয় ২০ ফেব্রুয়ারি আহিয়াপুরে। এর পর বোচাহা মোড় ও বেরিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে আরও দু’টি দোকান খোলা হয়। জনমানসে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি গ্রামে ও ব্লকে চায়ের দোকান খুলে প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আরজেডি-র ওই মুখপাত্র। |
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শরণার্থীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি মোদীর
সংবাদ সংস্থা |
হিন্দু শরণার্থী অধ্যুষিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গিয়ে হিন্দুত্বের তাস খেললেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।
লাঞ্ছিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে চলে আসা হিন্দুদের ঠিকানা আর শরণার্থী শিবির নয়, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করবে তাঁর সরকার। শনিবার অসমের শিলচরে গিয়ে এমন প্রতিশ্রুতিই দিলেন মোদী। তাঁর দাবি, কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই শরণার্থী শিবিরগুলিকে উঠিয়ে দেওয়া হবে। এ দিন স্থানীয় রামনগরের জনসভায় তিনি বলেন, “অন্য দেশগুলিতে হিন্দুরা হেনস্থা বা দুর্ভোগের কবলে পড়লেও আমাদের একটা দায়িত্ব থেকে যায়। তাঁরা কোথায় যাবেন? ভারতই তাঁদের একমাত্র জায়গা। আমাদের সরকার কোনও ভাবেই আর হিন্দুদের হেনস্থা বরদাস্ত করবে না। তাঁদের এ দেশে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।”
এর আগে অটলবিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তান থেকে হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে গুজরাত এবং রাজস্থানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে সময়ে সরকারি উদ্যোগে তাঁদের বিভিন্ন রাজ্যে স্থানান্তরিত করে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদী জানিয়েছেন, এই দায়ভার শুধু অসমকে নিতে হবে না, দেশের যে কোনও জায়গাতেই তাঁরা নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে পারবেন। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধাও তাঁদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিনের বক্তৃতায় মোদী অসম সরকারকেও একহাত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে এই সরকার হিন্দুদের শরণার্থী শিবিরগুলিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। পাশাপাশি তিনি সন্দেহজনক ভোটার প্রসঙ্গেও কংগ্রেসের নীতিকে কটাক্ষ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে মোদী বলেন, “কমিশনের উচিত ‘সন্দেহজনক ভোটার’ বিষয়টি তুলে দিয়ে এই মানুষদেরও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া।”
|
নারকেলডাঙায় বোমা ফেটে মৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা
|
বাড়ির কাছেই বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে কলকাতার নারকেলডাঙা নর্থ রোডে। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ এহেসান ওরফে আমজাদ। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে সোহেল খান নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি পিস্তল। সেটি আমজাদেরই বলে অনুমান তদন্তকারী অফিসারদের।
শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ নারকেলডাঙা মোড়ে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সোহেল ও মোহিনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে আমজাদ। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, আমজাদ তাদেরকে খুনের হুমকি দেয়। এমনকী, বচসার সময় সে পিস্তল বার করে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এর পরে সোহেলরা ধাওয়া করে তাকে। দৌড়ে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় আমজাদ। সেই সময়েই তার প্যান্টের পকেটে থাকা একটি দেশি বোমা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমজাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
|
বালিতে মোটরবাইকে চেপে ছিনতাই ৪০ হাজার টাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বাম্পারের সামনে সাইকেলের গতি আস্তে করতেই পাশে দৌড়ে এল এক যুবক। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাইকেল আরোহীর হাতে থাকা ব্যাগে সজোরে টান মারল সে। ব্যাগের হাতল ছিঁড়তেই তা নিয়ে দৌড়ে সামনে থাকা মোটরবাইকে উঠে চম্পট।
শনিবার সকালে এমন ভাবেই বালিতে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালাল তিন যুবক। আর এই ঘটনার পরে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখান দিয়েই সকালে অফিস যাত্রীরা ট্রেন ধরতে বালি স্টেশনে যান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন, ছিনতাইবাজেরা জানতেন কোন সময় ওই ব্যক্তি কোন রাস্তা দিয়ে স্টেশনে যাবেন। এমন কী এ দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে ওই ঠিকাদারের পরিচিত কোনও ব্যক্তিই ছিনতাইবাজদের খবর দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বালি বাঁকেরডাঙা এলাকার বাসিন্দা বাবলু বিশ্বাস বালি পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের ঠিকাদার। প্রতি শনিবার তিনি বালি থেকে ট্রেনে চেপে লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণীতে পুরসভার ওয়ার্ড অফিসে যেতেন কর্মীদের সাপ্তাহিক বেতন দিতে। সেই মতো এ দিনও সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেলে চেপে স্টেশনে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে ওই ঘটনা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে বাঁকেরডাঙায় বাবলুবাবুর বাড়ির সামনে মোটরবাইকে চেপে তিন যুবককে ঘুরতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে বাড়ির সামনে বাবলুবাবুর সাইকেল না দেখে মোটরবাইক নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে বেরিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে ওই তিন যুবকই ছিনতাইবাজ কি না তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা। |