সাধারণ নির্বাচনের সময় আইপিএলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয়, বোর্ডকে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে নির্বাচনপর্ব মিটে গেলে আইপিএলের একটা অংশ দেশে করা গেলেও যেতে পারে। ফলে আইপিএল-কে দু’ভাগে ভাগ করে চূড়ান্ত পর্বটি দেশের মাঠে করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গেল বোর্ডে। আগামী শুক্রবার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
বৃহস্পতিবারই বোর্ডের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল ও আইপিএল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রঞ্জীব বিসওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। বৈঠকে বোর্ড কর্তাদের শিন্দে জানিয়ে দেন, বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য বাড়তি এক লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান প্রয়োজন, তাই ওই সময় আইপিএলের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা অসম্ভব। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইপিএল ম্যাচের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা কঠিন।” বোর্ডের এক সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, ১১ মে-র পর হয়তো নিরাপত্তাবাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে বলে এ দিনের বৈঠকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেহেতু আইপিএলের জন্য ৯ এপ্রিল থেকে ৩ জুনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাই মে-র মাঝামাঝি থেকে আইপিএল ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম দিকের ম্যাচগুলো হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে। কোনও কোনও মহল থেকে শ্রীলঙ্কার নামও আবার নতুন করে শোনা যাচ্ছে। যেহেতু শ্রীনিবাসনের ভারতের সঙ্গে তাদের বোর্ড বিবাদ মিটিয়ে পছন্দের লিস্টে ঢুকে পড়েছে। যদিও সম্ভাবনার বিচারে এখনও অনেক এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর নক আউট পর্ব, ফাইনাল-সহ লিগ পর্যায়ের শেষ দিকের কিছু ম্যাচ হতে পারে ভারতে।
বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল অবশ্য এমন ইঙ্গিত আগে দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ না জেনে তাঁরা এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন না বলে জানিয়েছেন। আগামী শুক্রবার ভুবনেশ্বরে একই দিনে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। যেখানে আইপিএলের ব্যাপার নিয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ার কথা।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রঞ্জীব বিসওয়াল এ দিন বলেছেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যেহেতু মে-র মাঝামাঝি পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলছে, তাই আইপিএলের প্রথম ভাগ বিদেশেই হবে।” আইপিএল সেভেন বিদেশে হলে তার জন্য ব্যয় যে যথেষ্ট বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। ফলে বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির আয় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে। সে জন্যই অন্তত অর্ধেক ম্যাচ ভারতে করার উপর বেশি জোর দিচ্ছে বোর্ড। বিসওয়াল বলেন, “আইপিএল কাউন্সিলের বৈঠকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে একটা ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের প্রস্তাব দেওয়া হবে। আইপিএল বিদেশে হলে তাদের যা আর্থিক ক্ষতি হবে, তা যথাসম্ভব কমানোর জন্যই এই প্যাকেজ। তারা তা মেনে নিলে প্রথম দিকটা বিদেশে হতে অসুবিধা নেই।”
হিসাব বলছে, অর্ধেক সংখ্যক ম্যাচ বিদেশে হলে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির আয় ৪০-৫০ শতাংশ কমে যাবে। শুধু তা-ই নয়, আইপিএল থেকে সরকারের আয়ও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে যদি অর্ধেক টুর্নামেন্ট বিদেশে হয়। পুরোটাই বিদেশে হলে তো আয় হবেই না। এক মার্কিন সমীক্ষা সংস্থা স্পোর্টস ইকোনমিক্সের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-র আইপিএলে তারা ফিরোজ শাহ কোটলায় যে ছ’টি হোম ম্যাচ খেলেছিল, তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর বাবদ দিল্লি সরকারের আয় হয়েছিল ৯৬ কোটি টাকা। এ বার অর্ধেক টুর্নামেন্ট বিদেশে সরে গেলে প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজির ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় কমে যেতে পারে। পুরোটা বিদেশে হলে তো ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ।
|
বোর্ডের এক সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, ১১ মে-র পর হয়তো নিরাপত্তাবাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে বলে এ দিনের বৈঠকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেহেতু আইপিএলের জন্য ৯ এপ্রিল থেকে ৩ জুনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাই মে-র মাঝামাঝি থেকে আইপিএল ভারতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম দিকের ম্যাচগুলো হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে। কোনও কোনও মহল থেকে শ্রীলঙ্কার নামও আবার নতুন করে শোনা যাচ্ছে। যেহেতু শ্রীনিবাসনের ভারতের সঙ্গে তাদের বোর্ড বিবাদ মিটিয়ে পছন্দের লিস্টে ঢুকে পড়েছে। যদিও সম্ভাবনার বিচারে এখনও অনেক এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। |
|