|
|
|
|
অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট |
পাকিস্তানকে হারিয়ে শুরু ভারতের অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদন |
যেখানে শেষ করেছিলেন আমির গনিরা, সেখান থেকেই ফের অভিযান শুরু করলেন তাঁরা। গত মাসে শারজায় জুনিয়র এশিয়া কাপ জেতার পর এ বার সেই পাকিস্তানকে হারিয়েই জুনিয়র বিশ্বকাপ শুরু করল ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দল। শনিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের উপর রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করে ৪০ রানে জিতলেন ভারতের জুনিয়র ক্রিকেটাররা। এই জয়ে কৃতিত্ব যেমন পাঁচ উইকেট পাওয়া অফ স্পিনার দীপক হুডার (৫-৪১), তেমনই দুই ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান (৭৪) ও সঞ্জু স্যামসনেরও (৬৮)। প্রসঙ্গত, হুডা-সঞ্জু দু’জনই এ বার রাজস্থান রয়্যালসে রয়েছেন। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৯৪-৪ হয়ে যাওয়ার পর সঞ্জু-সরফরাজের ১১৯-এর পার্টনারশিপই ভারতকে ২৬২-র ‘সুরক্ষিত’ ইনিংস গড়ে দেয়।
এমন ঘূর্ণি উইকেটে এই রানটাকেই যে সুরক্ষিত বলা যায়, তা প্রমাণ করেন বরোদার হরিয়ানাজাত অফ স্পিনার দীপক হুডা, পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামিয়ে। এই উইকেটে যথেষ্ট সতর্ক হয়ে না খেললে যে ব্যাটসম্যানরা বিপদে পড়বেনই, তা বুঝে নিয়েই ভারতের দুই ব্যাটসম্যান এগিয়ে যান। সরফরাজ যেখানে প্রথম ১৫ বলে কোনও রান না করার পর হঠাৎ গিয়ার তুলে দিয়ে পাঁচটি চার ও একটি ছয় মেরে ৭৮ বলে ৭৪ রান করেন। সেখানে সঞ্জু ধীর গতিতে এগিয়ে যান। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সরফরাজকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া। পাকিস্তানি ওপেনাররা তাঁদের মডেলই অনুসরণ করলেও অন্যরা পারেননি।
বাংলার আমির গনি, যিনি এক উইকেট নেন ৩৮ রান দিয়ে, পাক স্কোরবোর্ডে ১০৯ রান উঠে যাওয়ার পর তিনিই প্রথম ওপেনার ইমাম উল হকের উইকেট নিয়ে লকগেট খোলেন। দুই ওপেনার সামি আসলাম (৬৪) ও হক (৩৯) পাকিস্তানকে ১০৯-০-য় পৌঁছে দেওয়ার পর তারা ১৬০-৫ হয়ে যায় হুডার চতুর স্পিনের ফাঁদে পড়ে। চার থেকে ন’নম্বর ব্যাটসম্যানকে তিনিই ফেরান। এর মধ্যে একটি রান আউটেও তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। এর পর মূলত তাঁর দাপটেই ২২২-এ অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। আর কোনও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। |
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ২৬২-৭ (সরফরাজ খান ৭৪, সঞ্জু স্যামসন ৬৮)
পাকিস্তান ২২২ (সামি আসলাম ৬৪, দীপক হুডা ৫-৪১) |
|
|
 |
|
|