টুকরো খবর
চোর ধরতে গিয়ে প্রহৃত পুলিশ
চোরের উৎপাতের খবর পেয়ে গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তখনই বাধল পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পিংলার জলচকের পিলেশ্বরী গ্রামে। সংঘর্ষে জখম হন চার পুলিশকর্মী ও সাত গ্রামবাসী। চোর সন্দেহে আটক হওয়া ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয় পিংলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সন্দেহভাজনদের একটি মোটর বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিলেশ্বরী গ্রাম ঘেঁষা জোহাট, নারায়ণদিঘি, পিংলাগঞ্জ, পূর্বজলচক গ্রামে সম্প্রতি চোরের উৎপাত বেড়েছে। দিন কুড়ি আগে ওই এলাকায় ৩টি বাড়িতে চুরি হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় পাওয়ার টিলার, জেনারেটর, ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশ-সহ বহু জিনিস খোওয়া যায়। গ্রামগুলিতে রাতপাহারার ব্যবস্থাও হয়। বৃহস্পতিবার রাতে দু’টি মোটর সাইকেলে কয়েকজন অপরিচিত যুবক এলাকায় জড়ো হলে গ্রামের লোকেরা ছুটে যায়। একটি মোটর সাইকেলে তিনজন চম্পট দিলেও ধরা পড়ে যায় তিনজন। তাদের চোর সন্দেহে পাকড়াও করে মারধর করে গ্রামবাসীরা। দু’জনকে স্থানীয় স্কুলে ও এক জনকে ক্লাবে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘন্টা খানেক বাদে পুলিশ এলে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ উগরে দেন। ক্লাবে আটক সন্দেহভাজন যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ গাড়িতে তুললে গ্রামবাসীরা আরও চটে যায়। তখন পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে গ্রামবাসী ইট ছোড়ে। পুলিশ-জনতা হাতাহাতি বেধে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ব্লক তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক চণ্ডী সামন্ত বলেন, “খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিলাম। আমারও চোট লাগে।”

পিছোল চার্জগঠন
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের দিন পিছিয়ে হল আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে জামিনপ্রাপ্ত ও জেল হেফাজতে থাকা ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ দিন এই অভিযুক্তদের মধ্যে অসুস্থতার কারণে তিন জন অনুপস্থিত ছিল। ওই মামলায় আগে সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করা গোলাম সারওয়ার বর্তমানে ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ২৫ জনের আইনজীবী হিসেবে সওয়ালের জন্য যে আবেদন করছিলেন, তা নাকচ করার জন্য বর্তমানে সরকার পক্ষের আইনজীবী যে আবেদন করছিলেন। এ দিন আদালত সরকার পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে। ওই মামলায় ২৫ জনকে নতুন করে আইনজীবী নিয়োগের জন্য আদালত ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা বিচারক মধুমতি মিত্র। তিনি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।

কংগ্রেসের পথ অবরোধ
যুব কংগ্রেস নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করল কংগ্রেস। শুক্রবার খড়্গপুর শহরের ইন্দা মোড়ে সকাল ১১টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি অমল দাস, মেদিনীপুর লোকসভা যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত পান্ডে প্রমুখ। গত বৃহস্পতিবার হুগলির মগরার যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ রহমানকে দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবিতে এ দিন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা পথ অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলায় যানজট তৈরি হয়। অমল দাস বলেন, “সারা রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা চলছে। আমাদের সক্রিয় যুব নেতা সেই ঘটনারই শিকার। আমরা তাঁকে খুনের বিচার চাই। সেই উদ্দেশেই এ দিন প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হল।”

এগরায় যুব কংগ্রেসের পথ অবরোধ
এত দিন এলাকার প্রথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন ছিল না। কাছেই হাই মাদ্রাসায় চলত স্কুল। শুক্রবার নতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হল খড়্গপুরের পাঁচবেড়িয়া কামাখ্যাচরণ প্রাথমিক বিদ্যামন্দিরের। চারটি শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা, পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে, প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ্ত মালাকার, প্রধান শিক্ষিকা শ্রুতি মণ্ডল প্রমুখ। এত দিন লোহানিয়া হাইমাদ্রাসা ভবনে এই স্কুলটির ক্লাস হত। সর্বশিক্ষা মিশনের ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও সাংসদ তহবিলের প্রায় ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে স্কুলের নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। জমি দান করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

ব্যবসায়ীর অপমৃত্যু
রাজ্য সড়কের ধার থেকে এক পান ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম কালীপদ শিট (৫৫)। শুক্রবার ভোরে কাশিমূলে বেলদা-কাঁথি রাস্তার ধার থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি পলাশিতে। এ দিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেলে করে জাহালদার হাটে পান কিনতে যাচ্ছিলেন কালীপদবাবু। এরপরই কাশিমূলের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে কালীপদবাবুর মৃতদেহটি উদ্ধার করে। অদূরেই তাঁর দুমড়ে যাওয়া সাইকেলটিও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের মাথায় চোট রয়েছে। পুলিশের অনুমান, কোনও গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

ভুল কথা বলতে মানা বিমানের
‘ভুল কথা’ এড়াতে দরকারে ‘লিখে বলার’ পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। শনিবার মেদিনীপুর শহরে দলের বর্ধিত সভায় এই কথা বলার সময় বিমানবাবু কারও নাম না করলেও নেতাই-কাণ্ডে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভুল স্বীকার প্রসঙ্গেই পরামর্শটি বলে মনে করা হচ্ছে। সপ্তাহ দু’য়েক আগে মেদিনীপুরের এক সমাবেশে নেতাই নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভুল স্বীকারের পরে বিমানবাবু জানিয়েছিলেন, ওই মন্তব্য না-করলেই ভাল হত! এদিন তিনি বলেন, “কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে আমরা ভুল করি না, তা নয়। আমিও করি। তবে, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এমন ভুল করা যাবে না, যার ফলে পার্টির ক্ষতি হয়ে যায়। উটকো কথা বলা যাবে না। দরকারে লিখে নিয়ে বলতে হবে।” সভা শেষে অবশ্য এই নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিমানবাবু। নেতাই প্রসঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করি না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.