শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। কলকাতার ভিড়েঠাসা জীবন ফেলে বারবার ছুটে আসেন লালমাটির এই দেশে। গত তিন দশক ধরে এখানে তাঁর যাতায়াত। একটি আর্ট গ্যালারিও তৈরি করে ফেলেছেন। ১০ বছর আগে খোয়াই বাঁচাতে সাহিত্যিক মহাশ্বেতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে পথে নেমেছিলেন তিনিও। সেই বিশিষ্ট চিত্রকর যোগেন চৌধুরীই এ বার সদ্য রাজ্যসভার ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। জেতার পরেই শান্তিনিকেতন এবং শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে তাঁর নানা পরিকল্পনার কথা জানালেন আনন্দবাজাকে।
আনন্দবাজার: যোগেনবাবু অভিনন্দন। নতুন ভূমিকা নিয়ে আপনার কী প্রতিক্রিয়া?
যোগেন: (হেসে) এখন আমি সাংসদ, তাই অনেক ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে।
আনন্দবাজার: রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে খোয়াই বাঁচাতে ঠিক কী করবেন বলে ভাবছেন?
যোগেন: আমার কাছে খোয়াই একটা সেন্টিমেন্ট। খোয়াই বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব। পরিবেশকে বিঘ্নিত করা চলবে না। খোয়াই ধ্বংস করে আবাসন প্রকল্প বা ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ প্রতিরোধ করব। দরকারে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হব।
আনন্দবাজার: বোলপুর-শান্তিনিকেতন নিয়ে কিছু পরিকল্পনা?
যোগেন: গত ২৭ বছর ধরে শান্তিনিকেতনে আছি। দেখছি বোলপুর স্টেশন থেকে শান্তিনিকেতন আসার রাস্তার পরিধি ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষের খুব অসুবিধা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বোলপুর পুরসভার সঙ্গে কথাবার্তা বলব। পরিকল্পিত ভাবে জবরদখল মুক্ত করে রাস্তার পরিধি বাড়ানো দরকার। তার জন্য আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করব।
আনন্দবাজার: সরকারি সাহায্যের অভাবে বহু প্রতিভাবান শিল্পী অকালেই হারিয়ে যান। তাঁদের জন্য কি কিছু করা যায় না?
যোগেন: আমাদের রাজ্যে প্রতিভার অভাব নেই। সব ক্ষেত্রের প্রতিভাবান শিল্পীদের চিহ্নিত করে মূল্যায়নের চেষ্টা করব। পিছিয়ে পড়া শিল্পীদের অবশ্যই তুলে ধরা হবে। তাঁদের আর্থিক ভাবে পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টিও মাথায় আছে। পাশাপাশি এ রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে বিশিষ্ট জন থেকে গ্রামীণ শিল্পী সবার সঙ্গে কথা বলে একটা রূপরেখা তৈরি করব। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককেও জানাব।” |