প্রস্তুত বড় দায়িত্ব নিতে, জমি তৈরির লক্ষ্যে ঘোষণা রাহুলের
লোকসভা ভোটের আগে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে ‘বড় ঘোষণা’ হতে চলেছে শুক্রবার। তার ৭২ ঘণ্টা আগে রাহুল গাঁধী আজ খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, বড় দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর মনে কোনও দ্বিধা নেই। তাঁর কথায়, “দেশের ভালর জন্য কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসা জরুরি। আর তার জন্য দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে আমি প্রস্তুত।”
তিনি কি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন? এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাহুলকে। তারই জবাবে ওই কথাগুলি বলেন রাহুল। এই সাক্ষাৎকার আসলে কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা কৌশল বলেই মনে করছেন দলের ও বিরোধী শিবিরের নেতারা। তাঁদের মতে, ১৭ জানুয়ারি কংগ্রেসের অধিবেশনের আগে আবহ রচনার জন্যই এই ধরনের সাক্ষাৎকার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, নতুন কিছু কি বললেন রাহুল! তাঁর ওই মন্তব্য থেকে স্বচ্ছ কোনও বার্তা কি পাওয়া গেল?
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাই স্বীকার করছেন, স্বচ্ছ বার্তা নেই ঠিকই। কিন্তু তাঁদের মতে এটুকু পরিষ্কার যে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা হোক বা দলীয় সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক, রাহুলের নেতৃত্বেই ভোটে লড়বে কংগ্রেস। তুলনায় বরং বিজেপি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যকেই বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। একটি হিন্দি দৈনিককে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছেন, “বিজেপি চাইছে এক-ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতা, যা দেশের জন্য ভাল নয়। সরকার এক জন ব্যক্তিবিশেষের ভাবনা ও তাঁর ব্যক্তিগত পদ্ধতিতে চলতে পারে না।”
তাঁর এই মন্তব্য থেকেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, আগামী শুক্রবার দলের অধিবেশন মঞ্চ থেকে রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে যে ‘বড় ঘোষণা’ হতে চলেছে, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তাঁর সে দিনের বক্তৃতা। কারণ, এমনিতেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদী তথা বিজেপি-র কটাক্ষ ও আক্রমণ উজিয়েই চলতে হচ্ছে রাহুলকে। তার উপরে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আম আদমি পার্টির উত্থানের পর থেকে কংগ্রেস নেতারাও বুঝতে পারছেন, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ বাড়ছে। অথচ গাঁধী পরিবারের প্রতি আস্থা রাখা ছাড়া উপায়ও নেই কংগ্রেসের। এই অবস্থায় কংগ্রেস সূত্র বলছে, দলের অধিবেশন থেকে রাহুল নিজেকে এমন এক ‘অবতার’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইবেন, যাঁর পদের লোভ নেই। বরং প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়েই বেশি সওয়াল করবেন তিনি। সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার ও মানুষের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য সওয়াল করবেন তিনি।
বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি হওয়ার কৌতূহলও মেটানোর চেষ্টা করেছেন রাহুল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রিয়ঙ্কা যে রায়বরেলী থেকে ভোটে প্রার্থী হবেন না, তা ওই সাক্ষাৎকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল। তবে বোন যে তাঁকে সাংগঠনিক কাজে সাহায্য করবেন, সেটাও গোপন রাখেননি তিনি। রাহুলের কথায়, “প্রিয়ঙ্কা আমার বোন এবং বন্ধুও। সেই সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্যও বটে। সেই হিসেবে সংগঠনকে আরও মজবুত করার কাজে আমাকে এবং দলকে ও সাহায্যও করছে। তবে আমি মনে করি না আগামী নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কার কোনও ভূমিকা থাকবে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.