টাটকা খবর
যৌন হেনস্থা-কাণ্ডে নীরবতা ভাঙলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
তাঁকে নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হওয়ার পর আত্মপক্ষ সমর্থনে নামলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমকে লেখা আট পাতার এক চিঠিতে অশোকবাবু জানিয়েছেন, কোনও ইন্টার্নকে হেনস্থা বা কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করার মতো কোনও কাজ তিনি করেননি। এমনকী, সর্বোচ্চ আদালতও তাঁর প্রতি যথাযথ আচরণ করেনি এই অভিযোগ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, “সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় আমি মর্মাহত। আপনার নেতৃত্বের সর্বোচ্চ আদালতও আমার প্রতি যথাযথ আচরণ করেনি।” প্রধান বিচারপতিকে লেখা এই চিঠির একটি প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।
ইন্টার্ন-কাণ্ডে তাঁকে জড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তাতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁকে এই চিঠি লিখতে হয়েছে বলে প্রধান বিচারপতিকে লিখেছেন অশোকবাবু। এমন ঘটনা তাঁর ব্যক্তিগত রুচির বিরোধী বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, কোনও স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জনসমক্ষে হেয় করার জন্য এ ভাবে পরিকল্পনা ছকে এগিয়েছে। আমি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলাম, তখন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করেছিলাম। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। এ জন্য আমাকে কম হেনস্থা পোহাতে হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে ইন্টার্নের অভিযোগ ঘিরে যা কিছু হয়েছে, তা আমাকে লোকসমক্ষে হেয় করার প্রয়াস বলেই আমি মনে করি।’
চিঠিতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের কোনও কোনও অফিসারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। লিখছেন, ‘কোর্ট অফিসারদের কারও কারও ভূমিকা আমার দৃষ্টিকটু মনে হয়েছিল। আমি সুপ্রিম কোর্টে ঢোকা মাত্রই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ঘিরে ধরেছিল। মনে হচ্ছিল আমি যেন এক জন অপরাধী।’

প্রত্যাশা মতোই দিল্লির মসনদে ‘আম আদমি’র পার্টি
লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর-এর
সঙ্গে দেখা করলেন অরবিন্দ
কেজরিওয়াল। ছবি: এপি।
দিল্লিতে তাঁরাই সরকার গড়ছেন, সোমবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীও যে তিনি হচ্ছেন জানানো হয়েছিল সে কথাও। এর পর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর নাজিম জং-এর সঙ্গে দেখা করে আপ-এর তরফে এক চিঠিতে জানানো হল, বেশির ভাগ মানুষের রায় মেনে তারা দিল্লিতে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
এ দিন সকালে আপ-এর রাজনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠক বসে। আলোচনা শেষে আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৮৪ জন তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৬ জন দিল্লিবাসী। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ৭৪ শতাংশই মনে করেন আপ-এর সরকার গঠন করা উচিত। সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার। এ ছাড়া দিল্লিতে রবিবার রাত পর্যন্ত যে ২৮০টি সভা করেছে আপ, তার মধ্যে ২৫৭টি সভাতেই মানুষের রায়, আপ-এর সরকার গঠনের পক্ষে। এর পর, আপ-এর নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিল্লির উপ-রাজ্যপাল সরকার গঠন বিষয়ে পরামর্শ করতে তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ১০ দিন সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে দিল্লির মানুষের কাছে আপ-এর তরফে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষের মত, আপ দিল্লিতে সরকার গঠন করুক। সেই রায়কে সম্মান জানাতেই আপ সরকার গঠন করতে প্রস্তুত বলে জানান অরবিন্দ।
এর পর, মণীশ সিসোদিয়া জানান, সর্ব সম্মতিক্রমে আপ-এর ২৭ বিধায়কই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তাঁদের নেতা হিসাবে নির্বাচিত করেছেন। নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দই হচ্ছেন বলে জানান মণীশ।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত আপ-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “কংগ্রেস এই সরকারকে শর্তহীন ভাবে সমর্থন করছে না। তবুও অরবিন্দের জন্য আমার শুভকামনা রইল। দিল্লিবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি আপ দিয়েছিল, সেগুলি অবশ্যই পূরণ করা উচিত।”
যদিও বিজেপি নেতা হর্ষ বর্ধন মনে করেন, আপ জনসাধারণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যে কংগ্রেসকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আপ পিছনের দরজা দিয়ে সরকারে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে, নাজিম জং-এর সঙ্গে দেখা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরকে চিঠি লিখে সরকার গঠনের কথা জানানো হয়েছে। এর পর তিনি বলেন, “লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর ওই চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দেশ এলেই শপথ গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হবে। তবে প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছে, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হবে রামলীলা ময়দানেই।”

যে পথে ক্ষমতায়
৮ ডিসেম্বর: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের ২৮টি দখল করল আম আদমি পার্টি (আপ)।
৯ ডিসেম্বর: আপ-এর সিদ্ধান্ত, জনতা তাদের বিরোধী আসনে বসার রায় দিয়েছে। তাই সরকার গড়ার দাবি জানানো হবে না।
১০ ডিসেম্বর: সরকার গড়তে আপ-কে সমর্থনের ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস। অরবিন্দ কেজরিওয়াল পাল্টা জানালেন, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি সরকার গড়ুক।
১১ ডিসেম্বর: কংগ্রেস বা বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার থেকে ফের ভোটে যেতে আপত্তি নেই দলের, জানাল আপ।
১২ ডিসেম্বর: একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসাবে বিজেপির হর্ষ বর্ধনকে ডেকে পাঠালেন দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং। বিজেপি জানিয়ে দেয়, জোড়াতালি দিয়ে তারা সরকার গড়বে না।
দ্বিতীয় বৃহত্তম দল আপ-কে ডেকে পাঠালে জানানো হয়, ১৪ ডিসেম্বর লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর: লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের কাছে আপ-এর তরফে সিদ্ধান্ত নিতে ১০দিন সময় চাওয়া হয়।
লোকপাল বিল, রাজধানীতে জল ও বিদ্যুৎ সঙ্কট-সহ ১৮ দফা দাবি নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির অবস্থান জানতে চাওয়া হল আপ-এর তরফে। সেই অবস্থান জনগণকে জানানোর পর জনমত নিয়ে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ করা হবে, জানাল আপ।
১৫ ডিসেম্বর: ত্রিশঙ্কু দিল্লিতে জট খোলার কোনও আশা না দেখে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দেকে রিপোর্ট দিলেন নাজিব জং। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশও করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর: এসএমএস, ওয়েবসাইট ও জনসভার মাধ্যমে দিল্লির জনতার মতামত নেওয়ার ঘোষণা আপ-এর। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়তে তাঁদের কী মত, জানতে ২৫ লক্ষ ভোটারকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে সভা করে দিল্লিবাসীর মত জানতে চাইল আপ।
২০ ডিসেম্বর: কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, কেজরিওয়াল মানুষের সমস্যা সমাধানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করুন। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
আপ জানাল, গনভোটের রায় না এলেও দল কংগ্রেসের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়তে চলেছে।
২১ ডিসেম্বর: অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, দিল্লিতে সরকার গড়ে কংগ্রেস বা বিজেপির থেকে আপ আরও ভাল কাজ করে দেখাবে।
২২ ডিসেম্বর: আপ জানাল, আগামিকাল দলের রাজনীতি বিষয়ক কমিটি দিল্লিবাসীর রায় সমীক্ষা করে দেখে চূড়াম্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
২৩ ডিসেম্বর: আপ-এর ঘোষণা দিল্লিতে সরকার গড়ছে তারাই।

বিধানসভা ২০১৩: দিল্লির রায়

টুপির লিখনই দেওয়াল লিখন হল কেজরিওয়ালের
ছিল রুমাল, হল বেড়াল!
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার থেকে দিল্লির সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে এই বাক্যটি দিব্যি মানিয়ে যায়। দীর্ঘ এই পথে কত ঘাটের জল যে ছুঁতে হয়েছে! জন্ম হরিয়ানার হিসারে। খড়্গপুর আইআইটি-র কৃতী ছাত্র। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উতরে আয়কর দফতরের যুগ্ম কমিশনার। হঠাৎ সে চাকরি ছেড়ে সমাজসেবায় নিজেকে জড়িয়ে নেওয়া। এর পর ‘তথ্যের অধিকার’ আদায় করার জোরদার আন্দোলন অরবিন্দকে এনে দেয় ম্যাগসাইসাই পুরস্কারও। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তার পর অণ্ণা হজারের জনলোকপাল বিল নিয়ে আন্দোলন সরাসরি জন-ক্যামেরার সামনে আনে কেজরিওয়ালকে।
বদলানোর শুরুটা এখান থেকেই। কেননা, আন্দোলনের পদ্ধতি নিয়ে অণ্ণার সঙ্গে মতবিরোধ এর কিছু দিন পরেই ভারতীয় রাজনীতির মূল মঞ্চে নিয়ে এসে ফেলবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তবে মূল ধারার সঙ্গে ফারাক যে ছিল তা তাঁর ‘আম আদমি পার্টি’র প্রতীক দেখেই বোঝা যায়— ঝাড়ু। আর এই ঝাড়ু মেরেই দুর্নীতিকে দেশছাড়া করার প্রতিশ্রুতিতেই ‘আপ’ হারিয়ে দিল দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে। শুধু তাই নয়, প্রথম বার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জিতল দিল্লি বিধানসভার ২৮টি আসন। কংগ্রেস-বিজেপির মতো মূল ধারার রাজনৈতিক দলের দিকে যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ‘আম আদমি’। ক’দিন আগেই কেজরিওয়ালের টুপিতে লেখা ছিল ‘আমরা দিল্লিতে জিতবই’, আর সোমবার সকালে তাঁকে পাশে রেখে ‘আম আদমি পার্টি’র আর এক নেতা মণীশ সিসোদিয়া জানালেন, ২৭ জন বিধায়কই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তাঁদের নেতা নির্বাচিত করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনিই। ‘আম আদমি’ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কারণে মানুষের প্রত্যাশা তাঁর কাছে অনেক বেশি। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সম্মতি পেলেই দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর নাজিম জং তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। আর তার মাঝের এই সময়টায় ‘বিরোধী’ শিবিরের শুভেচ্ছা-সহ কাঁটা এসে বিঁধতে শুরু করেছে ‘আপ’-এর গায়ে। বিজেপি এ দিন জানিয়েছে, যাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অরবিন্দের দলের লড়াই, সেই কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার অর্থ, দুর্নীতির হাত ধরেই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করছে আপ। কংগ্রেসও শর্তহীন সমর্থনের পিছনে ‘শর্ত’ জুড়তে ব্যস্ত।
তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদক্ষেপ ও ‘ঝেঁটিয়ে’ দুর্নীতি তাড়ানোর পদ্ধতি কতটা কাজ করবে, রাজনৈতিক মহল-সহ সে দিকে তাকিয়ে থাকবে ‘আম আদমি’ও!

চলন্ত ট্যাক্সিতে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত
বড়দিনের দু’দিন আগেই শহরে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এ বারও ঘটনাস্থল পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকা। রাত পোহালেই ‘ক্রিসমাস ইভ’ পালিত হবে পার্ক স্ট্রিট জুড়ে। তাই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বাদ নেই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকাগুলিও। কিন্তু সেই নিরাপত্তার ফাঁক গলে ফের একটি ধর্ষণের ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন লালবাজারের কর্তারা। যদিও তাঁদের দাবি, “অভিযোগ পেয়েই মূল অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে।”
রিপন স্ট্রিটের ফুটপাথবাসী ১৩ বছরের এক কিশোরীর মা সোমবার সকালে পার্ক স্ট্রিট থানার অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে তাঁর মেয়েকে চলন্ত ট্যাক্সিতে তুলে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় পরিচিত এক যুবক জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া, একটি ট্যাক্সির চালক এবং অন্য এক যুবকের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ করেন তিনি। এ দিন সকালে অভিযোগ পাওয়ার পরে দুপুরে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের এক হোটেল থেকে মহম্মদ আনোয়ার নামে ওই পরিচিত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে ট্যাক্সিচালক ও অন্য যুবকের।

মঙ্গলবার লালবাজার অভিযানে বামেরা, বিক্ষোভ তৃণমূলের
খাস কলকাতায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বাধীন মিছিলে হামলার ঘটনার পরে শাসক ও বিরোধী, দু’দিক থেকেই তোপের মুখে পড়ল পুলিশ! ঘটনার সময়ে এবং তার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে, মঙ্গলবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। আবার রবিবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রদীপ পূততুণ্ড ওরফে পল্টু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের রোষের মুখে পড়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারির প্রতিবাদে বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শিয়ালদহ আদালত সোমবারই ধৃত পল্টুর জামিনও মঞ্জুর করেছে।
কলকাতা পুরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে এবং সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে রবিবার বামেদের মিছিল চিড়িয়া মোড় ও দমদম রোডে দফায় দফায় হামলার মুখে পড়েছিল। মিছিলে আসা অটো ভাঙচুর হয়েছিল, চালক প্রহৃত হয়েছিলেন। মিছিলের দিকে উড়ে এসেছিল ইট, জুতো, ঝাঁটা। বিমানবাবু অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও ইটের আঘাতে জখম হন ৮ জন বাম সমর্থক। ওই হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতেই মঙ্গলবার লালবাজার অভিযান করবে বামেরা।

বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও অবাধ ভোট না হলে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নয়: আমেরিকা
আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘটনায় ‘হতাশা’ প্রকাশ করল আমেরিকা। দেশে অবস্থার উন্নতি না হলে কোনও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে না—রবিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র জেন সাকি। তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু বড় রাজনৈতিক দলগুলির মতানৈক্যে নির্বাচনকে ঘিরে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” বাংলাদেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতি থামাতে উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপুঞ্জ।
অবরোধে যানজট বাংলাদেশে। ছবি: এএফপি।
সেই উদ্দেশ্যে গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকা যান রাষ্ট্রপুঞ্জের সহকারী সচিব অস্কার ফার্নান্ডেজ তারানকো। গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব সুজাতা সিংহ। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বৈঠক করেন শাসক ও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে। কিন্তু চিত্রটা তাতে একটুও বদলায়নি। পরিবর্তে, রাজনৈতিক হানাহানি উত্তরোত্তর বেড়েছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সমস্ত দলকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে জোর দেয় আমেরিকা। নির্বাচনে অশান্তি এড়াতে দেশজুড়ে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে হাসিনা-সরকার।
নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবিতে জামাত এবং বিএনপি-র পঞ্চম দফার অবরোধ কর্মসূচি সোমবার তৃতীয় দিনে পড়ল। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ঝিনাইদহে জামাত-পুলিশ সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। রবিবার গভীর রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রওশন এরসাদের বাড়িতে হামলা চালায় অবরোধকারীরা। দিনাজপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ গাজিপুরে বিএনপি-র সমর্থকরা পথ অবরোধ করে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। অন্য দিকে, ঢাকার সদরঘাটে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

জসিডিতে অপহৃত সাত নির্মাণ শ্রমিক
কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার সাত কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর ও বিহারের জামুইয়ের সীমানাবর্তী বোধানিয়া এলাকায় এই ঘটনায় জসিডি থানায় অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে সোমবার পর্যন্ত অপহৃতদের খোঁজ মেলেনি।
দেওঘরের পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার বলেন, “ঘটনার গতিপ্রকৃতি দেখে এই কাজ যে মাওবাদীদের, সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। তবে কোনও দুষ্কৃতী দল এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” জামুই মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা। বোধানিয়া গ্রামটিও জামুইয়ের একেবারে প্রান্তে। তবে ওই নির্মাণ সংস্থার কাছে এ দিন দুপুর পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে কোনও টেলিফোন আসেনি বলেই দাবি পুলিশ সুপারের। লেভি সংক্রান্ত গোলমালের জেরেই এই ঘটনা কিনা তা-ও পরিষ্কার করে জানাননি তিনি। যদিও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে খবর, সংস্থার ম্যানেজার উপেন্দ্র পাণ্ডে এফআইআর-এ লেভি চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোধানিয়াতে একটি সেতু তৈরির কাজ চলছিল। দু’মাস আগে একটি সংস্থা সেতুটি তৈরির বরাত পায়। রবিবার রাতে কাজ চলাকালীন সাত-আট জন লোক মুখে কাপড় বেঁধে নির্মাণস্থলে আসে। রিভলভার দেখিয়ে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বলে। ওই সাত জনের সঙ্গে নির্মাণস্থল থেকে একটি মোটরবাইকও নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

ঠান্ডা ও বৃষ্টিতে বেহাল গোটা উত্তর ভারত

শীতের মারে কাবু জম্মু ও কাশ্মীর-সহ গোটা উত্তর ভারত। সোমবারও ফের তুষারপাত হল জম্মু-কাশ্মীরে। এ দিন গুলমার্গ ও কিস্তওয়ারে প্রায় ২-৩ ইঞ্চি বরফের চাদরে ঢেকে যায় রাস্তাঘাট। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে থমকে যান চলাচল। কাশ্মীর উপত্যকার প্রবেশদ্বার কাজিগুন্ড-এ সোমবার ভারি মাত্রায় তুষারপাত হয়। রবিবারের তুলনায় এ দিন তাপমাত্রার পারদ আরও ৩ ডিগ্রি নীচে নেমে যায়।
জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের কাছে কাজিগুন্ডে ভারি তুষারপাত। ছবি: পিটিআই।
রবিবার রাতে শ্রীনগরে বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রার পারদ আরও নেমেছে। ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় এখানে। বৃষ্টি হয়েছে কাংড়া, ধর্মশালা ও চাম্বায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয়েছে। এটি বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের উপর অবস্থান করছে। তবে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বের দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীনগরে ১.৮ সেন্টিমিটার তুষারপাত হয়েছে। রবিবার শিমলাতে এই মরসুমের প্রথম তুষারপাতের আনন্দ নিলেন পর্যটকরা। প্রায় ১০ সেন্টিমিটার তুষারপাত হয় এখানে।
উত্তরপ্রদেশের ওরাইতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে লুধিয়ানা, কারনাল, পাতিয়ালা ও অম্বালায় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল। রবিবার রাজস্থানের বিকানেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থান তাপমাত্রা
(রবিবার)
তাপমাত্রা
(সোমবার)
তুষারপাত
শ্রীনগর -০.৩ -০.৪ ১.৮
গুলমার্গ -৬.৬ -৯.৬ ১৫
পহেলগাঁও -২.৪ -৪.০ ২০
কাজিগুন্ড -০.২ -২.৬ ১৩
কুপওয়ারা -০.৩ -২.৭ -
লেহ -৬.২ -৯ -
তাপমাত্রা (ডিগ্রি সেলসিয়াস)
তুষারপাত (সেন্টিমিটার)

২০১৬ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ববি জিন্দল
—নিজস্ব চিত্র।
২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামতে পারেন লুইজিয়ানার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গভর্নর ববি জিন্দল। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হলেও সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন জিন্দলের নিজের রাজ্য লুইজিয়ানার শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সেনেটর ডেভিড ভিটার। স্থানীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাত্কারে সেনেটর ডেভিড জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হবেন জিন্দল। লুইজিয়ানার গভর্নর হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা ববি জিন্দলের দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৫-তে। নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় দফার জন্য ওই রাজ্যের গভর্নর হওয়ার লড়াইয়ে থাকতে পারবেন না তিনি। পরবর্তী গভর্নর হিসেবে তাই নাম উঠেছে সেনেটর ভিটারের। ববির নেতৃত্বের উপর তাঁর শ্রদ্ধা আছে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের জুনিয়র সেনেটর ভিটার। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ববি জিন্দলের মনোনয়ন যথাযথ হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রিমিয়ার টেনিস লিগের নিলাম
আইপিএল-এর ধাঁচের টেনিস টুর্নামেন্ট প্রিমিয়ার টেনিস লিগের সবচেয়ে দামি মহিলা ও পুরুষ খেলোয়াড় হলেন সৌজন্য বাভিসেট্টি ও বিষ্ণু বর্ধন। সোমবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দফার সংস্করণের এই নিলাম হয় পুণের ডেকান জিমখানায়। নিলামে সৌজন্যকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকায় দলে আনল অ্যাকুরেট এসেস। লন্ডন অলিম্পিকে লিয়েন্ডার পেজের টেনিস পার্টনার বিষ্ণু বর্ধনকে ১ লাখ ৪৫ হাজারে কিনে নিলেন শার্প স্ম্যাশার্স কর্তৃপক্ষ।

বিষ্ণু বর্ধন

সৌজন্য বাভিসেট্টি
—নিজস্ব চিত্র।
নিলাম পরিচালনা করেন ডেভিস কাপের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও কোচ নন্দন বাল এবং ডেকান জিমখানার টেনিস সচিব মুকুন্দ জোশী। গত বারের পাঁচটির পরিবর্তে ছ’টি দল নিয়ে আগামী ১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি ডেকান জিমখানায় চলবে এই টুর্নামেন্ট। ভবিষ্যতে রাজ্যের অন্যান্য শহরেও এই টুর্নামেন্টকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন নিলামে উপস্থিত মহারাষ্ট্র লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ সুন্দর আইয়ার।

আত্মসমালোচনার পথে ফ ব, দল ছেড়ে যোগ কংগ্রেসেও
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতোই এ বার প্রকাশ্যে আত্মসমালোচনার পথে হাঁটতে হল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বকে। বার বার সবিস্তার আলোচনার পরেও দলে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা রয়েছে বলে কবুল করে নিলেন ফ ব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, সেই দিনেই কলকাতা বন্দর এলাকার নেতা মহম্মদ সাদিকের নেতৃত্বে ফ ব-র শ’দেড়েক তরুণ কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন কংগ্রেসে। রাজ্য জুড়ে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িকের সময় উল্টো ঘটনা ঘটল ফব-কে কেন্দ্র করে।
দলত্যাগী নেতা সরল দেবকে ফেরানোর সম্ভাবনা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিবাদ এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নরেন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দলের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন গড়েছে ফ ব। এই প্রথম ফ ব-য় যে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে এমন কমিশন গড়তে হল, সেই কথা বলতে গিয়েই সোমবার দেবব্রতবাবুর আক্ষেপ, “দলের প্রত্যেক সদস্যকে গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে। উপদলীয় কাজ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ চলবে না। পার্টি কংগ্রেসের সাংগঠনিক রিপোর্টে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, তার পরেও এটা চলছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের বয়স পঞ্চাশের উপরে। আর ফ ব-র যে কর্মীরা যোগ দিলেন, প্রত্যেকের বয়স পঁয়তাল্লিশের নীচে। এই তরুণেরা যোগ দেওয়ায় প্রমাণিত, কংগ্রেসের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে!”

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-পাক বৈঠক শুরু মঙ্গলবার
সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার পাকিস্তানে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী। অনুপ্রবেশ, জাল ভারতীয় টাকা, অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালান-সহ অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে, জানিয়েছেন পঞ্জাব সীমান্তে বিএসএফ-এর ডিআইজি আর পি এস জায়সবাল। বৈঠক চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার ভারতীয় প্রতিনিধিরা পাকিস্তানে যাবেন। বৈঠকে বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল সুভাষ জোশীর নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন চণ্ডীগড় বিএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি (ওয়াস্টার্ন কমান্ড), জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাত সীমান্তের আইজিরা-ও। নয়াদিল্লির বিএসএফ সদর দফতর থেকেও প্রতিনিধিরা থাকবেন এই বৈঠকে। অন্য দিকে, পাকিস্তানের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন সিন্ধু প্রদেশের পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল রিজওয়ান আখতার।


মুম্বইয়ে একটি প্রসাধনী সংস্থার প্রচারে অভিনেত্রী বিপাশা বসু। ছবি: এএফপি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.