স্মরণ ১...
সেই মুজতবা আলী সমানে চলিতেছে
ল্পের রাজা সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিয়ে কথায় গল্পের পর গল্প আসবেই। কিছু করার নেই। তবে রসুন, শুরুয়াতের আগে কয়েকটা অন্য সত্যও কবুল করে নিই।
পঞ্চাশের দশকের শেষে আর ষাটের দশকের গোড়ায় যখন ফি হপ্তা গালে হাত দিয়ে অপেক্ষায় থাকি ‘দেশ’ পত্রিকায় আলী সাহেবের ‘পঞ্চতন্ত্র’ কলামটির জন্য, হঠাৎ করে একদিন দো-দমা বোমের কাজ করল লেখকের ‘দেশে বিদেশে’ বইটা।
তার আগে জেনে গিয়েছি মণিমাণিক্য জড়ো করে ভদ্রলোকের তাক লাগানো ঢঙের ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু তার পরেও, বাপ্ রে, এ কী কথাসাহিত্য! যে গোয়েন্দা কাহিনির মতো রুদ্ধশ্বাসে পাতার পর পাতা উল্টে পড়েই চলেছি; কী? না একটা ভ্রমণকথা! তাও কোথায়? না পাহাড় ঘেরা আফগানিস্তানে।
ভর কৈশোরে দেশটা সম্পর্কে প্রায় কিসুই জানি না। অথচ এক মুহূর্তের জন্য আলী সাহেবের পিছু ছাড়া নেই। মানুষের পোশাক-আশাক, জমি-জায়গা, আচার-ব্যবহার দেখছি, ভাষা শিখছি, আর না বললেই নয় মুহুর্মুহু গল্প শুনছি।
গল্পে আসি। তবে গল্প হলেও সত্যি। সেই কস্মিনকালের গপ্পো রবিঠাকুর দিব্য বিরাজমান শান্তিনিকেতনে পাঠান মুল্লুকে যা দেখলেন মুজতবা আলী, তা যেন গত কালকের কাগজে পড়া বৃত্তান্ত। ‘উবুড় হয়ে শুয়ে থাকতে না জানলে’ নাকি ও দেশে জান বাঁচানো মুশকিল। লেখক ওঁর বন্ধু আহমদ আলীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলেই বা দোষ কী?”
আহমদ আলী বললেন, “উঁহু, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে দেখতে পাবেন খুদাতালার আসমান সে বড় খুবসুরত। কিন্তু মানুষের বদমায়েশির ওপর নজর রাখবেন কী করে? আফ্রিদির নিশান সাক্ষাৎ যমদূতের ফরমান। মকমল ডিক্রি, কিস্তি বরখেলাফের কথাই ওঠে না। উবুড় হয়ে থাকতে না জানলে কখন যে কোন আফ্রিদির নজরে পড়ে যাবেন, বলা যায় না। জান বাঁচাবার এই হল পয়লা নম্বরের তালিম।”
তা এই উবুড় হওয়ার দরকারটা হল কেন আহমদ আলীর?
আজকের পাঠক জানতে চাইতেই পারেন। তা হলে আহমদ আলীর জবানেই শুনুন। বলছেন, “মশহুর নাচনেওয়ালি জানকী বাঈ কয়েক দিন ধরে গুম। যদি কোনও পাত্তা মেলে। আমি তো আপন মনে হেঁটে যাচ্ছি। আমার প্রায় পঞ্চাশ গজ সামনে জনা আষ্টেক গোরা সেপাই কাঁধ মিলিয়ে রাত্তিরের টহলে... হঠাৎ একসঙ্গে এক লহমায় অনেকগুলো রাইফেলের কড়াক-পিঙ্। আমিও তড়াক করে লম্বা হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়লুম। তার পর গড়িয়ে গড়িয়ে পাশের নর্দমায়।”
মুজতবা আলী অচিরে টের পেয়েছিলেন প্রেমের ব্যাপারে পাঠান নীরব কর্মী। লিখছেন, “আমরা বাঙালি। দুপুররাত্রে পাড়ার লোককে না জাগিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমালাপ করতে পারিনে।” আহমদ আলী বললেন, “পেশাওয়ারের বাজারে কিন্তু কোনও গানেওয়ালি নাচনেওয়ালি ছ’মাসের বেশি টিকতে পারে না। কোনও ছোকরা পাঠান প্রেমে পড়বেই। তার পর বিয়ে করে আপন গাঁয়ে নিয়ে সংসার পাতে।”
সেই কৈশোরে ‘দেশে বিদেশে’-র একটা ছবি মন থেকে সরেনি। কাবুলে মুজতবা আলীর দেখা বাদশাহ বাবুরের কবর।
হিন্দুস্তানে সাম্রাজ্য গেড়ে বাবুর শাহ দিল্লি ছেড়ে জন্মভূমি ফরগনাকে না বেছে কেন যে কাবুলে কবর নিলেন, এই প্রশ্ন প্রায়ই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করত। অবাক কিছু কম ছিলেন না আলী সাহেবও। কিন্তু বাদশাহের সমাধিপাশে দাঁড়িয়ে জবাব পেয়ে গেলেন। সেই কথাগুলো শুনুন...
“খোলা আকাশের নীচে কয়েক ফালি পাথর দিয়ে বানানো অত্যন্ত সাদাসিধে কবর। মোগল সরকারের নগণ্যতম মুহুরীর কবরও হিন্দুস্তানে এর চেয়ে বেশি জৌলুস ধরে।”
আলী সাহেবের আফশোস বাবুর তাঁর অপূর্ব আত্মজীবনীটি জগতাই তুর্কিতে লিখেছিলেন বলে বইটি মূলে পড়া সোজা হয়নি।
লিখছেন, “ইংরেজি ‘সার্ভে’ কথাটা গুজরাতিতে অনুবাদ করা হয় ‘সিংহাবলোকন’ দিয়ে। ‘বাবুর’ শব্দের অর্থ সিংহ। আমার মনে হল এই উঁচু পাহাড়ের উপর বাবুরের গোর দেওয়া সার্থক হয়েছে। এখান থেকে সমস্ত কাবুল উপত্যকা, পূর্বে ভারতমুখী গিরিশ্রেণি, উত্তরে ফরগনা যাওয়ার পথে হিন্দুকুশ সব কিছু ডাইনে বাঁয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে সিংহাবলোকনে দেখেছেন বাবুর...বাবুর মৃত্যুর পরও কি সিংহাবলোকন করতে চেয়েছিলেন? জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, তাই কি বাবুর কাবুলের গিরিশিখরে দেহাস্থি রক্ষা করার শেষ আদেশ দিয়েছিলেন?”
এই সব নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন যখন জমেছে আলী সাহেবকে শুধোবার জন্য, তখন দৈবাৎ এক গ্রীষ্ম দুপুরে ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়ে গেল সাহিত্যিক মনোজ বসুর বাড়িতে।
মনোজবাবুর পুত্র ময়ূখ আর আমি সদ্য উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ছেড়ে কলকাতায় ফিরেছি। আলী সাহেব ওঁদের বাড়িতে অতিথি। আর আমি গিয়েছি মধ্যাহ্নভোজের নেমন্তন্নয়। আলী সাহেব বললেন, “কলেজে দর্শন পড়বে তো? কারণ ওইটা ছাড়া লেখাপড়া করার কোনও মানে হয় না।”
আলী সাহেব দর্শনের প্রসঙ্গ তোলায় একটা অন্য ছবি মনে ভাসতে শুরু করল। ছবিটা আলী সাহেবের আনন্দবাজারের সাম্প্রতিক উপন্যাস থেকে উঠে আসছিল। নাম ‘দু হারা’। সেখানে আলী সাহেব এক জার্মান অধ্যাপিকার বাড়িতে অতিথি। তিনি দর্শন পড়ান এবং ভারতীয় দর্শন বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য ধরেন। বিবাহ করেননি।
নৈশাহারের পরে ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথায় কথায় আলী সাহেব জানতে পারলেন ছাত্রাবস্থায় এক ভারতীয় সহপাঠীর প্রেমে পড়েন তিনি।
ছেলেটি দর্শনের থিসিস তৈরিতে শুধু ষোলোআনা সাহায্যই করেননি। ডিসার্টেশনটা পারতপক্ষে লিখেই দেন। কিন্তু ডক্টরেট করেই সে মরাঠি ছেলে দেশে ফিরে পরিবারের পছন্দের মেয়ে বিয়ে করে। আর সেই থেকে ভদ্রমহিলা একাই আছেন। ভারতীয় দর্শনকে বুকে আগলে।
জার্মানি থেকে আসার সময় লেখক সেই ভারতীয় ছাত্রটির বোম্বাইয়ের ঠিকানা চেয়ে এনেছিলেন। উদ্দেশ্য হয়তো মহিলার জীবনকথা শুনিয়ে মূর্খটিকে কিঞ্চিৎ ভর্ৎসনা করা। যদিও ইতিমধ্যে বহু বছর কেটে গেছে।
বোম্বাইতে সেই ছাত্রের সঙ্গে দেখা হতে আরেক সঙ্কটে পড়লেন লেখক। সেই ছাত্র এখন প্রৌঢ়। তাঁর যুবাপুত্রের কঠিন অসুখ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বিদেশে ছাড়া ওর চিকিৎসা হবার না। ঘটনাটি লেখক জার্মান মহিলাকে জানাতে তিনি পত্রপাঠ জানালেন ছেলেটিকে জার্মান পাঠিয়ে দিতে। তিনি ওকে নিজের পুত্রজ্ঞানে চিকিৎসা করিয়ে সারিয়ে তুলবেন।
নিজের অতীত ব্যবহারে চরম মর্মাহত ও লজ্জিত অধ্যাপক জার্মান মহিলার সঙ্গে তাঁর সেকালের সব প্রেমপত্র বান্ডিল করে একটি বাক্সে ছেলের হাতে তুলে দিলেন। বললেন, বাক্সে যা আছে তা যেন মহিলার হাতে ন্যস্ত করে সে। আর মহিলাকে মায়ের মতো মনে করে নেয়।
ছেলেটি জাহাজে চড়ল বোম্বাইয়ে। যাবার কথা ইতালির ব্রিন্দিসি বন্দরে (নাকি ত্রিয়েস্ত?)। মহিলা জার্মান থেকে রেলে করে এসে অপেক্ষায় থাকবেন বন্দরে। সেখান থেকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন ওকে।
সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে এক সময় ছেলেটির কৌতূহল হল বাক্সের কাগজগুলো একটু পড়ে দেখার। আর পড়তে পড়তে ব্যথায়, বেদনায় ও লজ্জায় ওর ভেতরটা খানখান হয়ে গেল। এই দেবীকে কী ভাবে মুখ দেখাবে ও?
ও মাঝসমুদ্রে জাহাজ থেকে ঝাঁপ দিল জলে। মুজতবা আলী বড় করুণ একটি বাক্যে উপন্যাসের উপসংহার টেনেছেন হতভাগ্য জানতেও পারল না স্বয়ং মা মেরী ওর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ইতালির বন্দরে।
আলী সাহেব আমাকে বললেন, ‘তুমি যদি সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়তে চাও তো আমি ফাদার দ্যতিয়েনকে একটা চিরকুট লিখে দিতে পারি।’ কিন্তু এ সব কিছুতেই মন নেই তখন। শুধু মাথায় ঘুরছে ‘পঞ্চতন্ত্র’র তিনটি রচনা যা পড়ে পড়ে প্রায় মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। ‘দর্শনাতীত’, ‘মরহূম উস্তাদ ফৈয়াজ খান’ এবং ‘আধুনিক কবিতা’।
দর্শন, সঙ্গীত ও সাহিত্যে ওঁর ওই সাবলীল ভ্রমণ ওঁর দেশভ্রমণের থেকে কম কিছু জাদুকরী নয়। তার সঙ্গে জুড়েছিল ওঁর উর্দু, হিন্দি, ফার্সি, ফরাসি, জার্মান, আরবি, ইংরেজি, পশতু, সংস্কৃত জ্ঞান।
আলী সাহেবের বাংলা প্রীতি নিয়ে আস্ত একখানা বই-ই লেখা যায়। সিলহেটের মানুষ তিনি স্নাতক হয়েছিলেন কবিগুরুর বিশ্বভারতী থেকে। বস্তুত বিশ্বভারতীর প্রথম স্নাতক দলের এক জন তিনি (১৯২৬)। হুমবোল্ট স্কলারশিপ পাওয়া আলী সাহেবের গবেষণার থিসিস ছিল তুলনামূলক ধর্মীয় তত্ত্ব।
বহু পরে, ১৯৫৬ সনে, তিনি ফিরে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে জার্মান ভাষা ও ইসলামীয় সংস্কৃতি নিয়ে অধ্যাপনা করতে। আসার একটা গূঢ় কারণ কবির স্মৃতিধন্য সংসারে ফেরা এবং বাঙালি আড্ডায় জমা। উপাচার্য হিসেবে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।
ভারত ভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষার পরিস্থিতি নিয়ে ওঁর একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ওখানকার বগুড়ায় কলেজ প্রিন্সিপালের চাকরি নিয়ে চলে যান ১৯৪৮-এ। তার আগে সিলহেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলেছিলেন। তবে বাগুড়ায় থাকাকালীন বাংলা ভাষার হয়ে যে প্রবন্ধটি লিখলেন কলকাতার ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকায়, তাতেই ওঁর চাকরিটা গেল। আলী সাহেব ফিরে এলেন ভারতে। শুরু হল ‘দেশে বিদেশে’ দিয়ে (১৯৪৮) তাঁর সাহিত্যযাত্রা। যা অনেকেই মনে করেন এক অবিশ্বাস্য যাত্রা।
আলী সাহেব আক্ষরিক অর্থে বাচস্পতি। শুধু লিখেই কামাল করেননি, মুখের ভাষায় দিব্যি মাত করে গেছেন যেখানে বলুন সেখানে। কী শান্তিনিকেতনের চায়ের আড্ডায়, কী কলকাতার পার্কসার্কাসে কবাব-পরোটার দাওয়াতে। উর্দু ফার্সি, হিন্দি, ইংরেজি, জার্মান, ফরাসির আনাগোনায় ওঁর মুখের বুলিও হয়ে উঠত লেখার মতো।
চাইলেই যেখান-সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিতে পারতেন রবীন্দ্রনাথের। মীর, গালিব ছিল কণ্ঠস্থ। খুব প্রিয় ছিল হাফিজ-সাদি। প্রিয় শহর কায়রো এবং প্যারিস। প্রিয় কলকাতা ছেড়ে যে গেলেন তার পিছনে একটু চোখের জলের ছোঁয়া আছে। তবে বড় কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭২-এ আলী সাহেব তাঁর স্বদেশে ফেরেন এবং ১৯৭৪-এর ১১ ফেব্রুয়ারি বেহেস্তে পাড়ি জমান।
ওঁর এক লক্ষ অমর অ্যানেকডোটের একটি দিয়ে শেষ করছি। “সিন্ধু নদের বালুচরে বসে দুপুর রোদে আটজন পাঠান ঘামছে। উট ভাড়া দিয়ে তারা ছিয়ানব্বই টাকা পেয়েছে, কিন্তু কিছুতেই সমানেসমান ভাগ বাঁটোয়ারা করতে পারছে না। কখনও কারও হিস্যায় কম পড়ে যায়, কখনও কিছু উপরি থেকে যায়। ক্রমাগত নতুন করে ভাগ হচ্ছে, হিসেব মিলছে না, ঘাম ঝরছে আর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গলাও চড়ছে।
“এমন সময় তারা দেখতে পেল, অন্য পার দিয়ে এক বেনে তার পুঁটুলি হাতে করে যাচ্ছে। পাঠানরা চেঁচিয়ে বেনেকে ডাকল এপারে এসে ওদের হিসেব ফৈসালা করে দিতে। বেনে হাত-পা নেড়ে বোঝাল অত মেহন্নত তার সইবে না, আর কত টাকা ক’জন লোক তাই জানতে চাইল। জানানো হল চার কুড়ি দশ ও তার উপরে ছয় টাকা আর হিস্যেদার আটজন।
“বেনে বলল, ‘বারো টাকা করে নাও।’ পাঠানরা চেঁচিয়ে বলল, তুই একটু সবুর কর, আমরা দেখে নিচ্ছি বখরা ঠিক মেলে কি না।’
মিলে গেল সবাই অবাক। তখন তাদের সর্দার চোখ পাকিয়ে বলল, ‘এতক্ষণ ধরে আমরা চেষ্টা করলুম, হিসেব মিলল না, এখন মিলল কী করে? ব্যাটা নিশ্চয়ই কিছু টাকা সরিয়ে নিয়ে হিসেব মিলিয়ে দিয়েছে। ওপার থেকে ও যখন হিসেব মেলাতে পারে তখন নিশ্চয়ই কিছু টাকা সরাতেও পারে। পাকড়ো শালাকো!” ওঁর গল্পের মতোই আলী সাহেবের গোটা জীবনটাই ‘অ্যানেকডোট’-এ ‘অ্যানেকডোট’-এ পরিকীর্ণ। উনি নিজের জীবনের কথা বললেও তা গল্পের মতো শোনাত। এক হাজার এক আরব্য রজনী-র মতো। জীবন আর গল্প এমন এক গোধূলি বেলায় দাঁড়িয়ে যে বোঝার উপায় নেই কোথায় জীবন শেষ করে গল্পের শুরু, কিংবা গল্প শেষ হয়ে জীবনের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.