টুকরো খবর
কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে বেলডাঙা-২ ব্লকের শক্তিপুর থানার হাইস্কুল মোড়ে ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। শেষ বক্তা হিসেবে বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়ে তৃণমূলের লোকজন আচমকা লাঠি-রড নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রাণীসম্পদ দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের নির্বাহী সভাপতি হুমায়ুন কবীর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দেন বলেও অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বেলডাঙার বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সদস্য সাহানাজ বেগম, বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ নিজামুদ্দিন ফরিদি, শক্তিপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি নজরুল হক, বেলডাঙা ব্লক (পশ্চিম) কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিক ও হবুল শেখ নামে এক জন কংগ্রেস কর্মীকে শক্তিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। বেলডাঙা ব্লক (পশ্চিম) কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিকের অভিযোগ, “সভার শেষ বক্তা হিসেবে বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়ে হুমায়ুন কবীর গাড়ি নিয়ে এসে পথসভার সামনে এসে দাঁড় করিয়ে দেন। গাড়ি থেকে নেমেই জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে। তৃণমূলের লোকজন মোড়ের মাথার রাস্তার আলো নিভিয়ে মারধর করে।” তৃণমূলের জেলা নির্বাহী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি বহরমপুর থেকে ওই পথ দিয়েই বাড়ি ফিরছিলাম। কোনও ভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।” রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান জেলা ও পুলিশ প্রশাসনিক কর্তারা আরও বেশি করে ‘ইয়েস ম্যান’ হয়ে উঠুক। মঙ্গলবার তকিপুরের বৈঠকে সে কথা প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মত পুলিশ প্রশাসনের মদতে আলো নিভিয়ে দিয়ে বিধায়ক-জেলাপরিষদ সদস্য থেকে সাধারণ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মারধর করেছে স্থানীয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।”

সান্টার সাজে। বহরমপুরের একটি স্কুলে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

বোমাবাজি, জখম ১
একশো দিনের কাজ করাকে কেন্দ্র করে প্রথমে গণ্ডগোল, তারপর বোমাবাজি। বুধবার সকালে সালারের গুলহাটিয়া গ্রামের ওই ঘটনায় সনু শেখ নামে এক তৃণমূল সমর্থক জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সপ্তাহখানেক ধরে ওই এলাকায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নর্দমা সংস্কার করা হচ্ছিল। ওই কাজকে কেন্দ্র করে আরএসপি ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরেই বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। দুই দলই বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “একশো দিনের কাজ করাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে বোমাবাজি চলেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” সম্প্রতি গুলহাটিয়া গ্রামের একটি নর্দমা সংস্কার করতে গিয়ে আরএসপি ও তৃণমূলের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। আরএসপির অভিযোগ ওই নর্দমা সংস্কার করতে গিয়ে তৃণমূলের সমর্থকরা প্রথমে বাধা দেয়। সেই সময়ে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বষয়টি মিটেলেও ফের তৃণমূল সমর্থকেরা অশান্তি শুরু করে বলে অভিযোগ। আরএসপির মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য সুভাষ সাহা বলেন, “আমাদের সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করে তৃণমূল আক্রমন করেছে। নিজেদের বোমার আঘাতে নিজেরাই জখম হয়েছে।পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তৃণমূল এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে। পুলিশে জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

দুই পাড়ার ঝামেলা, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ
দুই পাড়ার গণ্ডগোলে বুধবার দুপুরে উত্তাল হয়ে উঠল শান্তিপুর। প্রতিবাদে এ দিন দুপুর একটা নাগাদ শান্তিপুর স্টেশনের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় গোডাউন পাড়ার বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পাড়ার দুই যুবক হরেকৃষ্ণ পল্লীতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোড়া হয়। প্রাণভয়ে মোটরবাইক ফেলে চম্পট দেয় ওই দুই যুবক। তাঁদের মোটরবাইকও পুড়িয়ে দেয় হরেকৃষ্ণপুরের জনাকয়েক যুবক। এরপরই গোডাউন পাড়ার বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা দেড়েক পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকা দখল নিয়ে অনেকদিন ধরেই ওই দুই পাড়ার মধ্যে ঝামেলা। প্রায়ই এলাকা গুলি-বোমার শব্দে তেতে ওঠে এলাকা। এ দিন গোডাউন পাড়ার দুই যুবকের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় অশান্তি বড় আকার নেয়। গোডাউন পাড়ার বাসিন্দা মনোজ প্রসাদ বলেন, “আমরা শাসকদলের কর্মী। এ দিন সভা সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। তখন আমাদের দুই যুবককে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোঁড়া হয়।” যদিও জেলা তৃণমূলের সম্পাদক মৃনাল মৈত্রের বক্তব্য, “ওদের সঙ্গে আমাদের দলের যোগ নেই।”

কার্ডবোর্ডে শিলান্যাস
একটা-দু’টো নয়। নদিয়া-মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে অন্তত কয়েকশো প্রকল্পের শিলান্যাস। কিন্তু এত অল্প সময়ে অত শিলা তৈরি হবে কী করে? তা-ও যদি বা হয়, সেগুলো রাখা হবে কোথায়? এক কর্তা প্রস্তাব দেন, আসল যদি না মেলে, নকলই বা কম কীসে? কালোর উপরে সোনালি হরফে লিখে তৈরি হল স্টিকার। সেগুলো কার্ডবোর্ডে সাঁটতেই ‘ফলক’। মঙ্গলবার পলাশির পানিঘাটায় সেই সব ফলক দিয়েই শিলান্যাস সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কালীগঞ্জের বিডিও-কে বলে দিয়েছি, বোর্ড থেকে স্টিকারগুলি খুলে গুছিয়ে রাখতে। সেগুলি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে আসল ফলক তৈরি করে প্রকল্পের জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হবে।”

মৃত্যু শ্রমিকের
নির্মীয়মান একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। নাম নইমুদ্দিন শেখ (৫৫)। বাড়ি কালীগঞ্জের শিলাপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন কয়েক ধরেই নাকাশিপাড়ার বান্দাখোলা গ্রামের একটি পুরনো মসজিদের সংস্কার চলছিল। মঙ্গলবার হঠাৎই ওই মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েন ছয় শ্রমিক। তাঁদের পাঁচজনকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও মারা যান নৈমুদ্দিন।

রসে বশে। —নিজস্ব চিত্র।

আলোচনাসভা
ল্যান্ড সার্ভেয়ারস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বুধবার বেলডাঙা স্টেডিয়াম মাঠে হল আলোচনা শিবির। আমিনদের উপস্থিতিতে এই শিবিরে জমি জরিপ সংক্রান্ত নানা প্রসঙ্গ আলোচনা করা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান জেলা সম্পাদক আইনুন হক বলেন, ‘‘জমি জরিপের সময় আমিনরা হাজারো সমস্যার মধ্যে পড়েন। সেই সমস্যার সমাধানের জন্যই এই শিবিরের আয়োজন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.