আলুর ট্রাক থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি টাকার রক্তচন্দন
ঞ্জাব থেকে আসছিল আলু বোঝাই ট্রাক। তারই তলায় থাকে থাকে রাখা রক্তচন্দন কাঠের গুঁড়ি।
একটি-দু’টি নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচক থেকে আটক একটি ট্রাকে এই ভাবেই ছিল ৬৮টি রক্তচন্দন কাঠের গুঁড়ি। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম এক কোটি টাকারও বেশি। পাচারকারীদের হদিস না মিললেও ওই ট্রাকের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃত চালক ও খালাসিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক ধৃতদের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
চন্দন কাঠ কী ভাবে-কোথায় পাচার হচ্ছিল, যেমন জানা যায়নি, তেমনই ট্রাকটি কবে-কারা আটক করেছে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
দুর্গাচক থানার দাবি, শনিবার রাতে মিৎসুবিশি যাওয়ার রাস্তায় ওই ট্রাকটির সঙ্গে চাঁদা নিয়ে গোলমাল বাধে স্থানীয় কয়েকজনের। টহলে থাকা পুলিশকর্মীরা তা দেখতে পেয়ে লরিটিকে নিয়ে আসেন থানায়। ইতিমধ্যে শুল্ক দফতর ওই নম্বরের একটি ট্রাকের খোঁজ করছে শুনে যোগাযোগ করে থানা। রবিবার কলকাতা থেকে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা দুর্গাচকে আসেন। হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মাইতি বলেন, “শনিবার রাতে ট্রাকটিকে আটক করে দুর্গাচক থানায় নিয়ে আসা হয়। রবিবার শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা এসে ট্রাকটি বাজেয়াপ্ত করেছেন।”
অন্য দিকে, শুল্ক দফতরের বক্তব্য, পঞ্জাবের ওই ট্রাকে আড়াইশো প্যাকেট আলু পাঠানো হচ্ছিল হলদিয়ার কোনও এক ব্যবসায়ীর কাছে। আলুর প্যাকেটের তলায় ৬৮টি রক্তচন্দন কাঠের গুঁড়ি রয়েছে বলে খবর আসে তাদের কাছে। সেই মতো দুর্গাচকে হানা দিয়ে রবিবার রাতে ট্রাকটিকে আটক করেছে তারা।
রক্তচন্দনের গুঁড়িগুলি আপাতত রয়েছে হলদিয়া বন্দর চত্বরে শুল্ক দফতরের শাখা অফিসে। ধৃত ট্রাক চালক পাঠানকোটের বাসিন্দা গুরুদেব সিংহ এবং খালাসি মণিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ইসলামউদ্দিনকে কলকাতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক দফতর। জেরায় ওই চালক ও খালাসি জানিয়েছেন, তাঁদের শুধু বলা হয়েছিল দুর্গাচকে পাচারকারীদের একটি দল থাকবে। জলপথে চন্দনকাঠ পাচার করা হবে বিদেশে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.