ছবি: আওয়ার চিলড্রেন
দেশ: বেলজিয়াম, ফ্রান্স
পরিচালক: জোয়াকিম লাফোসে
সাল: ২০১২
ব্রাসেলস-এ থাকলেও মুনির আসলে মরক্কোর ছেলে। আর কে না জানে, উত্তর আফ্রিকা এক আশ্চর্য কড়াই— যেখানে আরব, আফ্রিকা আর ইউরোপের সভ্যতা হাজারখানেক বছর ধরে সময়ের রোদে-জলে-আলো-তাপে নেড়েঘেঁটে একটা জায়গায় এসেছে। কিন্তু গলে-মিশে একাকার হয়ে যায়নি। তাই ছোট থেকেই বেলজিয়ামে বড় হলেও মুনিরের রক্তের মধ্যে জন্মভূমির শিকড়ের টানটা টনটনে। যিনি তাকে এত দিন প্রায় নিজের ছেলের মতোই মানুষ করেছেন, সেই ডাক্তার আন্দ্রেই-ও সেটা জানতেন। তাই মরক্কোর মুনির যখন বেলজিয়ান-কন্যা মারিয়েলকে বিয়ে করতে চায়, আন্দ্রেই একটু কিন্তু-কিন্তু করছিলেন। দুজনের সাংস্কৃতিক ফারাকের কথাও বলেছিলেন। কিন্তু মারিয়েল আর মুনিরের তখন রোমান্স, প্যাশন, ভালবাসায় ভাসাভাসি দশা। মিয়া-বিবি যেহেতু এতটাই রাজি, আন্দ্রেই খামখা আগ বাড়িয়ে খিটখিটে কাজির মতো বেসুরো গাইলেন না। বরং স্পোর্টিং শ্বশুরমশাইয়ের মতোই মারিয়েলের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বললেন। মুনির কোনও ঝামেলা করলে নির্দ্বিধায় তাঁর কাছে নালিশ করতে বললেন। এমনকী মধুচন্দ্রিমার ট্রিপটাও স্পনসর করতে চাইলেন। মুনিররাও পালটা প্রস্তাব দিল, যদি আন্দ্রেইও তাদের সঙ্গে হানিমুনে যান, তা হলেই তারা ‘উপহার’টা নেবে। পরের দৃশ্যে মুনির ও মারিয়েল হোটেলের সুইমিং পুলে হাঙর-হাঙর খেলবে। আর আন্দ্রেই অনেক দূরে বসে, যেন ছেলে-বউমার এ সব দুষ্টুমি কিছুই তাঁর চোখে পড়ছে না, এমন মুখ করে ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দেবেন। দৃশ্যটা প্রতীকী। কারণ এর পর আন্দ্রেইয়ের অভিভাবকত্ব আর নজরদারির সামনেই মুনির আর মারিয়েলের নতুন ঘরকন্না শুরু হবে। তরুণ দম্পতির ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার, সকালের রুটিন-চুমু থেকে রাতের রঙিন রমণ অবধি কোথাও গেঁথে-বিঁধে থাকবে একজোড়া উদাসীন, কিন্তু সতর্ক চোখ। সংসারটা মারিয়েলের কাছে একটু একটু করে অসহ্য জেলখানা হয়ে উঠবে।
আর এখান থেকেই ছবির পরিচালক একটা সরল, সাদামাটা পারিবারিক আবেগ-অশান্তির নাটক বোনার ছলে দুই মহাদেশ-জোড়া মস্ত ক্যানভাসে একটা জটিল প্লট নিয়ে নাড়াচাড়া করবেন। তিনি এমনিতে মারিয়েলের একটু একটু করে একলা হয়ে যাওয়ার গল্প বলেছেন। কিন্তু আসলে মানুষের অন্তরমহলে উবু হয়ে, গুঁড়ি মেরে থাকা নানা কিসিমের বদ্ধ বিশ্বাস, সংস্কৃতির পিছুটান, তার সঙ্গে লেপটে থাকা সংস্কার, অন্যের ভাবনাকে পাত্তা না দিয়ে কর্তালি করার গোপন বাসনাগুলোকেই চিনতে চেষ্টা করেছেন। এ ছবিতে ক্যামেরা বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতর থেকে বেরোতেই চায় না। ওই ঘরের মধ্যেই মারিয়েল বছর বছর বাচ্চা বিয়োয়। বাড়ির সব্বার ছেড়ে দেওয়া ডাঁই জামাকাপড় জড়ো করে ওয়াশিং মেশিনে কাচতে দেয়। বাচ্চাদের খেলনা গোছায়। আবার রাত্তিরে বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়লে আর এক বার মা হওয়ার জন্য মুনিরের সঙ্গে কম্বলের তলায় মিলিত হয়। কিংবা অন্য একটা বাড়িতে আবার একটা ঘরের মধ্যে অনেক বাচ্চাকে ফরাসি শেখায়, তাদের ক্লাসওয়ার্কের খাতা দেখে। এমনি করেই মারিয়েলের ঘর আর বাইরে, বাড়ি আর ইশকুল একাকার হয়ে যায়। একই রকম বদ্ধ ঘর, তার একই রকম দেওয়াল-ছাদ-জানলা-মেঝেসুদ্ধ মারিয়েলের স্নায়ুর ওপর চেপে বসে। মেয়েটাকে মনের ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়। এই দম-আটকানো ঘরের উলটো দিকে একটুখানি শ্বাস ফেলার জায়গা হিসেবে থাকে মরক্কোয় সমুদ্রের ধারে মুনিরের গ্রামের বাড়ি। সেখানে তার অসুস্থ মা আছেন, যিনি আরবি ছাড়া আর কোনও ভাষা বুঝতে পারেন না। অথচ যাঁকে ছুঁয়ে, জড়িয়ে, মারিয়েল অন্য একটা জীবনযাপন, অন্য এক সভ্যতার ওম পায়। তার ভাল লাগে। এই ছবিটায় কেউ যদি জাতিবিদ্বেষের গন্ধ খোঁজেন— মুনিরের মধ্যে টিপিকাল প্রাচ্য-পুরুষের শভিনিস্ট মেজাজ খুঁজে পান, তাঁদের সন্ধানটা এইখানে এসে হোঁচট খাবে। বরং আন্দ্রেই-ই তো ইউরোপীয় কর্তৃত্ব ফলিয়ে মারিয়েলদের মরক্কোয় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছের গলাটা টেপেন। মুনিরের মতো এক প্রাচ্য সন্তানকে ‘মানুষ’ করার ডাঁট দেখান। আর সেই ‘কৃতজ্ঞতা’র দাম চুকোতে গিয়ে মুনির-মারিয়েলের জীবনে ঘটে যায় ভয়ংকর ট্র্যাজেডি। তাদের ছেলেমেয়েরা মায়ের হাতে খুন হয়। ছবির শেষ দৃশ্যে পরদা জুড়ে জেলখানার মতোই জেগে থাকে আন্দ্রেইয়ের বাড়ি, যেখান থেকে মারিয়েল রোজ পালাতে চেয়েছিল। আর সাউন্ডট্র্যাকে অফ ভয়েস-এ চলতে থাকে কান্নাভেজা ভাঙা গলায় মারিয়েলের ‘পাপের’ স্বীকারোক্তি।


বিংশ শতাব্দীর বহুল প্রচলিত (কিন্তু এখন লুপ্ত) বস্তুসামগ্রীর প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিল প্রত্নতত্ত্ব ও তথ্য সম্প্রচার দপ্তর। এই প্রদর্শনীর বিশেষ আকর্ষণ শিলনোড়া, তুলসীতলা, পেট্রোল চালিত বাইক, তারযুক্ত (উইদাউট জি বা জিরো জি) টেলিফোন, পাশফেল লেখা মার্কশিট, দড়ির খাটিয়া, আলুপোস্তর বাটি, এলোকেশী বেগুন, লুডোর বোর্ড এবং এক জন যাত্রাশিল্পী। প্রদর্শনী শুরুর সময় শাঁখের আওয়াজ শুনে দর্শকমহলে গুঞ্জন ওঠে। অতি কষ্টে পাওয়া শাঁখটি এবং আরও কত কষ্টে সেটি বাজাতে হয় দেখে সকলে খুব চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। তার পরে উলুধ্বনির বিকট শব্দ ও মুখভঙ্গিতে শিশুরা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন উদ্যোক্তারা। প্রদর্শনী চলাকালীন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিল পশ্চিমি যন্ত্রানুষঙ্গ ছাড়া শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত। যা বহু দিন আগে শোনা যেত, এখন প্রায় শোনাই যায় না। প্রদর্শনীকক্ষে হলুদের ওপর কালো ডোরাকাটা মানুষটিকে দেখে সকলে কৌতূহলী হয়ে ওঠে। জানা যায়, মানুষটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-সাজা ‘বহুরূপী’। এমন বাঘ ও এমন পেশার মানুষ— দুই’ই আজ আর দেখা যায় না। আরও অনেক কিছুই প্রদর্শনীতে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু অনেক খুঁজেও কোথাওই পাওয়া যায়নি। যেমন বিউলির ডালের বড়ি, পিচবোর্ডের রেলটিকিট, সলতে প্রদীপ, চকলেট বোম, লাল সুতোর বিড়ি যার গায়ে ‘তামাক সেবন মৃত্যুর কারণ’ লেখা নেই, বিজয়ার চিঠি, ঘুঁটের বস্তা, কাঠি-আইসক্রিম, বাংলা পাঁজি (হাফ, ফুল) ইত্যাদি। নারকেল ঝাঁটাকে কেন এই প্রদর্শনীতে নেওয়া হয়নি প্রশ্ন উঠলে উদ্যোক্তারা জানান, তাঁরা এমন কিছুর কথা কখনও শোনেননি, খোঁজ নেবেন। প্রদর্শনীর দরজায় কাঠের পিঁড়িতে বসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তির অভিমত, এক জন ব্যক্তিস্বার্থহীন, সৎ, আদর্শবান, সত্যবাদী নেতাকে এই প্রদর্শনীতে দেখানোর ব্যবস্থা করলে সত্যি খুশি হওয়া যেত।

দশটা প্রাণীর দশটা ভয়াবহ অসুখ


কোকিলের টনসিল

মাছের জলাতঙ্ক

শকুনের ভার্টিগো

পেঁচার ‘নাইট ব্লাইন্ডনেস’

ভালুকের ডায়াবিটিস

পরিযায়ী পাখির স্মৃতিভ্রংশ


ইঁদুরের দাঁতব্যথা


সিংহের ‘হেয়ার লস’

পেঙ্গুইনের নিউমোনিয়া

১০

সাপের ‘স্টিফ নেক’

তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার জনৈক পঞ্চায়েত প্রধান-এর ইচ্ছে, তার পঞ্চায়েত হবে বেওয়ারিশ কুকুর-মুক্ত। ইচ্ছে হয়েছে, তাই উপায়ও হল, দেখামাত্র গুলি করে কুকুর মারা। ভাড়া-করা লোক দু’দিনে দু’শো কুকুর মারল, একটি এনজিও-র কর্মীরা নদীর চড়ায় মাটি খুঁড়ে পেলেন কুকুরদের গণকবর। কী নিষ্ঠুর হলে এক জন মানুষ (যে আবার প্রশাসকও) এমন জঘন্য নির্মম ইচ্ছেপূরণের আদেশ দিতে পারে, ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। রাস্তার কুকুর অনন্ত ঘেউঘেউ ছোটাছুটি আঁচড়কামড়ে প্রায়ই যাচ্ছেতাই বিরক্তি ও ত্রাসের কারণ, তা বলে সেই উপদ্রব যুঝতে নান্যঃ পন্থা? স্টেরিলাইজেশন নয়, সবাই মিলে ওদের সামলানোর একটা সুরাহা নয়, সটান বন্দুকের গুড়ুম? শাসক মানুষটি এই চরম কুকাজে এলাকার কারও সম্মতি নেননি, বলাই বাহুল্য। আর এক জনও সায় দিয়ে থাকলেও প্রশ্ন, এই তস্য ক্রিমিনাল সমাধানে পাড়া জুড়োবে? আসলে এই অর্ডার ও তার সমর্থনের পিছনে লুকিয়ে হিটলারি মানসিকতা, যে বলে: আমার একে ঝাল্লেগেছে তাই এর খুলি ওড়া, ও আমার মতো নয় তাই ওর চেঁচানোর নো রাইট। এই জিঘাংসু ইচ্ছেই ‘ফর গ্রেটার গুড’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ট্রিগার টেপে, আজ কুকুরের মাথায়, তো কাল মানুষের। অভিধান থেকে ‘পাশবিক’ শব্দটা এক্ষুনি তুলে দেওয়া হোক। পশুরা এমন আচরণ করে না।

একুশ শতক সাক্ষী অভাবনীয় সব রোবট-অবতারের— বই পড়া রোবট, হোমমেকার রোবট, কিষান রোবট, অ্যাস্ট্রোবট। এ বার অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীরা তৈরি করলেন রাখাল রোবট। শ’খানেক গরুকে মাঠঘাট পার করে নির্বিঘ্নে গোয়ালে নিয়ে আসার পরীক্ষায় রোবট ‘রোভার’ সসম্মানে পাশ। আরও ভাল যা, গরুরাও কিছুমাত্র মাইন্ড করেনি, ল্যাজ নাড়তে নাড়তে দিব্য এসে ডেয়ারিতে সেঁধিয়েছে। দেখেশুনে সিদ্ধান্ত, অচিরেই ল্যাবে পাইকারি রেটে রোবট-চাষ শুরু হবে। রাখালদের শাশ্বত চাকরিটি গেল, তবু মনখারাপের বিশেষ কারণ নেই কেননা রোবটাদেশ সানন্দে মেনে অবোলা প্রাণীগুলি বোঝাল: ছপ্টিধারী মানুষ রাখালের চেয়ে প্রোগ্রাম্ড যন্ত্রমানব কোটি গুণ ভাল। হবেই বা না কেন, রোবট যে-কোনও অজুহাতে পাচনবাড়ি দিয়ে ঠেঙায় না, জীবনের রাগহতাশাব্যর্থতার ঝাল গরুছাগলের ওপর ঝাড়ে না। যন্ত্র বলে সে নিষ্প্রাণ, আর সে জন্যই মানুষের মতো অমানুষিক নিষ্ঠুর নয়, চূড়াম্ত কর্মঠ। যে প্রাণী প্রত্যাঘাত হানতে পারে না, তাকে অত্যাচার করে, তার ল্যাজ মুচড়ে মজা পাওয়ার ‘আই-কিউ’ তার নেই। লোককথার মানুষ-রাখালকে আগামী প্রজন্ম না জানলেও ক্ষতি নেই, রোবট-রাখালই সুকৃতির নীতিশিক্ষা দেবে।
ডাক্তার
১¶ যে আগে ডাক দেয়, সে তার।
২¶ ডাক ছাড়লেও তার দেখা পাওয়া যায় না।

টাকে গজাবে চুল, তোবড়া গালে মাংস
ঝকঝকাবে লিভার, ফ্রেশ বায়ু টানবে লাংস-ও
জীবন-পাঁঠা নিজে থেকে করবে তাহার রাং show
ছুটিতে বেড়াতে গেলে ডাক্তার অধিকাংশ
 
• সেই ডাক্তারের কাছে কক্ষনও যেও না, যার চেম্বারের গাছগুলো মরে গেছে।
এর্মা বোমবেক

• ছোটখাটো ডাক্তারি ব্যাপারেও আমার কেমন গা ঝিমঝিম করে, যেমন, ফোনে ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা।
ডেভ ব্যারি

• পৃথিবীর সেরা ডাক্তার: পশুচিকিৎসক। রোগীকে কিছুই জিজ্ঞেস করা যাবে না, ওঁকে নিজেকেই সব বুঝতে হবে।
উইল রজার্স

• সবচেয়ে বড় ডাক্তার? অনেক বিখ্যাত লোক যাঁর আন্ডারে মারা গেছেন।
জর্জ বার্নার্ডশ

সেরে গিয়ে সম্পূর্ণ
ডাক্তারকে খাওয়াতে গেল
কৃতজ্ঞতাচূর্ণ

ডাক্তার বলে, আমি দিয়েছি এ
সব মেডিসিন!
আমি কি দীন, অবসিন?
গোবর আছে মম ঘিলুর মধ্যে?

রোগী কয়, কী করব, পড়তে
পারিনি প্রেসক্রিপশন, হাতের
লেখা এমন অখদ্যে!

• প্রঃ সবচেয়ে বড় ডাক্তার কে?
গর্গরেফ: ডক্টর গুগল। এখন যে কোনও রোগ হলেই লোকে প্রথমেই নেট খুলে বসে। তার পর আনসান মুখস্থ করে, প্রায় কিচ্ছুই না-বুঝে, মানুষ-ডাক্তারের মুখে মুখে র‌্যান্ডম তর্ক করে।

প্রঃ আর সবচেয়ে বাজে ডাক্তার?
গর্গরেফ: যে, রোগের বিবরণ শুনেটুনে রোগীর দিকে কিছু ক্ষণ হাঁ করে তাকিয়ে, ল্যাপটপে গুগল খুলে বসে!






First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.