গ্রাহক জানো
টশো টাকা কেজিতে কেনা ইলিশ থলেয় ঝুলিয়ে বাড়িতে পা রাখতেই আক্কেল গুড়ুম। বুঝলেন, ওজনে বেমালুম ঠকে গিয়েছেন। হয় দাঁড়িপাল্লায় গলদ ছিল, নয়তো বাটখারায়। এই অবস্থায় সেই মাছ বিক্রেতাকে শাপ-শাপান্ত করা ছাড়া আর কী করেন আপনি? কিছু না তো? আমাদের পরামর্শ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান। এই ধরনের যে-কোনও সমস্যায় যারা আপনার পাশে দাঁড়াতে তৈরি।
ঠকার বা প্রতারিত হওয়ার এমন অভিজ্ঞতা যে শুধু মাছ বা শাক-সব্জির বাজারে হয়, এমনটা আদৌ নয়। খেয়াল করে দেখবেন, কখনও দীর্ঘ দিন ধরে জীবন বা স্বাস্থ্যবিমার কিস্তি দেওয়ার পরেও প্রয়োজনের সময়ে নানা অছিলায় ‘ক্লেম’-এর টাকা দিতে টালবাহানা করছে সংস্থা। কখনও হয়তো মেয়াদ (এক্সপায়ারি ডেট) পেরিয়ে যাওয়া ওষুধ আপনাকে গছিয়ে দিচ্ছে পাড়ার দোকানই। কিংবা দাম নিচ্ছে এমআরপি-র (সর্বাধিক খুচরো মূল্য) থেকেও বেশি। প্রশ্ন হল, এত কষ্ট করে রোজগার করা টাকা আপনি এ ভাবে জলে যেতে দেবেন কেন? কেনই বা রুখে দাঁড়াবেন না অন্যায়ের বিরুদ্ধে?
সমস্যা হল, রুখে দাঁড়াতে কিংবা অভিযোগ জানাতে চাইলেও কোথায় কী ভাবে তা করতে হয়, সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা তেমন স্পষ্ট নয়। আর সেই কারণেই আজ এ নিয়ে আলোচনায় বসব আমরা। চেষ্টা করব এই পদ্ধতি আগাগোড়া জেনে নিতে।

অধিকার চিনুন
যদি গাঁটের কড়ি খরচ করে কিছু কিনি, তা হলে সঠিক ওজন, গুণমান ইত্যাদির পণ্য বা পরিষেবা পাওয়া ক্রেতা হিসেবে আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে। যে অধিকার রক্ষার জন্য থাকার কথা আইনি কবচও।
বিশ্বে প্রথম ক্রেতা সুরক্ষা আইন তৈরি হয় মার্কিন মুলুকে। ভারতে এই আইন চালু হয় ১৯৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর। আর এ রাজ্যে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর তৈরি হয় ১৯৯৯-এর সেপ্টেম্বরে। এই আইন অনুযায়ী, কেউ যদি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য (বাণিজ্যিক কারণে নয়) পণ্য বা পরিষেবা কেনেন কিংবা ভাড়া করেন, তা হলে তিনিই ক্রেতা বা উপভোক্তা।

ক্রেতার ছ’রকম অধিকার আছে—
• জীবন বা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিছুর বিজ্ঞাপন বা বিপণনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার অধিকার (যেমন, কোনও খাবারে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কিছু থাকলে, সরব হওয়ার অধিকার)।
• পণ্যের পরিমাণ, গুণমান, শুদ্ধতা, দাম ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্যের অধিকার।
• প্রতিযোগিতামূলক দামে বিভিন্ন রকম পণ্য যাচাইয়ের অধিকার।
• শুনানির অধিকার।
• প্রতারিত হলে প্রতিকার পাওয়ার অধিকার।
• ক্রেতা-শিক্ষার অধিকার।

অভিযোগ কখন?
নীচের কোনও একটি আপনার সঙ্গে ঘটলেই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানাতে পারেন—

• কেনা পণ্য বা পরিষেবায় কোনও ত্রুটি বা ঘাটতি থাকলে।
• বিক্রেতা এমআরপি-র থেকেও বেশি দাম নিলে।
• পণ্য বা পরিষেবাটি জীবন কিংবা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হলে।

জানাব কী ভাবে?
একাধিক উপায় রয়েছে—

• সাদা কাগজে সবটা লিখে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেখানে থাকতে হবে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা। বিরোধীপক্ষের (অর্থাৎ, যাঁর বা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন) নাম-ঠিকানাও লিখতে হবে। দিতে হবে অভিযোগের বিবরণ। জানাতে হবে কী ধরনের প্রতিকার চাইছেন। প্রয়োজনীয় সংযোজনী (রসিদ, ক্যাশমেমো ইত্যাদি) দিতে ভুলবেন না।
• অভিযোগ জানাতে পারেন অনলাইনেও। এ জন্য প্রথমে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে (উপরে দেখুন) যান। প্রথম পাতার ডানদিকে ‘গ্রিভ্যান্স বক্স’ (GRIEVANCE BOX) রয়েছে। সেখানে দেওয়া নির্দেশ মতো পর পর এগোতে থাকুন।

কোন কেন্দ্রে?
ধরুন সরাসরি দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানাতে চান। সে ক্ষেত্রে কোন কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করতে হবে, তা মূলত দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে—

(১) অভিযোগের ঘটনাস্থলের উপর। অর্থাৎ, প্রতারণার ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে কিংবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের অফিস যেখানে, সেখানকার জেলা ফোরাম বা রাজ্য কমিশনে অভিযোগ জানাতে হবে। সুতরাং কেউ হয়তো বীরভূমের বাসিন্দা। কিন্তু তিনি যদি বর্ধমানে কোনও পণ্য বা পরিষেবা কিনে সমস্যায় পড়েন, তাহলে তা সেখানকার জেলা ফোরামে জানাতে হবে।
(২) পণ্য-পরিষেবার দাম বা অর্থমূল্যের উপর। যেমন, ওই দাম কিংবা সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বেশি হলে, সংশ্লিষ্ট জেলা ফোরামে অভিযোগ জানানোর সুযোগ না-ও পেতে পারেন।
নিয়ম অনুযায়ী, পণ্য-পরিষেবার দাম কিংবা ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে, জেলা ফোরামে অভিযোগ জানানোর সুযোগ মেলে। তার বেশি কিন্তু এক কোটির মধ্যে হলে, যেতে হয় রাজ্য কমিশনে। আর অঙ্ক কোটি ছাড়ালে, সেই অভিযোগ নেবে জাতীয় কমিশন।

কত দিনের মধ্যে?
অভিযোগ জানাতে হাতে যথেষ্ট সময় পাবেন আপনি। তা বলে অনন্তকাল বসে থাকলে চলবে না। ঘটনা ঘটার দু’বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে।

জানাতে পারেন কারা?
অভিযোগ জানাতে পারেন—

• যে ক্রেতা প্রতারিত হয়েছেন, তিনি নিজে। একসঙ্গে অনেকে প্রতারণার শিকার হলে, একজোট হয়েও আবেদন করতে পারেন।
• ক্রেতার উত্তরাধিকারী বা প্রতিনিধি।
• স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

খরচ কত?
অভিযোগ জানানোর খরচ নির্ভর করে পণ্য-পরিষেবার দাম এবং সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণের অঙ্কের উপর। নীচের চার্ট থেকে তার হদিস পেতে পারেন—
অভিযোগের অঙ্ক খরচ
১,০০,০০০ পর্যন্ত ১০০
১,০০,০০১-৫,০০,০০০ ২০০
৫,০০,০০১-১০,০০,০০০ ৪০০
১০,০০,০০১-২০,০০,০০০ ৫০০
২০,০০,০০১-৫০,০০,০০০ ২,০০০
৫০,০০,০০১- এক কোটি ৪,০০০
কোটির বেশি ৫,০০০
*সব অঙ্ক টাকায়
তবে ক্রেতা সুরক্ষা বিধি অনুযায়ী, পণ্য-পরিষেবার দাম এবং ক্ষতিপূরণের অঙ্ক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে, যাঁরা দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন এবং যাঁদের অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা কার্ড রয়েছে, তাঁদের কোনও ফি দিতে হবে না।

আর সওয়াল?
ফোরাম বা আদালতে অভিযোগ জানানোর পর আপনার পক্ষে সওয়াল করবেন কে? উকিলের ফি মেটাতেই তো পকেট হাল্কা হয়ে যাবে। আইন বলছে, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা লড়তে উকিল বাধ্যতামূলক নয়। অভিযোগকারীই সওয়াল করতে পারেন।

সাহায্যের হাত
অভিযোগ জানানোর খুঁটিনাটি নিয়ে আরও বেশি করে ক্রেতাদের সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়োগ করে চালু হচ্ছে ক্রেতা সহায়তা কেন্দ্র (কনজিউমার্স অ্যাসিসট্যান্স ব্যুরো)। পাইলট প্রকল্প হিসেবে কলকাতা, দুর্গাপুর, হাওড়া, বারাসত ও শিলিগুড়িতে এ ধরনের কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে দফতরই।
যোগ্যতা অনুসারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়োগ করবে তারা। সংস্থাগুলি কেমন কাজ করছে, দফতরের নিয়মিত নজরদারি থাকবে তার উপরেও। কেন্দ্রগুলি পুরোদস্তুর চালু হলে, তার যাবতীয় খুঁটিনাটি প্রচার করবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

প্রতিকার কেমন?
অভিযোগ জানানোর পর মূলত চার ধরনের প্রতিকারের আশা করতে পারেন আপনি—

• পণ্য বা পরিষেবার ঘাটতি দূর করা।
• ত্রুটিপূর্ণ জিনিস বদলে নেওয়া।
• দাম ফেরত।
• উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ।

তবুও সমস্যা
ভিড় এড়ানোর সুবিধা আর সময়ের অভাবের কারণে অনলাইনে কেনাকাটার চল বাড়ছে সর্বত্র। কিন্তু অনেক সময়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে সেখানেও। আরও বড় সমস্যা হল, এ ক্ষেত্রে বহু সময়েই হয়রানির শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ, যেখানে কেনাকাটা হবে সেখানে সংস্থার অফিস থাকলে, তবেই এলাকার ফোরাম বা কমিশনে অভিযোগ জানানো যায়। কিন্তু নেটে পণ্য বা পরিষেবা বেচা অনেক সংস্থাই স্থানীয় নয়। সে ক্ষেত্রে অল্প দামের জিনিস কিনে অন্যত্র গিয়ে অভিযোগ জানানোর খরচ বেশি হতে পারে।
তা ছাড়া, অনেক সংস্থা আবার আগাম শর্ত হিসেবেই জানিয়ে দিচ্ছে যে, কোথায় অভিযোগ জানানো যাবে। ধরুন, কলকাতায় বসে অনলাইনে জিনিস কিনছেন। কিন্তু হয়তো কেনার সময়েই এই শর্ত মেনে নিতে হচ্ছে যে, অভিযোগ জানালে শুনানি হবে চেন্নাইয়ের ফোরাম বা আদালতে। তখন? রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর মেনে নিচ্ছে, এই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র আইন সংশোধনে উদ্যোগী হলেও এখনও তা হয়নি।
ঘটনা ১
১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে এক নির্মাণ সংস্থাকে কিস্তিতে মোট ৩.৬৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন খিদিরপুরের রাজিয়া খাতুন। কথা ছিল, বিদ্যুৎ, রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ে ১০ কাঠা জমিকে উন্নত করবে সংস্থাটি। কিন্তু অভিযোগ, ২০১২-র মার্চ পর্যন্ত ওই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি তারা। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে তখনকার বাজার দর অনুযায়ী পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে রাজি হয় অভিযুক্ত সংস্থা। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দেয় প্রায় ১৩.৭০ লক্ষ টাকা।
ঘটনা ২
২০১২ সালের নভেম্বরে একটি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার পোস্ট-পেড বিল হাতে পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন শরৎ বোস রোডের মালিনী সাওয়াত্রা। ৭৩৬৩.৬৪ টাকার বিল। যার মধ্যে শুধু ‘মেসেজ’-এর খরচই ৫৭৩৩.৬০ টাকা! তার উপর কোন-কোন নম্বরে অত মেসেজ পাঠানো হয়েছে, তারও কোনও উল্লেখ নেই বিলে। সংস্থাকে জানিয়ে লাভ হয়নি। ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ দায়ের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে। তাদের হস্তক্ষেপে সঠিক বিল তৈরি করে সংস্থা। অঙ্ক? ৯১৫ টাকা।
ঘটনা ৩
২০০৮ সালে ৪০% পর্যন্ত ছাড়ের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এক সর্বভারতীয় পোশাক সংস্থা। কিন্তু সেখানে বলা হয়নি যে, ওই ছাড় মিলবে শুধু মজুত ভাণ্ডারে (স্টক) থাকা পুরনো পোশাকের উপরেই। নতুন আসা জামাকাপড়ে নয়। এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রাজ্য কমিশনের বক্তব্য ছিল, এ ধরনের বিজ্ঞাপন বিভ্রান্তিমূলক। কোন ধরনের পণ্যে ছাড় মিলবে, বিজ্ঞাপনে তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকা জরুরি।

মাথায় রাখুন
যে কোনও অভিযোগ জানাতে হলে, তার রসিদ-সহ উপযুক্ত প্রমাণ থাকতেই হবে আপনার কাছে। নইলে অভিযোগ ধোপে টিকবে না। অনেকেই যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) এড়াতে ক্যাশমেমো বা রসিদ নেওয়া এড়িয়ে যান। ভুলেও তা করবেন না।

• ওষুধের বিল ৫ টাকার বেশি হলেই রসিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
• বাকি ক্ষেত্রে ৫০ টাকার উপর কেনাকাটায় রসিদ দিতেই হবে।
• দেখে নিন, বাটখারার পিছনে, দাঁড়িপাল্লায় বৈধ পরিমাপন পরিদর্শকের ছাপ আছে কি না। ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্রের সামনেও একটি প্লেটে তা থাকার কথা। একই ছাপ থাকার কথা থান থেকে কাটতে কাপড় মাপার এক মিটারের স্কেলে। পেট্রোল পাম্পেও ওই ছাপযুক্ত ৫ লিটারের পাত্র থাকে।
• কোনও জিনিস প্যাকেটবন্দি করে বিক্রি হলে তার পরিমাণ, উৎপাদন বা প্যাকিং-এর তারিখ (অন্তত মাস ও বছর) থাকতেই হবে।
• রেডিমেড পোশাকের মাপ লেখা থাকতে হবে সেন্টিমিটারে (৯০/৯৫/১০০ ইত্যাদি)। M, L, XL, XXL, এগুলি কোনও নির্দিষ্ট মাপ বোঝায় না।
• খাবারে আজিনমোটো মেশানো থাকলে স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে যে, তা এক বছরের কমবয়সী শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের উপযোগী নয়।
• খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হলে, জানাতে হবে তা অনুমোদিত মাত্রায় দেওয়া হয়েছে কি না।
• ব্যাঙ্কে চেক জমার সময়ে গ্রাহক তা সংশ্লিষ্ট বাক্সে ফেলতে পারেন। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাউন্টারে জমা দিয়ে রসিদও পেতে পারেন। ব্যাঙ্ককে এ কথা বাক্সের উপরে একেবারে স্পষ্ট ভাবে লিখে দিতে হবে।
যোগাযোগ
টোল-ফ্রি নম্বর
১৮০০-৩৪৫-২৮০৮

০৩৩-২২৫২ ২৩০৪০৩৩-২২৫২ ০০৫৩
ই-মেল: cad-wb@nic.in

www.wbconsumers.gov.in

তথ্যসূত্র: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতর


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.